ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নানা টানাপোড়েনে স্থবির প্রশাসন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ এপ্রিল ২০১৮
  • / ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে

নানা শঙ্কায় সীমাবদ্ধ থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে প্রশাসন কর্তারা
ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচনী বছরে এসে স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে প্রশাসনে। জানা-অজানা নানা শঙ্কায় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও নিয়োগসহ অনেক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অনিহার ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন নতুন প্রকল্প গ্রহণের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ঢিমেতালে চলছে, অন্যদিকে বাস্তবায়নাধীন নানা উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের এখনও ৮-৯ মাসের মতো অবশিষ্ট থাকলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রশাসনের মধ্যে এখনই ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কের কারণে সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে বিঘœ ঘটছে বলে মনে করছেন প্রশাসন-অভিজ্ঞরা।
প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে, বিশেষ করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকায় তারা এক ধরনের বাড়তি সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছেন। এই সময়ে এসে প্রশাসনের ওপর নানা ধরনের বাড়তি নজরদারি এবং কে কখন কাকে ডাকবে সেই অজানা আতঙ্ক এ বাড়তি সতর্কাবস্থানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে।
এ সরকারের বড় ধরনের নানামুখী সাফল্য থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক তথা পিডিদের কালক্ষেপণের মনোভাব প্রকল্প বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এমনকি অনুমোদিত প্রকল্পের বাস্তবায়নও পিছিয়ে পড়ছে ওই কারণে। কিন্তু অনেকের মত ভিন্ন। তাদের মতে, বাড়তি আতঙ্কিত নজরদারি এড়াতেই তারা সামনের দিনগুলোতে সতর্ক থাকতে চান। প্রশাসন মূলত এখন দৈনন্দিন কার্যক্রম চালানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উন্নয়ন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের এহেন মনোভাব কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত করছে।
তাছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত সরকারের শেষ বছরে গৃহীত কার্যক্রমকে বেছে নেওয়া হয়। যার কারণে ভোটের বছরে এসে নতুন করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রশাসন কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে। অতীত অভিজ্ঞতা ও সামগ্রিক প্রেক্ষাপট মাথায় রেখেই দৈনন্দিন কার্যক্রমের বাইরে কিছু করাকে নিরাপদ ভাবতে পারেন না প্রশাসনের নীতিনির্ধারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, ভোটের বছরে সার্বিক রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপও প্রশাসনের ওপর এক ধরনের প্রভাব ফেলে। বিদ্যমান সময়ে সরকার বা বিরোধী অনেক রাজনৈতিক নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সরকারের প্রশাসনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও নিজেদের সম্পূর্ণ নিরাপদ মনে করতে পারছেন না। তারাও শঙ্কিত এ কারণে যে কখন আবার তারা ডাকা-ডাকির মধ্যে পড়ে যান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নানা টানাপোড়েনে স্থবির প্রশাসন

আপলোড টাইম : ১০:২৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ এপ্রিল ২০১৮

নানা শঙ্কায় সীমাবদ্ধ থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে প্রশাসন কর্তারা
ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচনী বছরে এসে স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে প্রশাসনে। জানা-অজানা নানা শঙ্কায় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও নিয়োগসহ অনেক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অনিহার ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন নতুন প্রকল্প গ্রহণের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ঢিমেতালে চলছে, অন্যদিকে বাস্তবায়নাধীন নানা উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের এখনও ৮-৯ মাসের মতো অবশিষ্ট থাকলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রশাসনের মধ্যে এখনই ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কের কারণে সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে বিঘœ ঘটছে বলে মনে করছেন প্রশাসন-অভিজ্ঞরা।
প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে, বিশেষ করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকায় তারা এক ধরনের বাড়তি সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছেন। এই সময়ে এসে প্রশাসনের ওপর নানা ধরনের বাড়তি নজরদারি এবং কে কখন কাকে ডাকবে সেই অজানা আতঙ্ক এ বাড়তি সতর্কাবস্থানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে।
এ সরকারের বড় ধরনের নানামুখী সাফল্য থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক তথা পিডিদের কালক্ষেপণের মনোভাব প্রকল্প বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এমনকি অনুমোদিত প্রকল্পের বাস্তবায়নও পিছিয়ে পড়ছে ওই কারণে। কিন্তু অনেকের মত ভিন্ন। তাদের মতে, বাড়তি আতঙ্কিত নজরদারি এড়াতেই তারা সামনের দিনগুলোতে সতর্ক থাকতে চান। প্রশাসন মূলত এখন দৈনন্দিন কার্যক্রম চালানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উন্নয়ন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের এহেন মনোভাব কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত করছে।
তাছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত সরকারের শেষ বছরে গৃহীত কার্যক্রমকে বেছে নেওয়া হয়। যার কারণে ভোটের বছরে এসে নতুন করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রশাসন কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে। অতীত অভিজ্ঞতা ও সামগ্রিক প্রেক্ষাপট মাথায় রেখেই দৈনন্দিন কার্যক্রমের বাইরে কিছু করাকে নিরাপদ ভাবতে পারেন না প্রশাসনের নীতিনির্ধারণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। পর্যবেক্ষক মহল বলছেন, ভোটের বছরে সার্বিক রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপও প্রশাসনের ওপর এক ধরনের প্রভাব ফেলে। বিদ্যমান সময়ে সরকার বা বিরোধী অনেক রাজনৈতিক নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সরকারের প্রশাসনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও নিজেদের সম্পূর্ণ নিরাপদ মনে করতে পারছেন না। তারাও শঙ্কিত এ কারণে যে কখন আবার তারা ডাকা-ডাকির মধ্যে পড়ে যান।