ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দ্বিগুণ হারে বাড়ছে দারিদ্র্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৯০ বার পড়া হয়েছে

প্রয়োজনের চেয়ে কম খাচ্ছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
করোনার ধাক্কায় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে দারিদ্র্য। কমছে আয়। বাড়ছে ব্যয়। সঞ্চয় ভাঙিয়েও চলতে পারছে না মানুষ। নিম্ন, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ গচ্ছিত সম্পদ বিক্রি করছেন। এই জনগোষ্ঠীর একটি অংশ জীবন ধারণের জন্য ধারদেনা করছে। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার জরিপ বলছে, কভিডের কারণে বেশির ভাগ মানুষেরই আয় কমেছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে মানুষ। ধনী ও বণিক শ্রেণির মানুষের আয় কমেছে যৎসামান্যই। ফলে দ্রুত বাড়ছে ধনী-গরিবের বৈষম্য। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ব্র্র্যাক ও পিপিআরসি বলছে, জুলাই শেষে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ২০ শতাংশ। ২০১৬ সালে এটি ছিল ২৪ শতাংশ। সেখানে চার বছরে দারিদ্র্য কমেছিল ৪ শতাংশ। গত ডিসেম্বর-জুলাই সাত মাসে দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কভিড-১৯ পরিস্থিতি আরও দীর্ঘায়িত হলে দারিদ্র্যের হার আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত মাসের শেষ সপ্তাহে এ সংক্রান্ত একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্র্যাক ও পিপিআরসি। অন্যদিকে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তথ্যমতে, দারিদ্র্যের হার এখন ৩৫ শতাংশ। যা ডিসেম্বর ২০১৯-এ ছিল ২০ শতাংশ। সিপিডির জরিপ বলছে, একইভাবে দেশে আয় বৈষম্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৫২ পয়েন্টে। যা ২০১৬ সালে ছিল দশমিক ৪৮ পয়েন্ট।
সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল কিংবা সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারেনি। এতে একদিকে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে, আবার অনেকে কম বেতন পেয়েছেন। সরকারের আগামী বাজেট ব্যবস্থাপনাকে বাস্তবসম্মত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে না পারলে অর্থনীতির কাঠামো দুর্বল হয়ে যাবে। এখন কল-কারখানাসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্বাভাবিক হলেও মানুষের আয় আগের পর্যায়ে পৌঁছেনি। এমনকি ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দাও কাটেনি। এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ লাগতে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতেও যে সমস্যা আর সংকট বাড়বে- এটা বোধহয় আমরা সবাই কমবেশি অনুমান করতে পারছি। এদিকে বিশ্বব্যাংক বলছে, কভিড-পরবর্তী দেশের অন্তত ৩ দশমিক ৮ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাবে। আর আগে দরিদ্র মানুষ রয়েছে প্রায় চার কোটি। বিশ্বব্যাংক ইতিমধ্যে প্রায় ১০০টি দেশকে ঋণ দিয়েছে, পাশাপাশি অর্থ সাহায্য করেছে। এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে বলে দাবি করেছেন তারা। সামনে ভয়াবহ দারিদ্র্য আসতে চলেছে বিশ্বে। এ ছাড়া করোনার কারণে বিশ্বে খাদ্য-সংকটও দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস। করোনা মহামারীর ধাক্কায় বিগত পাঁচ দশকের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে কম অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মুখে পড়েছে পূর্ব এশিয়া, চীন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। করোনা পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চাপের মধ্যে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি দুভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। প্রথমত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে প্রচ- আঘাত হেনেছে। যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক কাঠামোকে নষ্ট করে ফেলেছে। দ্বিতীয়ত এর প্রভাবে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার কাছে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এমনকি তারা সে সীমার নিচে নেমে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, কভিডের