ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নাগরিক সমাবেশের আদলে আ.লীগের রাজনৈতিক সমাবেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৭:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৩২১ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে স্কুল-কলেজ এবং ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে সমাবেশে আসতে হবে। না আসলে ব্যাংকে কর্মরতদের চাকরি চলে যাবে। সমাবেশটি নাকি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। এটা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সমাবেশ। ৭ মার্চের ভাষণের ওপর ইউনেস্কোর পুরস্কারের জন্য এই সমাবেশ। ভালো কথা অত্যন্ত আনন্দের কথা। কিন্তু প্রত্যেকটি স্কুল ও কলেজকে চিঠি দিয়েছেন না আসলে চাকরি থাকবে না। নাগরিক সমাবেশের আদলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সমাবেশ করছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘ভাসানী স্মৃতি সংসদ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ফখরুল এই অভিযোগ করেন। ফখরুল বলেন, আজকে খুব বড় সমাবেশ হচ্ছে। এই সমাবেশকে বলা হচ্ছে এটা কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, এটা হচ্ছে একটা রাষ্ট্রীয় নাগরিক সমাবেশ। এটা হচ্ছে, যে বক্তব্য ৭ মার্চ দেওয়া হয়েছিল, সেটা ইউনেস্কো তালিকাভুক্তি করেছে, সেজন্য এই সমাবেশ। তো ভালো কথা। আমরা তো মনে করি যে, এটা আনন্দের কথা। মির্জা ফখরুল বলেন, সকালে দেখে এসেছি বড় বড় বাসে স্কুলের বাচ্চাদেরকে সমাবেশে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের তো আপত্তি নেই। কিন্তু কী গেইন করছেন? আপনারা একটি মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিচ্ছেন। মিথ্যা দিয়ে সব ঢেকে দিচ্ছেন। ক্ষমতায় থাকার জন্য যা যা করার তাই করছেন আপনারা। ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণ দেখতে চায় মানুষ। নিরপেক্ষ-নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই এমনটি সম্ভব হবে। তোষামোদি না করে আগামী নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নাগরিক সমাবেশের আদলে আ.লীগের রাজনৈতিক সমাবেশ

আপলোড টাইম : ১০:১৭:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে স্কুল-কলেজ এবং ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে সমাবেশে আসতে হবে। না আসলে ব্যাংকে কর্মরতদের চাকরি চলে যাবে। সমাবেশটি নাকি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। এটা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সমাবেশ। ৭ মার্চের ভাষণের ওপর ইউনেস্কোর পুরস্কারের জন্য এই সমাবেশ। ভালো কথা অত্যন্ত আনন্দের কথা। কিন্তু প্রত্যেকটি স্কুল ও কলেজকে চিঠি দিয়েছেন না আসলে চাকরি থাকবে না। নাগরিক সমাবেশের আদলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সমাবেশ করছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘ভাসানী স্মৃতি সংসদ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ফখরুল এই অভিযোগ করেন। ফখরুল বলেন, আজকে খুব বড় সমাবেশ হচ্ছে। এই সমাবেশকে বলা হচ্ছে এটা কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, এটা হচ্ছে একটা রাষ্ট্রীয় নাগরিক সমাবেশ। এটা হচ্ছে, যে বক্তব্য ৭ মার্চ দেওয়া হয়েছিল, সেটা ইউনেস্কো তালিকাভুক্তি করেছে, সেজন্য এই সমাবেশ। তো ভালো কথা। আমরা তো মনে করি যে, এটা আনন্দের কথা। মির্জা ফখরুল বলেন, সকালে দেখে এসেছি বড় বড় বাসে স্কুলের বাচ্চাদেরকে সমাবেশে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের তো আপত্তি নেই। কিন্তু কী গেইন করছেন? আপনারা একটি মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিচ্ছেন। মিথ্যা দিয়ে সব ঢেকে দিচ্ছেন। ক্ষমতায় থাকার জন্য যা যা করার তাই করছেন আপনারা। ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণ দেখতে চায় মানুষ। নিরপেক্ষ-নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই এমনটি সম্ভব হবে। তোষামোদি না করে আগামী নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।