ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দ্বিতীয় পৃথিবী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:২২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৩০৮ বার পড়া হয়েছে

2 Worldপ্রযুক্তি ডেস্ক: সৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার সেরা সম্ভাবনা এবার সম্ভবত পাওয়া গেছে। কারণ প্রাণ ধারণের উপযোগী এমন একটি পাথুরে গ্রহ সম্প্রতি আবিস্কৃত হয়েছে, যা কিনা পৃথিবী থেকে মাত্র ৪ আলোকবর্ষ দূরে। ফলে ভবিষ্যতে গ্রহটিতে সহজেই মহাকাশ যান পাঠিয়ে গবেষণা করা যাবে। এই গ্রহটিকে বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় পৃথিবী। তরল পানির উপযোগী পরিবেশ হিসেবে গ্রহটি এর নক্ষত্র থেকে সঠিক দূরত্বে রয়েছে। যার মানে দাড়াচ্ছে, গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্বের বাস্তবিক সম্ভাবনা রয়েছে। সৌরজগতের বাইরে এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত এক্সোপ্ল্যানেটগুলোর মধ্যে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম। গবেষকদের দাবী গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধানের অভিযান আমাদের জীবদ্দশার মধ্যে সম্ভব হতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছেন, আমাদের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টরিকে প্রদক্ষিণ করছে নতুন এই গ্রহটি। ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে আবিষ্কৃত রোমাঞ্চকর এই নতুন বিশ্বকে প্রক্সিমা বি, নাম দিয়েছেন গবেষকরা।  লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গুইলিম অ্যানগালাডার নেতৃত্বে ৩০ জন আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল গ্রহটি আবিষ্কারে কাজ করেছেন। হাজারের বেশি এক্সোপ্ল্যানেট এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়েছে, কিন্তু এটি অন্যগুলো থেকে ভিন্ন। এটি আমাদের নাগালের মধ্যে মাত্র চার আলোকবর্ষ দূরে। যদিও চার আলোকবর্ষ অনেক দীর্ঘ একটা পথ, ২৫ ট্রিলিয়ন মাইলেরও বেশি। বর্তমানে যে প্রযুক্তির রকেট রয়েছে, তাতে এই দূরত্ব পারি দিতে ৭৬ হাজার বছর লেগে যাবে। ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই ভবিষ্যত প্রজন্মের অতিদ্রুত মহাকাশযান, গ্রহটি ভ্রমণে সক্ষম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে বলা হয়েছে,  গ্রহটির আবহাওয়া তরল পানির উপযুক্ত। তাই প্রাণের উপস্থিতিও থাকতে পারে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দ্বিতীয় পৃথিবী

আপলোড টাইম : ০২:২২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৬

2 Worldপ্রযুক্তি ডেস্ক: সৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার সেরা সম্ভাবনা এবার সম্ভবত পাওয়া গেছে। কারণ প্রাণ ধারণের উপযোগী এমন একটি পাথুরে গ্রহ সম্প্রতি আবিস্কৃত হয়েছে, যা কিনা পৃথিবী থেকে মাত্র ৪ আলোকবর্ষ দূরে। ফলে ভবিষ্যতে গ্রহটিতে সহজেই মহাকাশ যান পাঠিয়ে গবেষণা করা যাবে। এই গ্রহটিকে বলা হচ্ছে, দ্বিতীয় পৃথিবী। তরল পানির উপযোগী পরিবেশ হিসেবে গ্রহটি এর নক্ষত্র থেকে সঠিক দূরত্বে রয়েছে। যার মানে দাড়াচ্ছে, গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্বের বাস্তবিক সম্ভাবনা রয়েছে। সৌরজগতের বাইরে এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত এক্সোপ্ল্যানেটগুলোর মধ্যে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম। গবেষকদের দাবী গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধানের অভিযান আমাদের জীবদ্দশার মধ্যে সম্ভব হতে পারে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছেন, আমাদের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টরিকে প্রদক্ষিণ করছে নতুন এই গ্রহটি। ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে আবিষ্কৃত রোমাঞ্চকর এই নতুন বিশ্বকে প্রক্সিমা বি, নাম দিয়েছেন গবেষকরা।  লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গুইলিম অ্যানগালাডার নেতৃত্বে ৩০ জন আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল গ্রহটি আবিষ্কারে কাজ করেছেন। হাজারের বেশি এক্সোপ্ল্যানেট এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়েছে, কিন্তু এটি অন্যগুলো থেকে ভিন্ন। এটি আমাদের নাগালের মধ্যে মাত্র চার আলোকবর্ষ দূরে। যদিও চার আলোকবর্ষ অনেক দীর্ঘ একটা পথ, ২৫ ট্রিলিয়ন মাইলেরও বেশি। বর্তমানে যে প্রযুক্তির রকেট রয়েছে, তাতে এই দূরত্ব পারি দিতে ৭৬ হাজার বছর লেগে যাবে। ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই ভবিষ্যত প্রজন্মের অতিদ্রুত মহাকাশযান, গ্রহটি ভ্রমণে সক্ষম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে বলা হয়েছে,  গ্রহটির আবহাওয়া তরল পানির উপযুক্ত। তাই প্রাণের উপস্থিতিও থাকতে পারে।