ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নানা আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৪:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ৪০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বই পড়ি স্বদেশ গড়ি’ এই স্লোগানকে সামনে সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় পালিত হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। ১ম বারের মতো দিবসটির উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণ গ্রন্থাগারের যৌথ আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বর থেকে বের হয়ে জেলা সরকারি গণ গ্রন্থাগারে গিয়ে শেষ হয়। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান মো. জিয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বই পড়ার কোন বিকল্প নেই, বই যে কোন জাতির উন্নতির সোপান। আর বই পাঠভ্যাসে গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বই পড়ার সাথে জ্ঞানের সম্পর্ক অপরীসিম; বই পড়লে মানুষের জ্ঞানের দ্যুতি বাড়ে। আমাদের জীবসত্তা জাগ্রত থাকলেও মানবসত্তা জাগ্রত করার সিঁড়ি হচ্ছে বই।’ চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক হেলেনা নাসরিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, পৌর প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) মুন্সী আবু সাঈফ। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, নিয়মিত বই পাঠক ও সূধী জনেরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে ৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর প্রথম বারের মতো সারাদেশব্যাপী জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হয়।


মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, “বই পড়ি, স্বদেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে পালিত হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার দিকে শহরের কলেজ রোডে অবস্থিত জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক খাইরুল হাসান। র‌্যালিটি মেহেরপুর সরকারি কলেজ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা গণগ্রন্থাগার হলরুমে দিবসটির উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা গণগ্রন্থাগারের জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান জুলফিকার মতিন, পৌর প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রভাষক নুরুল আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আশকার আলীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ র‌্যালি ও আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নানা আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন

আপলোড টাইম : ১০:৫৪:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বই পড়ি স্বদেশ গড়ি’ এই স্লোগানকে সামনে সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় পালিত হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। ১ম বারের মতো দিবসটির উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণ গ্রন্থাগারের যৌথ আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য র‌্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বর থেকে বের হয়ে জেলা সরকারি গণ গ্রন্থাগারে গিয়ে শেষ হয়। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান মো. জিয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বই পড়ার কোন বিকল্প নেই, বই যে কোন জাতির উন্নতির সোপান। আর বই পাঠভ্যাসে গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বই পড়ার সাথে জ্ঞানের সম্পর্ক অপরীসিম; বই পড়লে মানুষের জ্ঞানের দ্যুতি বাড়ে। আমাদের জীবসত্তা জাগ্রত থাকলেও মানবসত্তা জাগ্রত করার সিঁড়ি হচ্ছে বই।’ চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক হেলেনা নাসরিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, পৌর প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) মুন্সী আবু সাঈফ। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, নিয়মিত বই পাঠক ও সূধী জনেরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে ৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর প্রথম বারের মতো সারাদেশব্যাপী জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হয়।


মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, “বই পড়ি, স্বদেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে পালিত হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার দিকে শহরের কলেজ রোডে অবস্থিত জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক খাইরুল হাসান। র‌্যালিটি মেহেরপুর সরকারি কলেজ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা গণগ্রন্থাগার হলরুমে দিবসটির উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা গণগ্রন্থাগারের জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান জুলফিকার মতিন, পৌর প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রভাষক নুরুল আহম্মেদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আশকার আলীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ র‌্যালি ও আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করেন।