ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পচা-বাসি খাবারে ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯
  • / ২৯৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার প্রায় খাবার হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন
স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে পতক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে -ডিসি গোপাল চন্দ্র দাস
আফজালুল হক:
সংশ্লিষ্ট তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরদারি না থাকায় চুয়াডাঙ্গা শহরসহ আশেপাশের এলাকার খাবার হোটেলগুলো চলছে ইচ্ছে মত। খাবারের মূল্যও বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি। কিন্তু তারপরেও মিলছে না স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। প্রতিনিয়ত হোটেলগুলোতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না হচ্ছে ভাতসহ নানাধরণের খাবার। হোটেলগুলোর অবস্থা এতটা অস্বাস্থ্যকর তা সরেজমিনে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। চুয়াডাঙ্গা শহরের ব্যস্ততম ও আশেপাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার রেস্টুরেন্টের মতোই বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টে এভাবে নোংরা পরিবেশে পঁচাবাসি খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। এসব খাবার খেয়ে নানান অসুখ এবং পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে খাওয়ার অযোগ্য কিছু খাদ্যসামগ্রী ধ্বংস আর রেস্টুরেন্ট মালিককে জরিমানা করা হলেও সবকিছু চলে আগের মতোই। স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, দীর্ঘদিন এইসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ক্যানসার, আলসার, ডাইরিয়া, গ্যাস্ট্রিকসহ নানা রোগ হতে পারে।
এদিকে, জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে জানলেও ইতোপূর্বে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তবে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে। রমজানের পূর্বেই সব খাবার হোটেলগুলোতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশের আওতাই আনতে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেলে খাওয়ানো হচ্ছে অপরিস্কার ভেজাল ও পঁচা-বাসী খাবার। এছাড়া হোটেলে বসে খাবার খাওয়ার নেই কোন পরিবেশ। চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার, কোর্ট মোড়, রেল স্টেশন এলাকা, রেলবাজার, সিনেমা হলপাড়া, সদর হাসপাতাল এলাকা, কেদারগঞ্জ বাজার, শান্তিপাড়ার স্কুলমোড়সহ আশপাশের বিভিন্ন খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্টে নেই কোন পরিবেশ। সড়কের ধুলাবালি, মাছি, মশা, দুষিত খাবার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব খাবকার রান্না ও নি¤œমানের মসলা ব্যবহার করা হচ্ছে। হোটেল, রেস্তোরার পেছনে ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের ব্যবস্থা নেই। দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে রান্না ঘরে এসব খাবার রান্না ও পরিবেশনের ব্যবস্থা করলেও দেখার কেউ নেই। কাস্টমারের আকর্ষণের জন্য হোটেলে মালিকেরা হোটেলের সামনে খাবার না ঢেকে রেখে দেন। ডিসপ্লের ওই খাবারেও মশা-মাছি বসাসহ ধুলাবালি পড়ে। কোন কোন রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে মরা ছাগল আর মরা মুরগি পরিবেশনের অভিযোগ অনেক আগে থেকে রয়েছে। এছাড়া হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোর রান্নাঘরের অবস্থা খুব অপরিচ্ছন্ন। রান্নাঘরেই গোসল সারে বাবুর্চি থেকে শুরু করে হোটেল কর্মচারীরা। আর এই অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে বলে জানায় ভুক্তোভোগীরা।
