ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নাস্তিপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
  • / ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

দাফনকার্যে গ্রামবাসীর বাধা, পুলিশি হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন
দর্শনা অফিস:
দামড়হুদার নাস্তিপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে আক্তারুল (৪০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্তারুল দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গোরস্তানপাড়ার আব্দুল জলিলের ৫ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। গতকাল শনিবার সকালে বাড়িতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয় পরিবারের সদস্যরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা দুইটার দিকে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে নিহতের লাশ গ্রামের বাড়ি নাস্তিপুরে নিয়ে আসা হয়। এ সময় গ্রামের লোকজন মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনে বাঁধা সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে দর্শনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে স্থানীয় উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পুলিশি হস্তক্ষেপে রাত ১০টার দিকে নাস্তিপুর কবরস্থানে আক্তারুলের দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
এ বিষয়ে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম বলেন, ‘আমি সকালের দিকে আক্তারুলের বিষয়ে জানার পর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। পরে করোনা উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পারলাম। ইউনিয়ন পরিষদ ও দর্শনা থানার পক্ষে তাঁর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, নাস্তিপুরের মৃত ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত সনদ দিয়েছে।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (টিএসও) ডা. আবু হেনা শেখ জামাল শুভ জানান, নাস্তিপুরের একটি রোগী সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিল। রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছিল। তবে রোগী প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছিল।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির জানান, মৃত আক্তারুলের মধ্যে কোনো করোনা উপসর্গ ছিল না। বুকে ও পেটে ব্যাথার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, আক্তারুলের করোনা না হলেও তাঁর মধ্যে করোনার উপসর্গ ছিল। তা ছাড়া গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষ তাঁর ওপর বিভিন্ন কার্যক্রমে ক্ষিপ্ত। নাস্তিপুর গ্রামের আ. জলিলের ছোট ছেলে আক্তারুল বছর দশেক আগে শরীরে বিভিন্ন হরমন জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে ৩য় লিঙ্গে রুপান্তর হয়। পরে কখনো শাড়ী পরে, কখনো কামিজ পরে বিভিন্ন স্থানে ৩য় লিঙ্গের মানুষের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন বলে গ্রামবাসী তাঁর দাফনকার্যে বাধা দিয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নাস্তিপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৯:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০

দাফনকার্যে গ্রামবাসীর বাধা, পুলিশি হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন
দর্শনা অফিস:
দামড়হুদার নাস্তিপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে আক্তারুল (৪০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্তারুল দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গোরস্তানপাড়ার আব্দুল জলিলের ৫ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। গতকাল শনিবার সকালে বাড়িতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয় পরিবারের সদস্যরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা দুইটার দিকে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে নিহতের লাশ গ্রামের বাড়ি নাস্তিপুরে নিয়ে আসা হয়। এ সময় গ্রামের লোকজন মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনে বাঁধা সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে দর্শনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে স্থানীয় উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পুলিশি হস্তক্ষেপে রাত ১০টার দিকে নাস্তিপুর কবরস্থানে আক্তারুলের দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
এ বিষয়ে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম বলেন, ‘আমি সকালের দিকে আক্তারুলের বিষয়ে জানার পর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। পরে করোনা উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পারলাম। ইউনিয়ন পরিষদ ও দর্শনা থানার পক্ষে তাঁর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, নাস্তিপুরের মৃত ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত সনদ দিয়েছে।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (টিএসও) ডা. আবু হেনা শেখ জামাল শুভ জানান, নাস্তিপুরের একটি রোগী সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিল। রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছিল। তবে রোগী প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছিল।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শামীম কবির জানান, মৃত আক্তারুলের মধ্যে কোনো করোনা উপসর্গ ছিল না। বুকে ও পেটে ব্যাথার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, আক্তারুলের করোনা না হলেও তাঁর মধ্যে করোনার উপসর্গ ছিল। তা ছাড়া গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষ তাঁর ওপর বিভিন্ন কার্যক্রমে ক্ষিপ্ত। নাস্তিপুর গ্রামের আ. জলিলের ছোট ছেলে আক্তারুল বছর দশেক আগে শরীরে বিভিন্ন হরমন জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে ৩য় লিঙ্গে রুপান্তর হয়। পরে কখনো শাড়ী পরে, কখনো কামিজ পরে বিভিন্ন স্থানে ৩য় লিঙ্গের মানুষের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন বলে গ্রামবাসী তাঁর দাফনকার্যে বাধা দিয়েছে।