ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নির্মিত রাস্তা পরিদর্শনে ইঞ্জিনিয়ার ও উপজেলা চেয়ারম্যান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০
  • / ২৩২ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় এডিপি রাস্তায় নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ
প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গার কেদারনগরে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগের সংবাদ চুয়াডাঙ্গার বহুল প্রচারিত দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় নড়ে চড়ে বসেছে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তাগণ। সংবাদের ভিত্তিতে নির্মিত রাস্তা পরিদর্শন করেছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের কেদারনগর গ্রামে তিনটি এডিপি প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণের বরাদ্দ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তিনটি রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের যোগসাজসে চলছে নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ। গত রোববার সরেজমিন ঘুরে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকায়। গতকাল সোমবার সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদের নির্দেশে নির্মিত রাস্তা পরিদর্শন করে সাব-ইঞ্জিনিয়ার সামসুল হক। এছাড়া কেদারনগর রাস্তায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে নির্মিত রাস্তা পরিদর্শনে যান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, সংবাদ শুনে সাব-ইঞ্জিনিয়ার সামসুল হককে পাঠানো হয়েছে। সঠিক ইটের পরিমাণ ও রাস্তার পরিমাণ অনুযায়ী মেপে তাদের বিল দেওয়া হবে। যদি ইটে কোন ধরণে রাস্তা নির্মাণে কারসাজি হয়, তাহলে নিম্নমানের ইট অপসরণ করে আবারো নতুন ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে হবে।
সাব-ইঞ্জিনিয়ার সামসুল হক জানান, সোমবার বিকেলে নির্মিত রাস্তা পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শনের সময় বেলগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু উপস্থিত ছিলেন। তিনি, রাস্তায় নিম্নমানের ইট ব্যবহারে বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি আরও বলেন, আজ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীকে নিয়ে আবারো রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন জানান, এডিপি প্রকল্পের কাজ সরকারি নিয়মে করতে হবে। কেউ নিম্নমানের কাজ করে টাকা উত্তোলন করবে, এটা হবে না। গতকাল বিকেলে কেদারনগর রাস্তা নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নির্মিত রাস্তা পরিদর্শনে ইঞ্জিনিয়ার ও উপজেলা চেয়ারম্যান

আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০

আলমডাঙ্গায় এডিপি রাস্তায় নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ
প্রতিবেদক, আলমডাঙ্গা:
আলমডাঙ্গার কেদারনগরে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগের সংবাদ চুয়াডাঙ্গার বহুল প্রচারিত দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় নড়ে চড়ে বসেছে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তাগণ। সংবাদের ভিত্তিতে নির্মিত রাস্তা পরিদর্শন করেছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের কেদারনগর গ্রামে তিনটি এডিপি প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণের বরাদ্দ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তিনটি রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের যোগসাজসে চলছে নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ। গত রোববার সরেজমিন ঘুরে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকায়। গতকাল সোমবার সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদের নির্দেশে নির্মিত রাস্তা পরিদর্শন করে সাব-ইঞ্জিনিয়ার সামসুল হক। এছাড়া কেদারনগর রাস্তায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করার অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে নির্মিত রাস্তা পরিদর্শনে যান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ বলেন, সংবাদ শুনে সাব-ইঞ্জিনিয়ার সামসুল হককে পাঠানো হয়েছে। সঠিক ইটের পরিমাণ ও রাস্তার পরিমাণ অনুযায়ী মেপে তাদের বিল দেওয়া হবে। যদি ইটে কোন ধরণে রাস্তা নির্মাণে কারসাজি হয়, তাহলে নিম্নমানের ইট অপসরণ করে আবারো নতুন ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে হবে।
সাব-ইঞ্জিনিয়ার সামসুল হক জানান, সোমবার বিকেলে নির্মিত রাস্তা পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শনের সময় বেলগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু উপস্থিত ছিলেন। তিনি, রাস্তায় নিম্নমানের ইট ব্যবহারে বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি আরও বলেন, আজ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীকে নিয়ে আবারো রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন জানান, এডিপি প্রকল্পের কাজ সরকারি নিয়মে করতে হবে। কেউ নিম্নমানের কাজ করে টাকা উত্তোলন করবে, এটা হবে না। গতকাল বিকেলে কেদারনগর রাস্তা নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।