ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে যুবলীগের নিষ্প্রাণ সম্মেলন : অপরাংশের নিষ্ফল আস্ফালন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে

আব্দুস সালাম ঈশাকে সভাপতি ও খায়রুল বাশার শিপলুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮১ সদস্য কমিটি ঘোষণা
জীবননগর অফিস: নশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে জীবননগর উপজেলা যুবলীগের একাংশের নিষ্প্রাণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপরাংশের সম্মেলন প্রতিহতে নিস্ফল আস্ফালন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ঈসা। সম্মেলন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে সোমবার শামীম ফেরদৌসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এসময় সম্মেলন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে একই স্থানে একই সময় পাল্টা সমাবেশের আহ্বান করা হয়। এতে শুরু হয় উত্তেজনা। এদিকে টানটান উত্তেজনার মধ্যদিয়ে গতকাল যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও সভাস্থলে ছিলো না কোন আমেজ। অভিযোগ উঠেছে, যুবলীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে বাইরে রেখে এ সম্মেলন করা হয়েছে। অপরদিকে, সম্মেলনকে ঘিরে যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সম্মেলন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করে একাংশের নেতৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার সম্মেলনে সংঘর্ষের আশঙ্কায় সভাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হয়। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পদক্ষেপে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়ায় শান্তিপূর্ণভাবে সম্মেলন সম্পন্ন হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা শহরের শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ঈশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ। যুবলীগ নেতা সালাউদ্দিন কবিরের উপস্থাপনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শামসুল আবেদীন খোকন। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. কাউছার আহম্মেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হাসেম রেজা, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল, জীবননগর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিগণ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন- যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ। সম্মেলনের আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। সম্মেলন শেষে আব্দুস সালাম ঈশাকে সভাপতি ও খায়রুল বাশার শিপলুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট জীবননগর উপজেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন যুবলীগ নেতা মজিবর রহমান।
এদিকে, দীর্ঘ ২৫ বছর জীবননগর উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন মঙ্গলবার শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনলকে কেন্দ্র করে উপজেলা যুবলীগের দুইটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় সম্মেলন এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত ছিলো। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তাদের সম্মেলন এলাকায় সকাল থেকেই অবস্থান নিতে দেখা যায়।
অপরদিকে, গত সোমবার সন্ধ্যায় এ সম্মেলনকে ঘিরে যুবলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা শহরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদসভা করে। প্রতিবাদ সমাবেশ হতে উপজেলা যুবলীগের নামে আহ্বানকৃত ওই সম্মেলনকে বিতর্কিত সম্মেলন আখ্যায়িত করে তা বাতিল করার আহ্বান জানানো হয়। সম্মেলন বাতিল করা না হলে তা প্রতিহত করতে বাসস্ট্যান্ডে পাল্টা সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু বলেন- ‘যুবলীগ নেতাকর্মীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে তড়িঘড়ি করে সম্মেলন করেছে একাংশ। যা কোনোভাবেই বৈধ নয়।’ তিনি বলেন, যেখানে যুবলীগের জেলা কমিটিই নেই, সেখানে উপজেলা কমিটি কিভাবে হয়?
উল্লেখ্য, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৯৩ সালে জীবননগর উপজেলা যুবলীগের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এ কমিটি দীর্ঘ ১৬ বছর বলবৎ থাকলেও নানা কারণে তারা যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ২০১১ সালে হাফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে যুবলীগের অপর একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ওই কমিটি দীর্ঘ ৬ বছর কার্যক্রম পরিচালনা করলেও পূর্ণাঙ্গ কোন কমিটি গঠন করতে পারেনি। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে আব্দুস সালাম ঈশাকে আহ্বায়ক করে যুবলীগের আবারও একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ আহ্বায়ক কমিটি ৩ বছর পর সম্মেলনের আয়োজন করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে যুবলীগের নিষ্প্রাণ সম্মেলন : অপরাংশের নিষ্ফল আস্ফালন

আপলোড টাইম : ১০:৪২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৮

আব্দুস সালাম ঈশাকে সভাপতি ও খায়রুল বাশার শিপলুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮১ সদস্য কমিটি ঘোষণা
জীবননগর অফিস: নশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে জীবননগর উপজেলা যুবলীগের একাংশের নিষ্প্রাণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অপরাংশের সম্মেলন প্রতিহতে নিস্ফল আস্ফালন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করেন যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ঈসা। সম্মেলন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে সোমবার শামীম ফেরদৌসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এসময় সম্মেলন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে একই স্থানে একই সময় পাল্টা সমাবেশের আহ্বান করা হয়। এতে শুরু হয় উত্তেজনা। এদিকে টানটান উত্তেজনার মধ্যদিয়ে গতকাল যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও সভাস্থলে ছিলো না কোন আমেজ। অভিযোগ উঠেছে, যুবলীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে বাইরে রেখে এ সম্মেলন করা হয়েছে। অপরদিকে, সম্মেলনকে ঘিরে যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সম্মেলন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করে একাংশের নেতৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার সম্মেলনে সংঘর্ষের আশঙ্কায় সভাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হয়। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পদক্ষেপে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়ায় শান্তিপূর্ণভাবে সম্মেলন সম্পন্ন হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা শহরের শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ঈশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ। যুবলীগ নেতা সালাউদ্দিন কবিরের উপস্থাপনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শামসুল আবেদীন খোকন। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. কাউছার আহম্মেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হাসেম রেজা, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল, জীবননগর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিগণ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন- যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ। সম্মেলনের আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। সম্মেলন শেষে আব্দুস সালাম ঈশাকে সভাপতি ও খায়রুল বাশার শিপলুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট জীবননগর উপজেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন যুবলীগ নেতা মজিবর রহমান।
এদিকে, দীর্ঘ ২৫ বছর জীবননগর উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন মঙ্গলবার শাপলাকলি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনলকে কেন্দ্র করে উপজেলা যুবলীগের দুইটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় সম্মেলন এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত ছিলো। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তাদের সম্মেলন এলাকায় সকাল থেকেই অবস্থান নিতে দেখা যায়।
অপরদিকে, গত সোমবার সন্ধ্যায় এ সম্মেলনকে ঘিরে যুবলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা শহরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদসভা করে। প্রতিবাদ সমাবেশ হতে উপজেলা যুবলীগের নামে আহ্বানকৃত ওই সম্মেলনকে বিতর্কিত সম্মেলন আখ্যায়িত করে তা বাতিল করার আহ্বান জানানো হয়। সম্মেলন বাতিল করা না হলে তা প্রতিহত করতে বাসস্ট্যান্ডে পাল্টা সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু বলেন- ‘যুবলীগ নেতাকর্মীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মুখে তড়িঘড়ি করে সম্মেলন করেছে একাংশ। যা কোনোভাবেই বৈধ নয়।’ তিনি বলেন, যেখানে যুবলীগের জেলা কমিটিই নেই, সেখানে উপজেলা কমিটি কিভাবে হয়?
উল্লেখ্য, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৯৩ সালে জীবননগর উপজেলা যুবলীগের প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এ কমিটি দীর্ঘ ১৬ বছর বলবৎ থাকলেও নানা কারণে তারা যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ২০১১ সালে হাফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে যুবলীগের অপর একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ওই কমিটি দীর্ঘ ৬ বছর কার্যক্রম পরিচালনা করলেও পূর্ণাঙ্গ কোন কমিটি গঠন করতে পারেনি। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে আব্দুস সালাম ঈশাকে আহ্বায়ক করে যুবলীগের আবারও একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ আহ্বায়ক কমিটি ৩ বছর পর সম্মেলনের আয়োজন করে।