ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নতুন মাথাভাঙ্গা সেতু দিয়ে চলাচল শুরু হবে ২০২১ সালে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ৪১১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার ‘মাথাভাঙ্গা সেতু’ নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার
বিশেষ প্রতিবেদক:
প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শুরু হলো চুয়াডাঙ্গার ‘মাথাভাঙ্গা সেতু’ নির্মাণকাজ। সবকিছু ঠিকঠাক মতো এগোলে নতুন মাথাভাঙ্গা সেতু দিয়ে চলাচল শুরু হবে ২০২১ সালে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় সেতুটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত আহমেদ মজুমদার, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আদম আলী, সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলাউদ্দীন হেলা, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রাজনৈতিক নেতারা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত আহমেদ মজুমদার জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ১৪০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের সেতুটির কাজ শেষ হতে সময় লাগবে দুই বছর। পুরোনো সেতুর পাশেই নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন এ সেতুটি। তবে এটি পুরোনো সেতুটির চেয়ে আরও টেকসই ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হবে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে জহিরুল লিমিটেড।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালে মাত্র ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর ৫ শ ফুট (১৪০ মিটার) দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি বাহিনীর বোমা হামলায় সেতুটির চুয়াডাঙ্গা শহরমুখী অংশ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তী সময়ে মেরামতের পর সব ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু করে। মাত্র ১০ মেট্রিক টন ভার বহনের উপযোগী করে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সময়ের প্রয়োজনে দীর্ঘদিন ধরে ৩০ থেকে ৪০ মেট্রিক টন বা এর বেশি পরিমাণ পণ্য নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলাচল করে। এতে গার্ডারে ফাটলসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেতুটি ক্রমেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। চলতি বছর ১১ জুন সেতুটির একাংশ ধসে পড়ে। এতে করে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘ চার মাস ধরে বিচ্ছিন্ন ছিল। এরপর সেতুটির মধ্যবর্তী স্থানে এবং পূর্বপ্রান্তে লোহার পাইপ দিয়ে রেক্টোফিটিংস তৈরি করে সেতুর ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৫-১০ টনের যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে সেতুর মুখ খুলে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে নতুন সেতু নির্মাণের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এবার উদ্বোধনের পর বেশ দ্রুতগতিতেই কাজ শেষ করা হবে। ২০২১ সাল নাগাদ নতুন ‘মাথাভাঙ্গা সেতু’ ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নতুন মাথাভাঙ্গা সেতু দিয়ে চলাচল শুরু হবে ২০২১ সালে

আপলোড টাইম : ০৯:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চুয়াডাঙ্গার ‘মাথাভাঙ্গা সেতু’ নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার
বিশেষ প্রতিবেদক:
প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শুরু হলো চুয়াডাঙ্গার ‘মাথাভাঙ্গা সেতু’ নির্মাণকাজ। সবকিছু ঠিকঠাক মতো এগোলে নতুন মাথাভাঙ্গা সেতু দিয়ে চলাচল শুরু হবে ২০২১ সালে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় সেতুটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত আহমেদ মজুমদার, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আদম আলী, সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলাউদ্দীন হেলা, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রাজনৈতিক নেতারা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত আহমেদ মজুমদার জানান, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ১৪০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের সেতুটির কাজ শেষ হতে সময় লাগবে দুই বছর। পুরোনো সেতুর পাশেই নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন এ সেতুটি। তবে এটি পুরোনো সেতুটির চেয়ে আরও টেকসই ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হবে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে জহিরুল লিমিটেড।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ সালে মাত্র ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর ৫ শ ফুট (১৪০ মিটার) দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি বাহিনীর বোমা হামলায় সেতুটির চুয়াডাঙ্গা শহরমুখী অংশ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তী সময়ে মেরামতের পর সব ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু করে। মাত্র ১০ মেট্রিক টন ভার বহনের উপযোগী করে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সময়ের প্রয়োজনে দীর্ঘদিন ধরে ৩০ থেকে ৪০ মেট্রিক টন বা এর বেশি পরিমাণ পণ্য নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলাচল করে। এতে গার্ডারে ফাটলসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেতুটি ক্রমেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। চলতি বছর ১১ জুন সেতুটির একাংশ ধসে পড়ে। এতে করে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘ চার মাস ধরে বিচ্ছিন্ন ছিল। এরপর সেতুটির মধ্যবর্তী স্থানে এবং পূর্বপ্রান্তে লোহার পাইপ দিয়ে রেক্টোফিটিংস তৈরি করে সেতুর ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৫-১০ টনের যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে সেতুর মুখ খুলে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে নতুন সেতু নির্মাণের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এবার উদ্বোধনের পর বেশ দ্রুতগতিতেই কাজ শেষ করা হবে। ২০২১ সাল নাগাদ নতুন ‘মাথাভাঙ্গা সেতু’ ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।