ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নামাজ দীনের অন্যতম এক স্তম্ভ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮
  • / ২৮৪ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহতায়ালা দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। আত্মার পরিচর্যার সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে নামাজ। নামাজের মাধ্যমে রুহের সঙ্গে তার রবের যোগাযোগ অবিচ্ছিন্ন থাকে। ফলে রুহকে কোনো দুর্বলতা স্পর্শ করে না। রিপু ও কামনা-বাসনাসহ দেহ ব্যক্তির ওপর বিজয়ী হতে পারে না। নামাজ দীনের অন্যতম এক স্তম্ভ। যে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ করে, সে ইমানের গ-ির প্রায় বাইরে। তাই মুসলমান হিসেবে আমাদের কারণীয় হলো, নিজে নামাজ পড়া, নিজ পরিবারভুক্তদের বিশেষ করে সন্তানদের নামাজে অভ্যস্ত করে তোলা। নামাজের গুরুত্ব কোরআন শিক্ষা, লেখাপড়া ও হিসাব-নিকাশ শেখানোর চেয়ে বেশি। বাবা-মা হিসেবে আমরা কি সত্যিই এর গুরুত্ব অনুধাবন করি? অনেক অভিভাবক আছেন, যারা সন্তানকে দশ বছর ধরে বিদ্যালয়ে আনা-নেয়া করে ক্লান্ত। কখনো তাদের হোমওয়ার্ক করাতে গিয়ে রাত জাগেন, অথচ সন্তানকে কখনো নামাজের আদেশ দেন না; নামাজের অপরিমেয় গুরুত্ব সম্পর্কে সজাগ করেন না। অনেক উদাসীন মুসলমান মনে করেন, সন্তান বড় হলে ঠিকই নামাজ আদায় করবে। প্রাপ্ত বয়স না হওয়া অবধি তার আর নামাজ কী! তাদের নামাজের জন্য কোনো কথাই বলেন না। এদিকে যথাযথ শিক্ষা না পাওয়ায় সন্তানরাও সুযোগ গ্রহণ করে। ইহকালীন বিষয়ের মতো পরকালীন ব্যাপারেও বাবা-মার সঙ্গে ধূর্তামি করে। নামাজ আদায় না করেও তারা বাবাকে ইতিবাচক উত্তর দেয়। তারা মনে করে, এখন কেন, আমরা তো বুড়ো বয়সে নামাজ পড়ব। নামাজের অপরিসীম গুরুত্বের কারণে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) শৈশব-কৈশোর থেকেই সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করাতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের সন্তানদের সাত বছর হলে নামাজের নির্দেশ দাও, তাদের বয়স দশ বছর হলে এ জন্য প্রহার করো এবং তাদের পরস্পরে বিছানা পৃথক করে দাও।’ -আবু দাউদ। অথচ সাধারণ মুসলিমরা তো দূরের কথা, যারা নিয়মিত নামাজ আদায় করেন, শরীয়তের গ-ির মধ্যে থেকে জীবনযাপনের চেষ্টা করেন, তারাও এ ব্যাপারে কর্তব্যে অবহেলা করে থাকেন। এটা মোটেও কাম্য নয়। তাই প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উচিত, নিজেকে এ দায়িত্বের জন্য প্রস্তুত করা। সন্তানদের নামাজে অভ্যস্ত করে তোলা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নামাজ দীনের অন্যতম এক স্তম্ভ

আপলোড টাইম : ১১:০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: আল্লাহতায়ালা দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। আত্মার পরিচর্যার সর্বোত্তম মাধ্যম হচ্ছে নামাজ। নামাজের মাধ্যমে রুহের সঙ্গে তার রবের যোগাযোগ অবিচ্ছিন্ন থাকে। ফলে রুহকে কোনো দুর্বলতা স্পর্শ করে না। রিপু ও কামনা-বাসনাসহ দেহ ব্যক্তির ওপর বিজয়ী হতে পারে না। নামাজ দীনের অন্যতম এক স্তম্ভ। যে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ করে, সে ইমানের গ-ির প্রায় বাইরে। তাই মুসলমান হিসেবে আমাদের কারণীয় হলো, নিজে নামাজ পড়া, নিজ পরিবারভুক্তদের বিশেষ করে সন্তানদের নামাজে অভ্যস্ত করে তোলা। নামাজের গুরুত্ব কোরআন শিক্ষা, লেখাপড়া ও হিসাব-নিকাশ শেখানোর চেয়ে বেশি। বাবা-মা হিসেবে আমরা কি সত্যিই এর গুরুত্ব অনুধাবন করি? অনেক অভিভাবক আছেন, যারা সন্তানকে দশ বছর ধরে বিদ্যালয়ে আনা-নেয়া করে ক্লান্ত। কখনো তাদের হোমওয়ার্ক করাতে গিয়ে রাত জাগেন, অথচ সন্তানকে কখনো নামাজের আদেশ দেন না; নামাজের অপরিমেয় গুরুত্ব সম্পর্কে সজাগ করেন না। অনেক উদাসীন মুসলমান মনে করেন, সন্তান বড় হলে ঠিকই নামাজ আদায় করবে। প্রাপ্ত বয়স না হওয়া অবধি তার আর নামাজ কী! তাদের নামাজের জন্য কোনো কথাই বলেন না। এদিকে যথাযথ শিক্ষা না পাওয়ায় সন্তানরাও সুযোগ গ্রহণ করে। ইহকালীন বিষয়ের মতো পরকালীন ব্যাপারেও বাবা-মার সঙ্গে ধূর্তামি করে। নামাজ আদায় না করেও তারা বাবাকে ইতিবাচক উত্তর দেয়। তারা মনে করে, এখন কেন, আমরা তো বুড়ো বয়সে নামাজ পড়ব। নামাজের অপরিসীম গুরুত্বের কারণে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) শৈশব-কৈশোর থেকেই সন্তানকে নামাজে অভ্যস্ত করাতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের সন্তানদের সাত বছর হলে নামাজের নির্দেশ দাও, তাদের বয়স দশ বছর হলে এ জন্য প্রহার করো এবং তাদের পরস্পরে বিছানা পৃথক করে দাও।’ -আবু দাউদ। অথচ সাধারণ মুসলিমরা তো দূরের কথা, যারা নিয়মিত নামাজ আদায় করেন, শরীয়তের গ-ির মধ্যে থেকে জীবনযাপনের চেষ্টা করেন, তারাও এ ব্যাপারে কর্তব্যে অবহেলা করে থাকেন। এটা মোটেও কাম্য নয়। তাই প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উচিত, নিজেকে এ দায়িত্বের জন্য প্রস্তুত করা। সন্তানদের নামাজে অভ্যস্ত করে তোলা।