ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিজের প্রাইভেট রোগীকে তুললেন চিকিৎসক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ২৭৮ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বেড থেকে রোগী নামিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বেড থেকে রোগী নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই বেডে নিজের প্রাইভেট রোগীকে তোলার অভিযোগও উঠেছে ওই চিকিৎসকের নামে। গতকাল সকালে  হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগকারী সুত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের মালিতাপাড়ার রইসুদ্দীনের চার মাসের ছেলে সাইফ গত শনিবার সকাল  দিকে সদর হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে ভর্তি হয়। শিশু সাইফ শিশু ওয়ার্ডের এক্সট্রা ৪নং বেডে চিকিৎসাধীন ছিলো। গতকাল সকালে ওই চিকিৎসক হাসপাতালে রাউন্ডে এসে শিশু সাইফকে বেড থেকে নামিয়ে দেন। তিনি বলেন- আমার রোগি তিনদিনের শিশু এই বেডে থেকে চিকিৎসা নিবে। না হলে ওর সাথে শেয়ার করে এই বেডে থাকতে হবে। পরে রাতে আবার রাউন্ডে এসে দেখে শিশু সাইফের মা সাইফকে নিয়ে এখনো ওই বেডে আছে। পরে শিশু সাইফ ও তার মাকে ফ্লোরে নামিয়ে দেন ওই চিকিৎসক। পরে ওই বেডে কেদারগঞ্জ সিএন্ডপাড়ার ফরিদুলের ৭দিনের ছেলে রুমানকে তুলে দেন। এ নিয়ে রোগিদের মধ্যে আলোচলা-সমালোচনা হতে থাকে।
এ বিষয়ে ডা. খোকনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- এই ওয়ার্ডে আমি আর ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন ভাগাভাগি করে চিকিৎসা দিয়ে থাকি। এটা আমার রোগি তাই আমি বেড ছাড়তে বলেছি, তবে এটা ও বলেছি তোমরা বেডটি ভাগাভাগি করে থাক। আর ওই বাচ্চাটি তিনদিনের। নিচে থাকলে সমস্যা হতে পারে তাই আমি বলেছি বেড মেয়ার করে নিয়ে থাকতে। যাতে দুটো শিশুই সুচিকিৎসা পাই।
এ বিষয়ে ডা. মিলন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, আমি এখন কুষ্টিয়াতে আছি। কালকে এসে জানতে পারবো কি ঘটেছে। তবে আমি যেটুকু শুনেছি সেটা হলো, ডা. খোকন একটি বেড ভাগাভাগি করে থাকতে বলেছেন। এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের আরএমও ডা. শামিম কবিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নিজের প্রাইভেট রোগীকে তুললেন চিকিৎসক

আপলোড টাইম : ০৫:২৮:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বেড থেকে রোগী নামিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বেড থেকে রোগী নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই বেডে নিজের প্রাইভেট রোগীকে তোলার অভিযোগও উঠেছে ওই চিকিৎসকের নামে। গতকাল সকালে  হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগকারী সুত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের মালিতাপাড়ার রইসুদ্দীনের চার মাসের ছেলে সাইফ গত শনিবার সকাল  দিকে সদর হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে ভর্তি হয়। শিশু সাইফ শিশু ওয়ার্ডের এক্সট্রা ৪নং বেডে চিকিৎসাধীন ছিলো। গতকাল সকালে ওই চিকিৎসক হাসপাতালে রাউন্ডে এসে শিশু সাইফকে বেড থেকে নামিয়ে দেন। তিনি বলেন- আমার রোগি তিনদিনের শিশু এই বেডে থেকে চিকিৎসা নিবে। না হলে ওর সাথে শেয়ার করে এই বেডে থাকতে হবে। পরে রাতে আবার রাউন্ডে এসে দেখে শিশু সাইফের মা সাইফকে নিয়ে এখনো ওই বেডে আছে। পরে শিশু সাইফ ও তার মাকে ফ্লোরে নামিয়ে দেন ওই চিকিৎসক। পরে ওই বেডে কেদারগঞ্জ সিএন্ডপাড়ার ফরিদুলের ৭দিনের ছেলে রুমানকে তুলে দেন। এ নিয়ে রোগিদের মধ্যে আলোচলা-সমালোচনা হতে থাকে।
এ বিষয়ে ডা. খোকনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- এই ওয়ার্ডে আমি আর ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন ভাগাভাগি করে চিকিৎসা দিয়ে থাকি। এটা আমার রোগি তাই আমি বেড ছাড়তে বলেছি, তবে এটা ও বলেছি তোমরা বেডটি ভাগাভাগি করে থাক। আর ওই বাচ্চাটি তিনদিনের। নিচে থাকলে সমস্যা হতে পারে তাই আমি বলেছি বেড মেয়ার করে নিয়ে থাকতে। যাতে দুটো শিশুই সুচিকিৎসা পাই।
এ বিষয়ে ডা. মিলন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, আমি এখন কুষ্টিয়াতে আছি। কালকে এসে জানতে পারবো কি ঘটেছে। তবে আমি যেটুকু শুনেছি সেটা হলো, ডা. খোকন একটি বেড ভাগাভাগি করে থাকতে বলেছেন। এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের আরএমও ডা. শামিম কবিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।