কারণে দারিদ্র্য বাড়ছে। এটা তো শুধু বাংলাদেশে নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশেরও একই পরিস্থিতি। কভিডের আগে দারিদ্র্যবিমোচনে বাংলাদেশ বেশ ভালো করছিল; কিন্তু কভিডের ধাক্কায় সে অবস্থা আর নেই। এখন মানুষের আয় কমে গেছে। বহু মানুষ নতুন করে বেকার হচ্ছে। আগের বেকার সমস্যা তো রয়েছেই। ফলে দারিদ্র্যের হার বাড়ছে। ব্র্যাক ও পিপিআরসির প্রতিবেদন বলছে, কভিডের কারণে এখনো প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় কম খাচ্ছেন। যাদের আয় কমে গেছে। এমনকি এ শ্রেণির মানুষ মার্চ-এপ্রিলে সাধারণ ছুটির সময় সরকারি সহায়তাও তেমন পাননি। বিশ্বব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী, অতিদরিদ্র বলতে বোঝায়, যে ব্যক্তি দৈনিক ১ হাজার ৮০৫ ক্যালরি খাদ্য কেনার অর্থ সংস্থান করতে পারেন না। বর্তমান বাজার দরে এ পরিমাণ ক্যালরির খাবার কিনতে যত টাকা খরচ হয়, সেই টাকা যদি কেউ আয় করতে না পারেন, তাহলে তাকে অতিদরিদ্র হিসেবে ধরা হয়। করোনার প্রভাব দীর্ঘায়িত হলে এই শ্রেণির মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে অতি দরিদ্রদের ব্যাংক হিসাবে ৩৬৫ কোটি টাকা জমা ছিল। গত মার্চে যা কমে হয় ৩২২ কোটি। আর গত জুনে তা আরও কমে নেমে আসে ২৪৬ কোটি টাকায়। সঞ্চয় কমলেও অতিদরিদ্রদের ব্যাংক হিসাব খোলার পরিমাণ বেড়েছে। গত মার্চে অতিদরিদ্রদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ ৪ হাজার ৪০৯। জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ২৩ হাজার ৯৯৫টিতে। এ প্রসঙ্গে ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সামগ্রিকভাবে মানুষের আয় কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে নিম্নআয়ের তথা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের মানুষের। দারিদ্র্যের হারও বাড়ছে। এই হার আরও বাড়বে। কভিড পরিস্থিতি এতটা দীর্ঘায়িত হবে সেটা আগে মানুষ বুঝতে পারেনি। আবার সামনে কতটা দীর্ঘায়িত হবে সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়েই দারিদ্র্যের হার আরও বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দ্বিগুণ হারে বাড়ছে দারিদ্র্য

আপলোড টাইম : ১০:০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০

প্রয়োজনের চেয়ে কম খাচ্ছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
করোনার ধাক্কায় দ্বিগুণ হারে বাড়ছে দারিদ্র্য। কমছে আয়। বাড়ছে ব্যয়। সঞ্চয় ভাঙিয়েও চলতে পারছে না মানুষ। নিম্ন, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ গচ্ছিত সম্পদ বিক্রি করছেন। এই জনগোষ্ঠীর একটি অংশ জীবন ধারণের জন্য ধারদেনা করছে। বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার জরিপ বলছে, কভিডের কারণে বেশির ভাগ মানুষেরই আয় কমেছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে মানুষ। ধনী ও বণিক শ্রেণির মানুষের আয় কমেছে যৎসামান্যই। ফলে দ্রুত বাড়ছে ধনী-গরিবের বৈষম্য। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ব্র্র্যাক ও পিপিআরসি বলছে, জুলাই শেষে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ২০ শতাংশ। ২০১৬ সালে এটি ছিল ২৪ শতাংশ। সেখানে চার বছরে দারিদ্র্য কমেছিল ৪ শতাংশ। গত ডিসেম্বর-জুলাই সাত মাসে দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। কভিড-১৯ পরিস্থিতি আরও দীর্ঘায়িত হলে দারিদ্র্যের হার আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত মাসের শেষ সপ্তাহে এ সংক্রান্ত একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্র্যাক ও পিপিআরসি। অন্যদিকে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তথ্যমতে, দারিদ্র্যের হার এখন ৩৫ শতাংশ। যা ডিসেম্বর ২০১৯-এ ছিল ২০ শতাংশ। সিপিডির জরিপ বলছে, একইভাবে দেশে আয় বৈষম্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৫২ পয়েন্টে। যা ২০১৬ সালে ছিল দশমিক ৪৮ পয়েন্ট।
সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল কিংবা সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারেনি। এতে একদিকে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে, আবার অনেকে কম বেতন পেয়েছেন। সরকারের আগামী বাজেট ব্যবস্থাপনাকে বাস্তবসম্মত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে না পারলে অর্থনীতির কাঠামো দুর্বল হয়ে যাবে। এখন কল-কারখানাসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্বাভাবিক হলেও মানুষের আয় আগের পর্যায়ে পৌঁছেনি। এমনকি ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দাও কাটেনি। এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ লাগতে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতেও যে সমস্যা আর সংকট বাড়বে- এটা বোধহয় আমরা সবাই কমবেশি অনুমান করতে পারছি। এদিকে বিশ্বব্যাংক বলছে, কভিড-পরবর্তী দেশের অন্তত ৩ দশমিক ৮ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাবে। আর আগে দরিদ্র মানুষ রয়েছে প্রায় চার কোটি। বিশ্বব্যাংক ইতিমধ্যে প্রায় ১০০টি দেশকে ঋণ দিয়েছে, পাশাপাশি অর্থ সাহায্য করেছে। এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে বলে দাবি করেছেন তারা। সামনে ভয়াবহ দারিদ্র্য আসতে চলেছে বিশ্বে। এ ছাড়া করোনার কারণে বিশ্বে খাদ্য-সংকটও দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস। করোনা মহামারীর ধাক্কায় বিগত পাঁচ দশকের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে কম অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মুখে পড়েছে পূর্ব এশিয়া, চীন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল। করোনা পরিস্থিতিতে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা চাপের মধ্যে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি দুভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। প্রথমত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে প্রচ- আঘাত হেনেছে। যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক কাঠামোকে নষ্ট করে ফেলেছে। দ্বিতীয়ত এর প্রভাবে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার কাছে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এমনকি তারা সে সীমার নিচে নেমে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, কভিডের কারণে দারিদ্র্য বাড়ছে। এটা তো শুধু বাংলাদেশে নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশেরও একই পরিস্থিতি। কভিডের আগে দারিদ্র্যবিমোচনে বাংলাদেশ বেশ ভালো করছিল; কিন্তু কভিডের ধাক্কায় সে অবস্থা আর নেই। এখন মানুষের আয় কমে গেছে। বহু মানুষ নতুন করে বেকার হচ্ছে। আগের বেকার সমস্যা তো রয়েছেই। ফলে দারিদ্র্যের হার বাড়ছে। ব্র্যাক ও পিপিআরসির প্রতিবেদন বলছে, কভিডের কারণে এখনো প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় কম খাচ্ছেন। যাদের আয় কমে গেছে। এমনকি এ শ্রেণির মানুষ মার্চ-এপ্রিলে সাধারণ ছুটির সময় সরকারি সহায়তাও তেমন পাননি। বিশ্বব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী, অতিদরিদ্র বলতে বোঝায়, যে ব্যক্তি দৈনিক ১ হাজার ৮০৫ ক্যালরি খাদ্য কেনার অর্থ সংস্থান করতে পারেন না। বর্তমান বাজার দরে এ পরিমাণ ক্যালরির খাবার কিনতে যত টাকা খরচ হয়, সেই টাকা যদি কেউ আয় করতে না পারেন, তাহলে তাকে অতিদরিদ্র হিসেবে ধরা হয়। করোনার প্রভাব দীর্ঘায়িত হলে এই শ্রেণির মানুষের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে অতি দরিদ্রদের ব্যাংক হিসাবে ৩৬৫ কোটি টাকা জমা ছিল। গত মার্চে যা কমে হয় ৩২২ কোটি। আর গত জুনে তা আরও কমে নেমে আসে ২৪৬ কোটি টাকায়। সঞ্চয় কমলেও অতিদরিদ্রদের ব্যাংক হিসাব খোলার পরিমাণ বেড়েছে। গত মার্চে অতিদরিদ্রদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ ৪ হাজার ৪০৯। জুন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ২৩ হাজার ৯৯৫টিতে। এ প্রসঙ্গে ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সামগ্রিকভাবে মানুষের আয় কমেছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে নিম্নআয়ের তথা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের মানুষের। দারিদ্র্যের হারও বাড়ছে। এই হার আরও বাড়বে। কভিড পরিস্থিতি এতটা দীর্ঘায়িত হবে সেটা আগে মানুষ বুঝতে পারেনি। আবার সামনে কতটা দীর্ঘায়িত হবে সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়েই দারিদ্র্যের হার আরও বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।