ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা : উভয়পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩ : আটক ৪

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:১০:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জুন ২০১৮
  • / ৩১৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ ছাদেমুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ ছাদেমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। এ সময় পুলিশ চারজনকে আটক করে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টির মিমাংসা করা হয় ও আটককৃতদেরকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয়। আহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ জলিবিলা গ্রামের মাদার আলীর ছেলে আক্তার আলী (৩২), একই এলাকার মনিরুলের ছেলে মজিবুল হক (৩০) ও সলিম মোল্লার ছেলে জুয়েল রানা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন যাবত সরোজগঞ্জ ছাদেমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন কে কেন্দ্র করে মা ও স্বাধীন প্যানেলের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। এই নিয়ে গতকাল রাতে পদ্মবিলা ইউনিয়মের চেয়ারম্যান আবু তাহেরকে ইউপি সদস্য সলিম মোল্লা গালিগালাজ করে। পরে আবু তাহের বিষয়টি প্রতিবাদ করলে দু’জনের মধ্যে বাকবিত-ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আবু তাহের উত্তেজিত হয়ে ইউপি সদস্য সলিম মোল্লাকে লাথি মারে। এই নিয়ে উভয়পক্ষের লোজকজনের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর জখম হয়। এ সময় পুরো গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মজিফুর রহমান, বেল্টু, শিপন আলী ও বিপ্লব নামের চারজনকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং চারজনকে আটক করা হয়। পরে সদর থানা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষকে সাবধান করেন ও কোন গন্ডগোল না করার অঙ্গীকার করে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা : উভয়পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩ : আটক ৪

আপলোড টাইম : ০৮:১০:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জুন ২০১৮

চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ ছাদেমুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ ছাদেমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। এ সময় পুলিশ চারজনকে আটক করে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টির মিমাংসা করা হয় ও আটককৃতদেরকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়া হয়। আহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ জলিবিলা গ্রামের মাদার আলীর ছেলে আক্তার আলী (৩২), একই এলাকার মনিরুলের ছেলে মজিবুল হক (৩০) ও সলিম মোল্লার ছেলে জুয়েল রানা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন যাবত সরোজগঞ্জ ছাদেমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন কে কেন্দ্র করে মা ও স্বাধীন প্যানেলের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। এই নিয়ে গতকাল রাতে পদ্মবিলা ইউনিয়মের চেয়ারম্যান আবু তাহেরকে ইউপি সদস্য সলিম মোল্লা গালিগালাজ করে। পরে আবু তাহের বিষয়টি প্রতিবাদ করলে দু’জনের মধ্যে বাকবিত-ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে আবু তাহের উত্তেজিত হয়ে ইউপি সদস্য সলিম মোল্লাকে লাথি মারে। এই নিয়ে উভয়পক্ষের লোজকজনের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর জখম হয়। এ সময় পুরো গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মজিফুর রহমান, বেল্টু, শিপন আলী ও বিপ্লব নামের চারজনকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে সরোজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং চারজনকে আটক করা হয়। পরে সদর থানা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষকে সাবধান করেন ও কোন গন্ডগোল না করার অঙ্গীকার করে চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।