ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিজ উদ্যোগে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নিতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ২০৩ বার পড়া হয়েছে

মুজিববর্ষ উপলক্ষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযানের উদ্বোধন করলেন এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) উপলক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল রোববার বিকাল ৩টায় শহীদ হাসান চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা শহরজুড়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর’ এ প্রতিপাদ্যে অভিযানের অংশ হিসেবে শহরের বিভিন্ন জায়গার ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণ করা হয়। অতিথিরা নিজ হাতে এসব ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ করেন।
এর আগে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, মনের পরিষ্কার আগে, জামা-কাপড়ের পরিষ্কার পরে। মনে বিষয়টাকে মেনে নিয়ে কাজ করলে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জেলা করা খুব সহজেই সম্ভব। নিজেদেরকে সচেতন করতে হবে। আমাদের নিজেদের গ্রাম, নিজেদের শহর নিজেদেরকেই পরিষ্কার রাখতে হবে। জেলা প্রশাসন কিংবা পৌরসভার দিকে তাকিয়ে না থেকে সবার স্ব-স্ব জায়গা থেকে নিজ উদ্যোগে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। তবেই আমরা সুন্দর শহর গড়ে তুলতে পারবো।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সারা দেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হবে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আজকে আমরা উদ্বোধনের আয়োজন করেছি। আমাদের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে, সেটি আমাদের রুচিবোধে প্রকাশ পেতে হবে। নিজেরকে আমরা যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে, পরিপাটি করে রাখি, তেমনি চারপাশকে পরিষ্কার করতে হবে। আমরা নিজেরা যদি চেষ্টা করি তাহলে আমরা খুব সহজেই এ কাজটিকে করতে পারবো। আমাদেরকে ময়লা আর্বজনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। সচেতন হতে হবে। মুজিবর্ষ থেকে এ কাজটি শুরু করে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন চুয়াডাঙ্গা জেলা আমাদের গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরেফিন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু, জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সাহান, এনডিসি সিব্বির আহমেদসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
পরে শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও জন সাধারনের মধ্যে শহর-গ্রাম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নিজ উদ্যোগে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নিতে হবে

আপলোড টাইম : ০৯:৩৭:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০

মুজিববর্ষ উপলক্ষে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযানের উদ্বোধন করলেন এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) উপলক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল রোববার বিকাল ৩টায় শহীদ হাসান চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা শহরজুড়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়। ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম, পরিচ্ছন্ন শহর’ এ প্রতিপাদ্যে অভিযানের অংশ হিসেবে শহরের বিভিন্ন জায়গার ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণ করা হয়। অতিথিরা নিজ হাতে এসব ব্যানার ফেস্টুন অপসারণ করেন।
এর আগে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, মনের পরিষ্কার আগে, জামা-কাপড়ের পরিষ্কার পরে। মনে বিষয়টাকে মেনে নিয়ে কাজ করলে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জেলা করা খুব সহজেই সম্ভব। নিজেদেরকে সচেতন করতে হবে। আমাদের নিজেদের গ্রাম, নিজেদের শহর নিজেদেরকেই পরিষ্কার রাখতে হবে। জেলা প্রশাসন কিংবা পৌরসভার দিকে তাকিয়ে না থেকে সবার স্ব-স্ব জায়গা থেকে নিজ উদ্যোগে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। তবেই আমরা সুন্দর শহর গড়ে তুলতে পারবো।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সারা দেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হবে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আজকে আমরা উদ্বোধনের আয়োজন করেছি। আমাদের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে, সেটি আমাদের রুচিবোধে প্রকাশ পেতে হবে। নিজেরকে আমরা যেমন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে, পরিপাটি করে রাখি, তেমনি চারপাশকে পরিষ্কার করতে হবে। আমরা নিজেরা যদি চেষ্টা করি তাহলে আমরা খুব সহজেই এ কাজটিকে করতে পারবো। আমাদেরকে ময়লা আর্বজনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। সচেতন হতে হবে। মুজিবর্ষ থেকে এ কাজটি শুরু করে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন চুয়াডাঙ্গা জেলা আমাদের গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরেফিন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু, জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সাহান, এনডিসি সিব্বির আহমেদসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
পরে শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও জন সাধারনের মধ্যে শহর-গ্রাম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।