ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষক আটক হয়নি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে ধর্ষণ অভিযোগে স্কুলশিক্ষক মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও তাঁকে এখন পর্যন্ত আটক করতে পারেনি পুলিশ। গত ২৬ এপ্রিল জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী মিণ্টুর মেয়ে মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে স্কুলশিক্ষক মামুনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি মামলা করেছেন।
ওই স্কুলছাত্রীর বাবা মিণ্টু অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে মুক্তারপুর গ্রামের মামুন মাস্টারের কাছে প্রাইভেট পড়তে যেত। সেই সুযোগে সে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি বিচারের জন্য বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের কাছে গিয়েছি, কোনো ফল হয়নি। মামুন মাস্টার কেডিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শুকুর সরকারের জামাই বলে গ্রামের বিচারকেরা বিচার না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি প্রদান করেছে। অবশেষে আমি বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবননগর থানায় মামলা করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত মামুন মাস্টার আটক হয়নি। তারা মামলা তুলে ওনয়ার জন্য আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশে আটক করে দিবে বলছে।’
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, স্কুলশিক্ষক মামুন শিক্ষকতার আড়ালে প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে প্রায়ই এ ধরনের অপকর্ম করে থাকেন এবং শ্বশুরের ক্ষমতায় আর স্থানীয় এক প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে সব ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে থাকেন।
অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষক মামুন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মেয়ের বাবা গ্রামের কিছু ব্যক্তির কথা মতো আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছে। আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এ কাজ করছে।’
এ বিষয়ে জীবননগরর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্কুলশিক্ষক মামুনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত আসেনি। অভিযোগ এলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুলশিক্ষককে আটকের চেষ্টা চলছে। আশা করি খুব শিগগিরই ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা যাবে।’
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন বলেন, ‘শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষক আটক হয়নি

আপলোড টাইম : ০৯:২৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০

জীবননগর অফিস:
জীবননগরে ধর্ষণ অভিযোগে স্কুলশিক্ষক মামুনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও তাঁকে এখন পর্যন্ত আটক করতে পারেনি পুলিশ। গত ২৬ এপ্রিল জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের মুক্তারপুর গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী মিণ্টুর মেয়ে মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে স্কুলশিক্ষক মামুনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি মামলা করেছেন।
ওই স্কুলছাত্রীর বাবা মিণ্টু অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে মুক্তারপুর গ্রামের মামুন মাস্টারের কাছে প্রাইভেট পড়তে যেত। সেই সুযোগে সে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি বিচারের জন্য বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের কাছে গিয়েছি, কোনো ফল হয়নি। মামুন মাস্টার কেডিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শুকুর সরকারের জামাই বলে গ্রামের বিচারকেরা বিচার না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি প্রদান করেছে। অবশেষে আমি বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবননগর থানায় মামলা করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত মামুন মাস্টার আটক হয়নি। তারা মামলা তুলে ওনয়ার জন্য আমাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশে আটক করে দিবে বলছে।’
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, স্কুলশিক্ষক মামুন শিক্ষকতার আড়ালে প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে প্রায়ই এ ধরনের অপকর্ম করে থাকেন এবং শ্বশুরের ক্ষমতায় আর স্থানীয় এক প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে সব ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে থাকেন।
অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষক মামুন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মেয়ের বাবা গ্রামের কিছু ব্যক্তির কথা মতো আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছে। আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এ কাজ করছে।’
এ বিষয়ে জীবননগরর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্কুলশিক্ষক মামুনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত আসেনি। অভিযোগ এলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুলশিক্ষককে আটকের চেষ্টা চলছে। আশা করি খুব শিগগিরই ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা যাবে।’
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন বলেন, ‘শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’