আবার প্রায় হোটেলেই নেই কোন খাবার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা। জমজমাট ব্যবসা পেতে বসলেও গ্রাহক সেবার মান একে বারেই নি¤œমানের। প্রতিদিন অত্র এলাকার ছাত্র-ছাত্রী চাকরিজীবীসহ অসংখ্য লোকসমাগম হয়। আর এ সুযোগে হোটেলগুলোতে ভেজাল ও পঁচা-বাসী খাবার বিক্রি হচ্ছে অবাধে। আর সে সুযোগে হোটেলের মালিকরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বর্তমানে ভেজাল বিরোধী অভিযান ঝিমিয়ে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, কিছু কিছু হোটেল মালিক ও ফুটপাতের দোকানীরা তেলে ভাজা আগের দিনের পরোটা, সামুচা, পুরি, চপ, পেয়াজু ইত্যাদি বাসি খাবার পরিবেশনও করছে বলে অভিযোগ আছে। একই তেলে বারবার ভাজা পেয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, ডালের বড়া, ডিমের চপ ইত্যাদি কিনে খাচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী করা এসব খাদ্যদ্রব্য খেয়ে গ্যাস্ট্রিকসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর কয়েকদিন পর পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ইফতারিতে একই তেলে ভাজা খাবার খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে মনে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যবিদরা।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম বলেন, খাদ্যপণ্য ভেজালের কারণেই দেশে বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, কিডনি ফেলিউর, হৃদযন্ত্রের অসুখ, হাঁপানি এগুলো অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আর আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে রোগীদের লম্বা লাইন। বিষাক্ত খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে যে উপসর্গগুলো দেখা যায়- পেটব্যথাসহ বমি হওয়া, মাথা ঘোরা, মল পাতলা বা হজম বিঘিœত মল, শরীরে ঘাম বেশি হওয়া এবং দুর্বল হয়ে যাওয়া, পালস্ রেট কমে বা বেড়ে যাওয়া, হৃদরোগের ঝুকি থাকে। আমরা সবাই সচেতন হলে ভেজাল খাবার প্রতিরোধ সম্ভব।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি এবং হোটেল মালিকদের জরিমানা ও সচেতন করছি। পবিত্র রমজান মাসে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবো। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দূর করে মানসম্মত খাবারের জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হোটেলগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা শুরু করেছি। রমজানের পূর্বেই জেলার খাবার হোটেলগুলোতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

পচা-বাসি খাবারে ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য!

আপলোড টাইম : ০৯:৩২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯

চুয়াডাঙ্গার প্রায় খাবার হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন
স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে পতক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে -ডিসি গোপাল চন্দ্র দাস
আফজালুল হক:
সংশ্লিষ্ট তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরদারি না থাকায় চুয়াডাঙ্গা শহরসহ আশেপাশের এলাকার খাবার হোটেলগুলো চলছে ইচ্ছে মত। খাবারের মূল্যও বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে ২ থেকে ৩ গুণ বেশি। কিন্তু তারপরেও মিলছে না স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। প্রতিনিয়ত হোটেলগুলোতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না হচ্ছে ভাতসহ নানাধরণের খাবার। হোটেলগুলোর অবস্থা এতটা অস্বাস্থ্যকর তা সরেজমিনে না দেখলে বোঝার উপায় নেই। চুয়াডাঙ্গা শহরের ব্যস্ততম ও আশেপাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার রেস্টুরেন্টের মতোই বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টে এভাবে নোংরা পরিবেশে পঁচাবাসি খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। এসব খাবার খেয়ে নানান অসুখ এবং পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে খাওয়ার অযোগ্য কিছু খাদ্যসামগ্রী ধ্বংস আর রেস্টুরেন্ট মালিককে জরিমানা করা হলেও সবকিছু চলে আগের মতোই। স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, দীর্ঘদিন এইসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ক্যানসার, আলসার, ডাইরিয়া, গ্যাস্ট্রিকসহ নানা রোগ হতে পারে।
