ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের দাবিতে গণসাক্ষর ও লিখিত অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৩১১ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিকী সাধারণ সভা ও
দর্শনা অফিস: দর্শনা কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিকী সাধারণ সভা ও নির্বাচনের দাবিতে গণসাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ করেছেন। গঠণতন্ত্র ও শ্রম আইন-২০০৬ এর বিধি মোতাবেক কেরুজ ট্রেড ইউনিয়নের কার্যকারী কমিটির দ্বি-বার্ষিকী নির্বাচন দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগে পরবর্তী কার্যকরি কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠান করা একান্ত অপরিহার্য। গত কার্যকারী কমিটির দ্বি-বার্ষিকী নির্বাচন ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে মোতাবেক বিগত কমিটির মেয়াদ দুই বছর পূর্ণ হয়েও এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আজ অবদি সাধারণ সভা ডাকা হয়নি। ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র ১৬ (ঘ) অনুচ্ছেদ মোতাবেক নির্বাচনের ১৫ দিন পূর্বেই রেজিষ্ট্রার ও খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালককে নির্বাচনের তারিখ সময় ও স্থান সর্ম্পকে অবহতি করা করেনি বর্তমান কমিটি। এ ছাড়া কার্যকরী কমিটির সমাপনি সভা ও দ্বি-বার্ষিকী সাধারণ সভা না করায় সাধারণ শ্রমিক ও কর্মচারীরা অভিযোগ তুলেছেন।
ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র ২১ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইংরেজি বছর শুরু হইবার পূর্বেই সাধারণ সভা বাধ্যতামূলক। নির্বাচনী মেয়াদ এবং ইংরেজি বছর শেষ হলেও এ যাবৎ সাধারণ সভা করার কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে সাধারণ শ্রমিক ও কর্মচারীরা হতাশা প্রকাশ করে অতি দ্রুত নির্বাচন দাবি করে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন, যুগ্ম শ্রম পরিচালক (খুলনা বিভাগ), উপপরিচালক আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর ও দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেড গণ-সাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া মৌসুমী শ্রমিকরা মাড়াই মৌসুম চলাকালীন নির্বাচনের দাবি তুলেছে।
এদিকে, বিরোধী শ্রমিক নেতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ জানান, ১৯৫৮ সাল থেকে প্রতিটি মাড়াই মৌসুমে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন হয়ে আসছে। সে নিয়ম ভাঙ্গা ঠিক হবে না। চলতি আখ মাড়াই মৌসুম শেষে নির্বাচন হলে প্রায় ১ হাজার ৫০ জন শ্রমিকের মধ্যে স্থানীয় শ্রমিক ছাড়া বাইরের অর্ধেক শ্রমিক তারা তাদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ দর্শনা বাইরের শ্রমিকরা তাদের একটি ভোট দিতে নিজেদের আসা যাওয়ার খরচ ভোট দিতে আসবে না বলে জানান। ফলে প্রায় অর্ধেক শ্রমিক ও কর্মচারী ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হবে। এ কারণে আখ মাড়াই মৌসুমের মধ্যে নির্বাচনা করার দাবি করেন মৌসুমী শ্রমিকরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নির্বাচনের দাবিতে গণসাক্ষর ও লিখিত অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:৪৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৯

দর্শনা কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিকী সাধারণ সভা ও
দর্শনা অফিস: দর্শনা কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিকী সাধারণ সভা ও নির্বাচনের দাবিতে গণসাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ করেছেন। গঠণতন্ত্র ও শ্রম আইন-২০০৬ এর বিধি মোতাবেক কেরুজ ট্রেড ইউনিয়নের কার্যকারী কমিটির দ্বি-বার্ষিকী নির্বাচন দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগে পরবর্তী কার্যকরি কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠান করা একান্ত অপরিহার্য। গত কার্যকারী কমিটির দ্বি-বার্ষিকী নির্বাচন ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে মোতাবেক বিগত কমিটির মেয়াদ দুই বছর পূর্ণ হয়েও এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আজ অবদি সাধারণ সভা ডাকা হয়নি। ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র ১৬ (ঘ) অনুচ্ছেদ মোতাবেক নির্বাচনের ১৫ দিন পূর্বেই রেজিষ্ট্রার ও খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালককে নির্বাচনের তারিখ সময় ও স্থান সর্ম্পকে অবহতি করা করেনি বর্তমান কমিটি। এ ছাড়া কার্যকরী কমিটির সমাপনি সভা ও দ্বি-বার্ষিকী সাধারণ সভা না করায় সাধারণ শ্রমিক ও কর্মচারীরা অভিযোগ তুলেছেন।
ট্রেড ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র ২১ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইংরেজি বছর শুরু হইবার পূর্বেই সাধারণ সভা বাধ্যতামূলক। নির্বাচনী মেয়াদ এবং ইংরেজি বছর শেষ হলেও এ যাবৎ সাধারণ সভা করার কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে সাধারণ শ্রমিক ও কর্মচারীরা হতাশা প্রকাশ করে অতি দ্রুত নির্বাচন দাবি করে কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন, যুগ্ম শ্রম পরিচালক (খুলনা বিভাগ), উপপরিচালক আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর ও দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেড গণ-সাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া মৌসুমী শ্রমিকরা মাড়াই মৌসুম চলাকালীন নির্বাচনের দাবি তুলেছে।
এদিকে, বিরোধী শ্রমিক নেতা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ জানান, ১৯৫৮ সাল থেকে প্রতিটি মাড়াই মৌসুমে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন হয়ে আসছে। সে নিয়ম ভাঙ্গা ঠিক হবে না। চলতি আখ মাড়াই মৌসুম শেষে নির্বাচন হলে প্রায় ১ হাজার ৫০ জন শ্রমিকের মধ্যে স্থানীয় শ্রমিক ছাড়া বাইরের অর্ধেক শ্রমিক তারা তাদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ দর্শনা বাইরের শ্রমিকরা তাদের একটি ভোট দিতে নিজেদের আসা যাওয়ার খরচ ভোট দিতে আসবে না বলে জানান। ফলে প্রায় অর্ধেক শ্রমিক ও কর্মচারী ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হবে। এ কারণে আখ মাড়াই মৌসুমের মধ্যে নির্বাচনা করার দাবি করেন মৌসুমী শ্রমিকরা।