ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নবগঙ্গা থেকে ল্যাব টেকনিশিয়ানের লাশ উদ্ধার!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৩৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৮
  • / ২৮৭ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের নবগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের সন্ধান মিলেছে। লাশটি ঝিনাইদহ ডাইবেটিক হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান খাইরুজ্জমান সিকদারের বলে তার স্বজনরা সনাক্ত করেছে। তিনি আড়াই মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন। গত বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার বাসুদেবপুর বাজার এলাকার নবগঙ্গা নদীতে মাছ ধরতে যান গ্রামবাসি। তারা লাশটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে পরিবারের লোকজন প্যান্ট সার্ট দেখে সনাক্ত করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মৃত খাইরুজ্জমানের শ্যালক সলোক মিয়া। তিনি মিডিয়াকে জানান, গত ১৬ আগষ্ট থেকে তার ভগ্নিপতি নিখোঁজ ছিল। গ্রামের বাড়ী ফুলহরি যাওয়ার উদ্দেশ্যে চালপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর তাকে পাওয়া যায়নি। মর্গে গিয়ে পরনের প্যান্ট ও বেল্ট দেখে স্ত্রী ও পরিবার-পরিবারজন লাশটিকে সনাক্ত করে। এরপর লাশটি ফুলহরি গ্রামে দাফন করা হয়। তিনি আরো জানান, তার বোন দিলরুবা রিমা গত ২৪ আগষ্ট ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নম্বর ছিল ১৩০৫। নিখোঁজের আগ পর্যন্ত খায়রুজ্জামান ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে সন্দেহ করছে পরিবার। গুজব উঠেছে স্ত্রীর সাথে বনিবনা না ছিল না খায়রুজ্জামানের। ঝিনাইদহ ডাইবেটিক হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শামিম আহম্মেদ জানান, খায়রুজ্জামান আমার স্টাফ ছিল। খুব ভাল ছেলে ছিলেন তিনি। তিনি জানান, পারিবারিক গুজবের কথা তিনিও শুনেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নবগঙ্গা থেকে ল্যাব টেকনিশিয়ানের লাশ উদ্ধার!

আপলোড টাইম : ১১:৩৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৮

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের নবগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের সন্ধান মিলেছে। লাশটি ঝিনাইদহ ডাইবেটিক হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান খাইরুজ্জমান সিকদারের বলে তার স্বজনরা সনাক্ত করেছে। তিনি আড়াই মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন। গত বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার বাসুদেবপুর বাজার এলাকার নবগঙ্গা নদীতে মাছ ধরতে যান গ্রামবাসি। তারা লাশটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে পরিবারের লোকজন প্যান্ট সার্ট দেখে সনাক্ত করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মৃত খাইরুজ্জমানের শ্যালক সলোক মিয়া। তিনি মিডিয়াকে জানান, গত ১৬ আগষ্ট থেকে তার ভগ্নিপতি নিখোঁজ ছিল। গ্রামের বাড়ী ফুলহরি যাওয়ার উদ্দেশ্যে চালপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর তাকে পাওয়া যায়নি। মর্গে গিয়ে পরনের প্যান্ট ও বেল্ট দেখে স্ত্রী ও পরিবার-পরিবারজন লাশটিকে সনাক্ত করে। এরপর লাশটি ফুলহরি গ্রামে দাফন করা হয়। তিনি আরো জানান, তার বোন দিলরুবা রিমা গত ২৪ আগষ্ট ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নম্বর ছিল ১৩০৫। নিখোঁজের আগ পর্যন্ত খায়রুজ্জামান ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে সন্দেহ করছে পরিবার। গুজব উঠেছে স্ত্রীর সাথে বনিবনা না ছিল না খায়রুজ্জামানের। ঝিনাইদহ ডাইবেটিক হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শামিম আহম্মেদ জানান, খায়রুজ্জামান আমার স্টাফ ছিল। খুব ভাল ছেলে ছিলেন তিনি। তিনি জানান, পারিবারিক গুজবের কথা তিনিও শুনেছেন।