ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়াড়ে ভ্যানচালকে মারধরের অভিযোগ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৮
  • / ২৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড়ে এক পাখিভ্যান চালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে
মোটর শ্রমিকের কয়েকজন সদস্যর উপর। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড়ে মাথাভাঙ্গা ব্রিজ পার হয়ে তেল পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা আহত ভ্যানচালককে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মারধরের শিকার আহত ভ্যানচালক চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার মৃত শামসুল ইসলামের ছেলে রাশিদুল ইসলাম (২৫)।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে পাখিভ্যান চালক রাশিদুল কয়েকজন যাত্রী নিয়ে আলুকদিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের উদ্দেশ্যে আসছিল। ভ্যান নিয়ে দৌলতদিয়াড় পৌঁছালে কয়েকজন তার পথ আটকে দাঁড়ায়। এ সময় তাদের সাথে রাশিদুলের বাকবিত-া বাধে এরই একপর্যায়ে রাশিদুলের উপর আক্রমণ করে তারা। এতে তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত-বিক্ষত হয় এবং তার বাম হাতে গুরুত্বর আঘাত লাগে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন রাশিদুলকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে জেলা রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম শফি।
এ ব্যাপারে জেলা রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম শফি বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে বলে জানা যায়।
কয়েকজন চালকরা অভিযোগ করে বলে, আমাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, গাড়ির চাকা লিক করে দেয়, গ্লাস ভেঙ্গে দেয়, হেড লাইট ভেঙ্গে দেয় আর মারধর তো আছেই। এই অন্যায় অত্যাচার থেকে কবে পাবো মুক্তি? আমরা কি মানুষ না, আমরা তো খেটে খায়। এই অন্যায় অত্যাচারের সম্মুখিন হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড় মাথাভাঙ্গা ব্রিজ পার হয়ে তেল পাম্পের সামনে। এরা বেশ কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে গাছের নিচে বসে থাকে। অটো রিকশা-ভ্যান আসতে দেখলেই লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। অটো রিকশা বা ইজিবাইক থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে চালককে ও যাত্রীদের হয়রানির দিচ্ছে প্রতিনিয়তই। তারা আরো বলে, শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের নেতাদের ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে এই চাঁদাবাজি। দেখার কেউ না থাকায় অন্তত কয়েকটি পয়েন্টে অটোরিক্সা ও ইজিবাইক থামিয়ে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। এতে অটো চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। এই অন্যায় অত্যাচারের সুবিচার দাবি করেছে অটোরিক্সা ও ইজিবাইক চালকসহ যাত্রীরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দৌলতদিয়াড়ে ভ্যানচালকে মারধরের অভিযোগ!

আপলোড টাইম : ০৯:৪৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড়ে এক পাখিভ্যান চালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে
মোটর শ্রমিকের কয়েকজন সদস্যর উপর। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড়ে মাথাভাঙ্গা ব্রিজ পার হয়ে তেল পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা আহত ভ্যানচালককে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। মারধরের শিকার আহত ভ্যানচালক চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার মৃত শামসুল ইসলামের ছেলে রাশিদুল ইসলাম (২৫)।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে পাখিভ্যান চালক রাশিদুল কয়েকজন যাত্রী নিয়ে আলুকদিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের উদ্দেশ্যে আসছিল। ভ্যান নিয়ে দৌলতদিয়াড় পৌঁছালে কয়েকজন তার পথ আটকে দাঁড়ায়। এ সময় তাদের সাথে রাশিদুলের বাকবিত-া বাধে এরই একপর্যায়ে রাশিদুলের উপর আক্রমণ করে তারা। এতে তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত-বিক্ষত হয় এবং তার বাম হাতে গুরুত্বর আঘাত লাগে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন রাশিদুলকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে জেলা রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম শফি।
এ ব্যাপারে জেলা রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ শফিকুল ইসলাম শফি বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে বলে জানা যায়।
কয়েকজন চালকরা অভিযোগ করে বলে, আমাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, গাড়ির চাকা লিক করে দেয়, গ্লাস ভেঙ্গে দেয়, হেড লাইট ভেঙ্গে দেয় আর মারধর তো আছেই। এই অন্যায় অত্যাচার থেকে কবে পাবো মুক্তি? আমরা কি মানুষ না, আমরা তো খেটে খায়। এই অন্যায় অত্যাচারের সম্মুখিন হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড় মাথাভাঙ্গা ব্রিজ পার হয়ে তেল পাম্পের সামনে। এরা বেশ কয়েকজন লাঠিসোটা নিয়ে গাছের নিচে বসে থাকে। অটো রিকশা-ভ্যান আসতে দেখলেই লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। অটো রিকশা বা ইজিবাইক থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে চালককে ও যাত্রীদের হয়রানির দিচ্ছে প্রতিনিয়তই। তারা আরো বলে, শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের নেতাদের ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে এই চাঁদাবাজি। দেখার কেউ না থাকায় অন্তত কয়েকটি পয়েন্টে অটোরিক্সা ও ইজিবাইক থামিয়ে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। এতে অটো চালক ও যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। এই অন্যায় অত্যাচারের সুবিচার দাবি করেছে অটোরিক্সা ও ইজিবাইক চালকসহ যাত্রীরা।