ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৯
  • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস
বিশেষ প্রতিবেদক:
৩য় ধাপে সারাদেশের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার ঘোষণা দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। তিনি বলেছেন, ‘কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কোন আপোষ করা হবে না। নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করলে সেই প্রার্থী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গতকাল রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের অস্থায়ী সম্মেলন কক্ষে (অফিসার্স ক্লাব অডিটোরিয়াম) আয়োজিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এরআগে সকাল ১০টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমেদের তত্ত্বাবধানে সভার কার্যক্রম শুরু হয়। জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে বিগত মাসের কর্মসূচী তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ঢাঁক ঢোল পিটিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান নয়, আকস্মিক অভিযানে মাদকের আস্তানা লন্ডভন্ড করা হবে। নিয়মিত অভিযান চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা শহরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে। সকলকে সঙ্গে নিয়ে কিছুদিনের মধ্যে শহীদ হাসান চত্ত্বর থেকে রেলগেট পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
জেলা শহরে যানজট নিরসন ও ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে এক বক্তব্যে পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘শহরে যানজট নিরসনে বড় বাঁধা নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যান। এ সমস্যা সমাধানে পৌরসভা থেকে লাইসেন্স করার সুযোগ রয়েছে। পৌরসভার অন্তর্গত ইজিবাইক চালকরা পৌরসভা থেকে এবং গ্রাম পর্যায়ের চালকরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন। সকলে লাইসেন্স নিলে আমরা চলাচলকারী ইজিবাইকের পরিসংখ্যান পেতে পারি এবং সে অনুযায়ী রুট নির্ধারণ করে ইজিবাইক চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারি।’ এজন্য ইজিবাইক মালিক/চালকদের লাইসেন্স প্রতি মাত্র ২ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। তবে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে সকলকে লাইসেন্স করার সুযোগ করে দিতে কিছু টাকা কম নেয়ার কথা জানিয়েছেন পৌর মেয়র।
এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ছোট-বড় সকল প্রকার যানবাহন চালনায় চালকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। বিশেষ করে রাতে চলাচলকারী যানবাহন যেমন, ট্রাক্টরে সামনে দু’টি লাইট থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটি নষ্ট দেখা যায়। আর একটি লাইটের কারণে সেটিকে ছোট যান মনে হয় আর দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়। তাই ট্রাক্টরসহ সকল বড় যানবাহনের সামনে পিছনে দৃশ্যমান লাইট ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলাজুড়ে কোথাও কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নেই। তবে মাদকের যে আগ্রাসন রয়েছে তা মোকাবেলায় অভিযান অব্যহত রয়েছে।’ বিভিন্ন সময়ের চাঞ্চল্যকর ও লৌমহর্ষক মামলার বর্তবান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের হাতে এখন পর্যন্ত ১০টি চাঞ্চল্যকর ও লৌমহর্ষক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে বিচারাধীন ৮টি ও সাজাপ্রাপ্ত মামলা ২টি।’
সভায় অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীনসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান, আইন-শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে

আপলোড টাইম : ০৯:৫০:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০১৯

চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস
বিশেষ প্রতিবেদক:
৩য় ধাপে সারাদেশের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার ঘোষণা দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। তিনি বলেছেন, ‘কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কোন আপোষ করা হবে না। নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করলে সেই প্রার্থী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গতকাল রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের অস্থায়ী সম্মেলন কক্ষে (অফিসার্স ক্লাব অডিটোরিয়াম) আয়োজিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এরআগে সকাল ১০টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমেদের তত্ত্বাবধানে সভার কার্যক্রম শুরু হয়। জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে বিগত মাসের কর্মসূচী তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ঢাঁক ঢোল পিটিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান নয়, আকস্মিক অভিযানে মাদকের আস্তানা লন্ডভন্ড করা হবে। নিয়মিত অভিযান চলছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা শহরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে। সকলকে সঙ্গে নিয়ে কিছুদিনের মধ্যে শহীদ হাসান চত্ত্বর থেকে রেলগেট পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
জেলা শহরে যানজট নিরসন ও ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে এক বক্তব্যে পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, ‘শহরে যানজট নিরসনে বড় বাঁধা নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যান। এ সমস্যা সমাধানে পৌরসভা থেকে লাইসেন্স করার সুযোগ রয়েছে। পৌরসভার অন্তর্গত ইজিবাইক চালকরা পৌরসভা থেকে এবং গ্রাম পর্যায়ের চালকরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন। সকলে লাইসেন্স নিলে আমরা চলাচলকারী ইজিবাইকের পরিসংখ্যান পেতে পারি এবং সে অনুযায়ী রুট নির্ধারণ করে ইজিবাইক চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারি।’ এজন্য ইজিবাইক মালিক/চালকদের লাইসেন্স প্রতি মাত্র ২ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। তবে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে সকলকে লাইসেন্স করার সুযোগ করে দিতে কিছু টাকা কম নেয়ার কথা জানিয়েছেন পৌর মেয়র।
এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ছোট-বড় সকল প্রকার যানবাহন চালনায় চালকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। বিশেষ করে রাতে চলাচলকারী যানবাহন যেমন, ট্রাক্টরে সামনে দু’টি লাইট থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটি নষ্ট দেখা যায়। আর একটি লাইটের কারণে সেটিকে ছোট যান মনে হয় আর দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়। তাই ট্রাক্টরসহ সকল বড় যানবাহনের সামনে পিছনে দৃশ্যমান লাইট ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জেলাজুড়ে কোথাও কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নেই। তবে মাদকের যে আগ্রাসন রয়েছে তা মোকাবেলায় অভিযান অব্যহত রয়েছে।’ বিভিন্ন সময়ের চাঞ্চল্যকর ও লৌমহর্ষক মামলার বর্তবান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ‘আমাদের হাতে এখন পর্যন্ত ১০টি চাঞ্চল্যকর ও লৌমহর্ষক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে বিচারাধীন ৮টি ও সাজাপ্রাপ্ত মামলা ২টি।’
সভায় অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীনসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান, আইন-শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা।