ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নতুন উদ্যমে শুরু বিএনপির তৃণমূল পুনর্গঠন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:১১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৪১৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজ ফের শুরু করেছে বিএনপি। জাতীয় কাউন্সিলের আগে যে পর্যায়ে পুনর্গঠন স্থগিত করা হয়েছিল সেখান থেকেই শুরু হবে বাকি কাজ। এ ক্ষেত্রে নতুন করে কোনো চিঠি ইস্যু করা হবে না। পুনর্গঠনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে আজ সোমবার যুগ্ম-মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে সারা দেশের সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরা হবে। বর্তমানে জেলা, উপজেলা, মহানগরের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে রয়েছে তা লিখিতভাবে জানানো হবে। এরপর নীতিনির্ধারকরা পুনর্গঠনের কৌশল চূড়ান্ত করবেন। এ কাজে যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের নেতৃত্বে কয়েকটি কমিটিও গঠন করা হতে পারে। জাতীয় স্থায়ী ও নির্বাহী কমিটি ঘোষণার পর তৃণমূল পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেন খালেদা জিয়া। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় এ দায়িত্ব দেয়া হয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানকে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। যোগ্য এবং ত্যাগী নেতারা যাতে কমিটিতে জায়গা পান সেটা নিশ্চিত করার কঠোর বার্তা রয়েছে তার। চেয়ারপারসনের এমন নির্দেশনা পাওয়ার পর গত দুই দিন পুনর্গঠন নিয়ে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বৈঠক করেন শাহজাহান।
জানতে চাইলে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে স্থগিত ছিল সেখান থেকেই শুরু করা হবে। কোন প্রক্রিয়ায় কিভাবে দলকে গতিশীল করা যায় তা চূড়ান্ত করতে আজ দলের মহাসচিব সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম-মহাসচিবদের নিয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এক নেতার এক পদ- এই বিষয়টি কার্যকরের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। অনেককে ফোনে হাইকমান্ডের মনোভাব জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বেশির ভাগ নেতা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও পুনর্গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়। ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত কমিটি কত সদস্যের হবে তাও ওই বৈঠকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, বৈঠকে মূলত সাংগঠনিক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। দলের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও মহানগর কমিটির কাঠামো ঠিক করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম ১০০ জন নিবন্ধিত সদস্য করতে হবে। জেলা ও মহানগরী কমিটি হবে ১৫১ সদস্যের। এর মধ্যে ৭৪টি হবে কর্মকর্তা পর্যায়ের পদ, বাকি ৭৬টি সদস্য পদ। সূত্র জানায়, তৃণমূল পুনর্গঠন পুরোদমে শুরু করার আগে একাধিক পদে থাকার বিষয়টি ফয়সালা করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাসহ ৫৬ জন নেতা দলের একাধিক পদে রয়েছেন। কারা জেলায় এবং কারা কেন্দ্রে থাকতে চান তা আগেভাগে নিশ্চিত করা হবে। এরই মধ্যে একাধিক পদধারী নেতাদের টেলিফোন করে একটি পদ রেখে বাকি পদ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী এবং অপর ভাইস চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাদের এক পদ রেখে অন্যপদ ছাড়ার কঠোর নির্দেশনা দেন তিনি। তারা খালেদা জিয়ার কাছে কয়েক দিন সময় চাইলে চলতি সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের পর সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। কেন্দ্রীয় পরিবারকল্যাণ বিষয়ক সহসম্পাদক পদ ছেড়েছেন ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু। তিনি জেলায় থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যে কোনো মুহূর্তে ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়ছেন আমান উল্লাহ আমান। মানিকগঞ্জের দায়িত্বে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ ছাড়ছেন আফরোজা খানম রিতা। এছাড়া অন্যরাও এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশাবাদী হাইকমান্ড।
সূত্র জানায়, পুনর্গঠনের শুরুতে ঢাকা জেলার কমিটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এক যুগের বেশি সময় ঢাকা জেলায় নতুন কমিটি হচ্ছে না। এমএ মান্নান সভাপতি ও আমান উল্লাহ আমান সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ দু’জন আর ঢাকা জেলার দায়িত্বে থাকছেন না। নতুন মুখ হিসেবে সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, তমিজউদ্দিনসহ আরও কয়েকজন। সাধারণ সম্পাদক পদে এগিয়ে আছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক। জানতে চাইলে ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সোমবারের বৈঠকে তৃণমূল পুনর্গঠনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। সূত্র জানায়, বিএনপির ঘোষিত নতুন কমিটিতে পদ শূন্য থাকলেও সহসাই কোনো নেতাকে কো-অপ্ট করা হচ্ছে না। কমিটি ঘোষণার পর দলের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ-হতাশা দেখা দিলে দলের নীতিনির্ধারকরা কমিটি রদবদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর দলের চেয়ারপারসন ‘এক নেতার এক পদ’ নীতি কার্যকরের কঠোর নির্দেশনা দেয়ায় সে চিত্র পাল্টে গেছে। কমিটিতে কোনো অসঙ্গতি থাকলে তা তিনি নিজে সমাধান করবেন বলে জানিয়ে দেন। সূত্র জানায়, এখন শূন্য থাকা কয়েকটি পদের পাশাপাশি এক নেতার এক পদ নীতি কার্যকর হলে আরও প্রায় ৫৬টি পদ খালি হবে। সেগুলো পূরণের ক্ষেত্রে ‘বঞ্চিতদের’ বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। খালেদা জিয়ার কঠোর মনোভাবের পর স্থায়ী কমিটি কিংবা সিনিয়র যেসব নেতা কমিটি গঠনের পর সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন তাদের সুরও এখন অনেক নমনীয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে ওই সব নেতা বলেন, ‘ম্যাডাম, এত সুন্দর কমিটি দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’ জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, তৃণমূল পুনর্গঠনের সার্বিক বিষয় নিয়ে মহাসচিব যে বৈঠক ডেকেছেন সেখানে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জেলার সাংগঠনিক চিত্র তুলে ধরা হবে। যোগ্য এবং ত্যাগীদের সমন্বয়ে তৃণমূলের কমিটি করা হলে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করেন তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

নতুন উদ্যমে শুরু বিএনপির তৃণমূল পুনর্গঠন

আপলোড টাইম : ০৭:১১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০১৬

সমীকরণ ডেস্ক: তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজ ফের শুরু করেছে বিএনপি। জাতীয় কাউন্সিলের আগে যে পর্যায়ে পুনর্গঠন স্থগিত করা হয়েছিল সেখান থেকেই শুরু হবে বাকি কাজ। এ ক্ষেত্রে নতুন করে কোনো চিঠি ইস্যু করা হবে না। পুনর্গঠনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে আজ সোমবার যুগ্ম-মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে সারা দেশের সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরা হবে। বর্তমানে জেলা, উপজেলা, মহানগরের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে রয়েছে তা লিখিতভাবে জানানো হবে। এরপর নীতিনির্ধারকরা পুনর্গঠনের কৌশল চূড়ান্ত করবেন। এ কাজে যুগ্ম-মহাসচিব, সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের নেতৃত্বে কয়েকটি কমিটিও গঠন করা হতে পারে। জাতীয় স্থায়ী ও নির্বাহী কমিটি ঘোষণার পর তৃণমূল পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেন খালেদা জিয়া। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় এ দায়িত্ব দেয়া হয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানকে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। যোগ্য এবং ত্যাগী নেতারা যাতে কমিটিতে জায়গা পান সেটা নিশ্চিত করার কঠোর বার্তা রয়েছে তার। চেয়ারপারসনের এমন নির্দেশনা পাওয়ার পর গত দুই দিন পুনর্গঠন নিয়ে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বৈঠক করেন শাহজাহান।
জানতে চাইলে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। যেখানে স্থগিত ছিল সেখান থেকেই শুরু করা হবে। কোন প্রক্রিয়ায় কিভাবে দলকে গতিশীল করা যায় তা চূড়ান্ত করতে আজ দলের মহাসচিব সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম-মহাসচিবদের নিয়ে বৈঠক করবেন। সেখানে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, এক নেতার এক পদ- এই বিষয়টি কার্যকরের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। অনেককে ফোনে হাইকমান্ডের মনোভাব জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বেশির ভাগ নেতা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও পুনর্গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়। ওয়ার্ড থেকে জেলা পর্যন্ত কমিটি কত সদস্যের হবে তাও ওই বৈঠকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, বৈঠকে মূলত সাংগঠনিক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। দলের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও মহানগর কমিটির কাঠামো ঠিক করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ন্যূনতম ১০০ জন নিবন্ধিত সদস্য করতে হবে। জেলা ও মহানগরী কমিটি হবে ১৫১ সদস্যের। এর মধ্যে ৭৪টি হবে কর্মকর্তা পর্যায়ের পদ, বাকি ৭৬টি সদস্য পদ। সূত্র জানায়, তৃণমূল পুনর্গঠন পুরোদমে শুরু করার আগে একাধিক পদে থাকার বিষয়টি ফয়সালা করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাসহ ৫৬ জন নেতা দলের একাধিক পদে রয়েছেন। কারা জেলায় এবং কারা কেন্দ্রে থাকতে চান তা আগেভাগে নিশ্চিত করা হবে। এরই মধ্যে একাধিক পদধারী নেতাদের টেলিফোন করে একটি পদ রেখে বাকি পদ ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী এবং অপর ভাইস চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাদের এক পদ রেখে অন্যপদ ছাড়ার কঠোর নির্দেশনা দেন তিনি। তারা খালেদা জিয়ার কাছে কয়েক দিন সময় চাইলে চলতি সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের পর সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। কেন্দ্রীয় পরিবারকল্যাণ বিষয়ক সহসম্পাদক পদ ছেড়েছেন ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু। তিনি জেলায় থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। যে কোনো মুহূর্তে ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়ছেন আমান উল্লাহ আমান। মানিকগঞ্জের দায়িত্বে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ ছাড়ছেন আফরোজা খানম রিতা। এছাড়া অন্যরাও এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশাবাদী হাইকমান্ড।
সূত্র জানায়, পুনর্গঠনের শুরুতে ঢাকা জেলার কমিটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এক যুগের বেশি সময় ঢাকা জেলায় নতুন কমিটি হচ্ছে না। এমএ মান্নান সভাপতি ও আমান উল্লাহ আমান সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ দু’জন আর ঢাকা জেলার দায়িত্বে থাকছেন না। নতুন মুখ হিসেবে সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, তমিজউদ্দিনসহ আরও কয়েকজন। সাধারণ সম্পাদক পদে এগিয়ে আছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক। জানতে চাইলে ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সোমবারের বৈঠকে তৃণমূল পুনর্গঠনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে। সূত্র জানায়, বিএনপির ঘোষিত নতুন কমিটিতে পদ শূন্য থাকলেও সহসাই কোনো নেতাকে কো-অপ্ট করা হচ্ছে না। কমিটি ঘোষণার পর দলের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ-হতাশা দেখা দিলে দলের নীতিনির্ধারকরা কমিটি রদবদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর দলের চেয়ারপারসন ‘এক নেতার এক পদ’ নীতি কার্যকরের কঠোর নির্দেশনা দেয়ায় সে চিত্র পাল্টে গেছে। কমিটিতে কোনো অসঙ্গতি থাকলে তা তিনি নিজে সমাধান করবেন বলে জানিয়ে দেন। সূত্র জানায়, এখন শূন্য থাকা কয়েকটি পদের পাশাপাশি এক নেতার এক পদ নীতি কার্যকর হলে আরও প্রায় ৫৬টি পদ খালি হবে। সেগুলো পূরণের ক্ষেত্রে ‘বঞ্চিতদের’ বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। খালেদা জিয়ার কঠোর মনোভাবের পর স্থায়ী কমিটি কিংবা সিনিয়র যেসব নেতা কমিটি গঠনের পর সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন তাদের সুরও এখন অনেক নমনীয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে ওই সব নেতা বলেন, ‘ম্যাডাম, এত সুন্দর কমিটি দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’ জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, তৃণমূল পুনর্গঠনের সার্বিক বিষয় নিয়ে মহাসচিব যে বৈঠক ডেকেছেন সেখানে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জেলার সাংগঠনিক চিত্র তুলে ধরা হবে। যোগ্য এবং ত্যাগীদের সমন্বয়ে তৃণমূলের কমিটি করা হলে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করেন তিনি।