ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দুর্বৃত্তদের হাতে অন্ডকোষ হারানো বাদলের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯
  • / ৯৩৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহে দুর্বৃত্তদের হাতে অ-কোষ হারানো বাদল কুমার দাসের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার ভোরের দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। বাদল কুমার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পানামী গ্রামের নির্মল কু-ু দাসের ছেলে। ১৪ দিন আগে দুর্বৃত্তরা তাঁর দুটি অ-কোষ কেটে নেয়। ১৭ জুলাই মধ্যরাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা বাদল কুমার বিশ্বাসের চোখ বেঁধে একটি কলাখেতে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক নির্দয়ভাবে তাঁর দুটি অ-কোষ কেটে দেয় তারা। গ্রামবাসী জানায়, বাদল একসময় গোয়ালপাড়া বাজারে মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। দুই মাস আগে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হলে বাদল মানসিক রোগীতে পরিণত হন। পিতা নির্মল কু-ু দাস জানান, ‘রাত তিনটার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি, বাদলের ঘরের দরজা খোলা। এরপর বাদলকে খুঁজতে থাকি, রাতে তাকে কোথাও খুঁজে পাইনি। সকালে বাড়ির পাশের একটি কলাবাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় বাদলকে দেখে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।’ কারা এবং কেন বাদলের অ-কোষ কেটে নিয়েছে, তা নির্মল কু-ু জানাতে পারেননি। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খান জানান, ‘আমরা রহস্য উদ্ধারে মাঠে আছি। খুব দ্রুতই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারব বলে মনে করি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দুর্বৃত্তদের হাতে অন্ডকোষ হারানো বাদলের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৯:১৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহে দুর্বৃত্তদের হাতে অ-কোষ হারানো বাদল কুমার দাসের মৃত্যু হয়েছে। ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার ভোরের দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। বাদল কুমার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পানামী গ্রামের নির্মল কু-ু দাসের ছেলে। ১৪ দিন আগে দুর্বৃত্তরা তাঁর দুটি অ-কোষ কেটে নেয়। ১৭ জুলাই মধ্যরাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা বাদল কুমার বিশ্বাসের চোখ বেঁধে একটি কলাখেতে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক নির্দয়ভাবে তাঁর দুটি অ-কোষ কেটে দেয় তারা। গ্রামবাসী জানায়, বাদল একসময় গোয়ালপাড়া বাজারে মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। দুই মাস আগে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হলে বাদল মানসিক রোগীতে পরিণত হন। পিতা নির্মল কু-ু দাস জানান, ‘রাত তিনটার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি, বাদলের ঘরের দরজা খোলা। এরপর বাদলকে খুঁজতে থাকি, রাতে তাকে কোথাও খুঁজে পাইনি। সকালে বাড়ির পাশের একটি কলাবাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় বাদলকে দেখে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।’ কারা এবং কেন বাদলের অ-কোষ কেটে নিয়েছে, তা নির্মল কু-ু জানাতে পারেননি। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খান জানান, ‘আমরা রহস্য উদ্ধারে মাঠে আছি। খুব দ্রুতই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারব বলে মনে করি।’