ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নবী (সা.)-এর উম্মত হিসেবে আমাদের দায়িত্ব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ৩১৫ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: আমরা শেষ নবীর উম্মত। আমাদের বলা হয় উম্মতে মুহম্মদি। আর উম্মতে মুহম্মদি হিসেবে আমরা হলাম ‘দুনিয়ার মানুষের জন্য সাক্ষী।’ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা হচ্ছে ‘এভাবেই আমি তোমাদের এক মধ্যপন্থী মানব দলে পরিণত করেছি, যেন তোমরা দুনিয়ার অন্যান্য মানুষের ওপর (হেদায়েতের) সাক্ষী হয়ে থাকতে পার এবং একইভাবে রাসুলও (সা.) তোমাদের ওপর সাক্ষী হয়ে থাকতে পারেন। যে কেবলার ওপর তোমরা এত দিন প্রতিষ্ঠিত ছিলে, আমি তা এ উদ্দেশ্যেই নির্ধারণ করেছিলাম, যাতে করে আমি এ কথাটা জেনে নিতে পারি যে, তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.)-এর অনুসরণ করে আর কে তার কথা থেকে ফিরে যায়। তাদের ওপর এটা ছিল একটা কঠিন পরীক্ষা। অবশ্য আল্লাহ তায়ালা যাদের হেদায়েত দান করেছেন, তাদের কথা আলাদা। আল্লাহ কখনো তোমাদের ঈমান বিনষ্ট করবেন না; অবশ্যই আল্লাহ মানুষের জন্য বড় দয়ালু ও মেহেরবান।’ -সূরা আল বাকারা: ১৪৩। উম্মত হিসেবে আমাদের কাজ হচ্ছে মানুষকে আল্লাহর দীনের পথে ডাকা। এ প্রসঙ্গে সূরা আল ইমরানের ২০৪নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা প্রত্যাশা করছেন যে, ‘তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা প্রয়োজন, যারা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দেবে আর অন্যায় ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে।’ সুতরাং আমরা যারা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উম্মত বলে নিজেদের দাবি করছি, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে নবী (সা.) যে কাজ যে ভাবে করেছেন, যে আদর্শ জীবন বিধান বা আইন-কানুন রেখে গেছেন, সে আদর্শ জীবন বিধান মেনে চলা, সে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা আর অন্যদের তা মানানোর চেষ্টা করা ও প্রতিষ্ঠা করার জন্য আহ্বান করা এবং উদ্বুদ্ধ করা। আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জানার জন্য ও সে মোতাবেক আমল করার জন্য রাসুল (সা.) আমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে গেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি আর তা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার কিতাব বা কোরান ও আমার হাদিস।’ আমরা যারা নামাজ আদায় করি, প্রতি ওয়াক্ত নামাজের প্রতি রাকাতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাদের সঠিক-সহজ ও সরল পথ দেখাও।’ আর এ সঠিক-সহজ ও সরল পথ পাওয়ার শর্ত হচ্ছে আল্লাহকে বিশ্বাস করা এবং তার দেয়া বিধানাবলি পরিপূর্ণভাবে মেনে চলা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নবী (সা.)-এর উম্মত হিসেবে আমাদের দায়িত্ব

আপলোড টাইম : ১০:১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: আমরা শেষ নবীর উম্মত। আমাদের বলা হয় উম্মতে মুহম্মদি। আর উম্মতে মুহম্মদি হিসেবে আমরা হলাম ‘দুনিয়ার মানুষের জন্য সাক্ষী।’ এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা হচ্ছে ‘এভাবেই আমি তোমাদের এক মধ্যপন্থী মানব দলে পরিণত করেছি, যেন তোমরা দুনিয়ার অন্যান্য মানুষের ওপর (হেদায়েতের) সাক্ষী হয়ে থাকতে পার এবং একইভাবে রাসুলও (সা.) তোমাদের ওপর সাক্ষী হয়ে থাকতে পারেন। যে কেবলার ওপর তোমরা এত দিন প্রতিষ্ঠিত ছিলে, আমি তা এ উদ্দেশ্যেই নির্ধারণ করেছিলাম, যাতে করে আমি এ কথাটা জেনে নিতে পারি যে, তোমাদের মধ্যে কে রাসুল (সা.)-এর অনুসরণ করে আর কে তার কথা থেকে ফিরে যায়। তাদের ওপর এটা ছিল একটা কঠিন পরীক্ষা। অবশ্য আল্লাহ তায়ালা যাদের হেদায়েত দান করেছেন, তাদের কথা আলাদা। আল্লাহ কখনো তোমাদের ঈমান বিনষ্ট করবেন না; অবশ্যই আল্লাহ মানুষের জন্য বড় দয়ালু ও মেহেরবান।’ -সূরা আল বাকারা: ১৪৩। উম্মত হিসেবে আমাদের কাজ হচ্ছে মানুষকে আল্লাহর দীনের পথে ডাকা। এ প্রসঙ্গে সূরা আল ইমরানের ২০৪নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা প্রত্যাশা করছেন যে, ‘তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা প্রয়োজন, যারা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দেবে আর অন্যায় ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে।’ সুতরাং আমরা যারা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উম্মত বলে নিজেদের দাবি করছি, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে নবী (সা.) যে কাজ যে ভাবে করেছেন, যে আদর্শ জীবন বিধান বা আইন-কানুন রেখে গেছেন, সে আদর্শ জীবন বিধান মেনে চলা, সে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা আর অন্যদের তা মানানোর চেষ্টা করা ও প্রতিষ্ঠা করার জন্য আহ্বান করা এবং উদ্বুদ্ধ করা। আমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জানার জন্য ও সে মোতাবেক আমল করার জন্য রাসুল (সা.) আমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে গেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমি তোমাদের জন্য দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি আর তা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার কিতাব বা কোরান ও আমার হাদিস।’ আমরা যারা নামাজ আদায় করি, প্রতি ওয়াক্ত নামাজের প্রতি রাকাতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি ‘হে আল্লাহ, তুমি আমাদের সঠিক-সহজ ও সরল পথ দেখাও।’ আর এ সঠিক-সহজ ও সরল পথ পাওয়ার শর্ত হচ্ছে আল্লাহকে বিশ্বাস করা এবং তার দেয়া বিধানাবলি পরিপূর্ণভাবে মেনে চলা।