ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যে পবিত্র শবে বরাত পালিত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৩৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০১৭
  • / ৩৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মসজিদে মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ নানা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত তথা লাইলাতুল বরাতের রাতটি অতিবাহিত করছেন। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারাদেশে মুসলিম উম্মাহর এ দিনটি পালন করতে দেখা যায়। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানদের মতো বর্হিবিশ্বের মুসলমানরাও বিশেষ মোনাজাত ও দোয়াখায়েরে শামিল হন।  সৌভাগ্যের এ রজনীতে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মুসলমান কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকতে দেখা গেছে। নারী ও শিশুরা বাড়িতে সুগন্ধী ছড়িয়ে আগরবাতি-মোমবাতি জালিয়ে শবে বরাতের পবিত্র শোভা ছড়িয়ে দেয়। তারাও নফল নামাজ, কোরআন তেলওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করে। এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষ নফল রোজাও পালন করেন। বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে রাতভর নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল, অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। ভোরে আল্লাহর বান্দারা তাঁর নৈকট্য লাভের আশায় ও মনের আশা পূরণে চোখের পানি ফেলে আখেরী মোনাজাতে অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, শবে বরাত’ হলো সৌভাগ্যের রজনী, যাকে আরবিতে বলা হয় ‘লাইলাতুল বরাত’। হিজরি বর্ষপঞ্জির শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। মহান আল্লাহ তা’আলা এ রাতে বান্দাদের জন্য তাঁর অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিগত জীবনের সব ভুলভ্রান্তি ও পাপের জন্য মহান আল্লাহ তা’আলার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ জীবনে পাপ-পঙ্কিলতা পরিহার করে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন। ইবাদত-বন্দেগি ছাড়াও প্রয়াত স্বজনদের কবর জিয়ারতও করে থাকেন অনেকে।
শবে বরাত উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ক্ষারজাতীয় বা বিস্ফোরকদ্রব্য, আতশবাজি, পটকা বাজিসহ অন্যান্য ক্ষতিকর ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যে পবিত্র শবে বরাত পালিত

আপলোড টাইম : ০৪:৩৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: মসজিদে মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ নানা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত তথা লাইলাতুল বরাতের রাতটি অতিবাহিত করছেন। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারাদেশে মুসলিম উম্মাহর এ দিনটি পালন করতে দেখা যায়। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানদের মতো বর্হিবিশ্বের মুসলমানরাও বিশেষ মোনাজাত ও দোয়াখায়েরে শামিল হন।  সৌভাগ্যের এ রজনীতে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মুসলমান কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকতে দেখা গেছে। নারী ও শিশুরা বাড়িতে সুগন্ধী ছড়িয়ে আগরবাতি-মোমবাতি জালিয়ে শবে বরাতের পবিত্র শোভা ছড়িয়ে দেয়। তারাও নফল নামাজ, কোরআন তেলওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করে। এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষ নফল রোজাও পালন করেন। বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে রাতভর নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, ওয়াজ মাহফিল, অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। ভোরে আল্লাহর বান্দারা তাঁর নৈকট্য লাভের আশায় ও মনের আশা পূরণে চোখের পানি ফেলে আখেরী মোনাজাতে অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, শবে বরাত’ হলো সৌভাগ্যের রজনী, যাকে আরবিতে বলা হয় ‘লাইলাতুল বরাত’। হিজরি বর্ষপঞ্জির শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত। মহান আল্লাহ তা’আলা এ রাতে বান্দাদের জন্য তাঁর অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন। মহিমান্বিত এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিগত জীবনের সব ভুলভ্রান্তি ও পাপের জন্য মহান আল্লাহ তা’আলার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ জীবনে পাপ-পঙ্কিলতা পরিহার করে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন। ইবাদত-বন্দেগি ছাড়াও প্রয়াত স্বজনদের কবর জিয়ারতও করে থাকেন অনেকে।
শবে বরাত উপলক্ষে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করেছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ক্ষারজাতীয় বা বিস্ফোরকদ্রব্য, আতশবাজি, পটকা বাজিসহ অন্যান্য ক্ষতিকর ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।