এদিকে, জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে জানলেও ইতোপূর্বে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। তবে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে। রমজানের পূর্বেই সব খাবার হোটেলগুলোতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশের আওতাই আনতে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেলে খাওয়ানো হচ্ছে অপরিস্কার ভেজাল ও পঁচা-বাসী খাবার। এছাড়া হোটেলে বসে খাবার খাওয়ার নেই কোন পরিবেশ। চুয়াডাঙ্গা শহরের বড়বাজার, কোর্ট মোড়, রেল স্টেশন এলাকা, রেলবাজার, সিনেমা হলপাড়া, সদর হাসপাতাল এলাকা, কেদারগঞ্জ বাজার, শান্তিপাড়ার স্কুলমোড়সহ আশপাশের বিভিন্ন খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্টে নেই কোন পরিবেশ। সড়কের ধুলাবালি, মাছি, মশা, দুষিত খাবার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব খাবকার রান্না ও নি¤œমানের মসলা ব্যবহার করা হচ্ছে। হোটেল, রেস্তোরার পেছনে ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের ব্যবস্থা নেই। দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে রান্না ঘরে এসব খাবার রান্না ও পরিবেশনের ব্যবস্থা করলেও দেখার কেউ নেই। কাস্টমারের আকর্ষণের জন্য হোটেলে মালিকেরা হোটেলের সামনে খাবার না ঢেকে রেখে দেন। ডিসপ্লের ওই খাবারেও মশা-মাছি বসাসহ ধুলাবালি পড়ে। কোন কোন রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে মরা ছাগল আর মরা মুরগি পরিবেশনের অভিযোগ অনেক আগে থেকে রয়েছে। এছাড়া হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোর রান্নাঘরের অবস্থা খুব অপরিচ্ছন্ন। রান্নাঘরেই গোসল সারে বাবুর্চি থেকে শুরু করে হোটেল কর্মচারীরা। আর এই অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে বলে জানায় ভুক্তোভোগীরা।
আবার প্রায় হোটেলেই নেই কোন খাবার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা। জমজমাট ব্যবসা পেতে বসলেও গ্রাহক সেবার মান একে বারেই নি¤œমানের। প্রতিদিন অত্র এলাকার ছাত্র-ছাত্রী চাকরিজীবীসহ অসংখ্য লোকসমাগম হয়। আর এ সুযোগে হোটেলগুলোতে ভেজাল ও পঁচা-বাসী খাবার বিক্রি হচ্ছে অবাধে। আর সে সুযোগে হোটেলের মালিকরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বর্তমানে ভেজাল বিরোধী অভিযান ঝিমিয়ে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, কিছু কিছু হোটেল মালিক ও ফুটপাতের দোকানীরা তেলে ভাজা আগের দিনের পরোটা, সামুচা, পুরি, চপ, পেয়াজু ইত্যাদি বাসি খাবার পরিবেশনও করছে বলে অভিযোগ আছে। একই তেলে বারবার ভাজা পেয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, ডালের বড়া, ডিমের চপ ইত্যাদি কিনে খাচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী করা এসব খাদ্যদ্রব্য খেয়ে গ্যাস্ট্রিকসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর কয়েকদিন পর পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ইফতারিতে একই তেলে ভাজা খাবার খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে মনে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যবিদরা।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম বলেন, খাদ্যপণ্য ভেজালের কারণেই দেশে বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, কিডনি ফেলিউর, হৃদযন্ত্রের অসুখ, হাঁপানি এগুলো অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আর আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে রোগীদের লম্বা লাইন। বিষাক্ত খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে যে উপসর্গগুলো দেখা যায়- পেটব্যথাসহ বমি হওয়া, মাথা ঘোরা, মল পাতলা বা হজম বিঘিœত মল, শরীরে ঘাম বেশি হওয়া এবং দুর্বল হয়ে যাওয়া, পালস্ রেট কমে বা বেড়ে যাওয়া, হৃদরোগের ঝুকি থাকে। আমরা সবাই সচেতন হলে ভেজাল খাবার প্রতিরোধ সম্ভব।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি এবং হোটেল মালিকদের জরিমানা ও সচেতন করছি। পবিত্র রমজান মাসে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবো। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দূর করে মানসম্মত খাবারের জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হোটেলগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা শুরু করেছি। রমজানের পূর্বেই জেলার খাবার হোটেলগুলোতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিশেষভাবে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।