ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দু’বন্ধু মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ : এক ধর্ষক আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৯
  • / ৩২৪ বার পড়া হয়েছে

কোনোভাবেই ধর্ষকদের ছাড় দেয়া হবে না -এসপি মাহবুবুর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দামুড়হুদা উপজেলায় উজিরপুরে দুই বন্ধু মিলে এক নারীকে ধর্ষণ করেছে। গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার উজিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার বিকেলে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আকাশ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কোনোভাবেই ধর্ষকদের ছাড় দেয়া হবে না। এরা সমাজের নোংরা কীট। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে উজিরপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার নানির বাড়ি থেকে ওই নারী নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় একই গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আলামিন (২৬) ও শহিদ ম-লের ছেলে আকাশ (২৫) তার গতিরোধ করে। এরপর তাকে জোরপূবর্ক ধরে নিয়ে যায় গ্রামের একটি ঘাসক্ষেতে। সেখানে ওই নারীকে উপর্যপুরী ধর্ষণ করে ওই দুই যুবক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রমজান আলী জানান, মাঠে কাজ করা অবস্থায় ঘাসক্ষেতের মধ্যে গোঙরানির শব্দ পেয়ে আমরা কয়েকজন এগিয়ে যায়। এরপর আমাদের উপস্থিতি দেখে আলামিন ও আকাশ পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় আকাশ পালিয়ে গেলেও আমরা আলামিনকে আটক করি। পরে আলামিনের স্বজনরা আমাদের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
নির্যাতিত ওই নারীর মায়ের অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গ্রামের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তৎপর হয়ে ওঠে। গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্যও নানাভাবে চাপ দেয়া হয়। থানাতে আসতেও বাধা দেয় প্রভাবশালী ধর্ষকদের পরিবারের পক্ষ থেকে।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, বুধবার দুপুরে ধর্ষণের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। অনুসন্ধানে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা মেলে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নির্যাতিত কিশোরী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেন। দুপুরেই নির্যাতিত ওই নারীর মা বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত গাজী শামিমুর রহমান জানান, মামলার পর নির্যাতিত ওই নারীকে মেডিক্যালের জন্য পাঠানো হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। একইসঙ্গে পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। অভিযানের একপর্যায়ে বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের কাঠপট্টি এলাকা থেকে আকাশকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিকেও গ্রেফতারে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দু’বন্ধু মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ : এক ধর্ষক আটক

আপলোড টাইম : ১০:০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৯

কোনোভাবেই ধর্ষকদের ছাড় দেয়া হবে না -এসপি মাহবুবুর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দামুড়হুদা উপজেলায় উজিরপুরে দুই বন্ধু মিলে এক নারীকে ধর্ষণ করেছে। গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার উজিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার বিকেলে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আকাশ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কোনোভাবেই ধর্ষকদের ছাড় দেয়া হবে না। এরা সমাজের নোংরা কীট। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে উজিরপুর গ্রামের উত্তরপাড়ার নানির বাড়ি থেকে ওই নারী নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় একই গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আলামিন (২৬) ও শহিদ ম-লের ছেলে আকাশ (২৫) তার গতিরোধ করে। এরপর তাকে জোরপূবর্ক ধরে নিয়ে যায় গ্রামের একটি ঘাসক্ষেতে। সেখানে ওই নারীকে উপর্যপুরী ধর্ষণ করে ওই দুই যুবক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রমজান আলী জানান, মাঠে কাজ করা অবস্থায় ঘাসক্ষেতের মধ্যে গোঙরানির শব্দ পেয়ে আমরা কয়েকজন এগিয়ে যায়। এরপর আমাদের উপস্থিতি দেখে আলামিন ও আকাশ পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় আকাশ পালিয়ে গেলেও আমরা আলামিনকে আটক করি। পরে আলামিনের স্বজনরা আমাদের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
নির্যাতিত ওই নারীর মায়ের অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গ্রামের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তৎপর হয়ে ওঠে। গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্যও নানাভাবে চাপ দেয়া হয়। থানাতে আসতেও বাধা দেয় প্রভাবশালী ধর্ষকদের পরিবারের পক্ষ থেকে।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, বুধবার দুপুরে ধর্ষণের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। অনুসন্ধানে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা মেলে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নির্যাতিত কিশোরী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেন। দুপুরেই নির্যাতিত ওই নারীর মা বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত গাজী শামিমুর রহমান জানান, মামলার পর নির্যাতিত ওই নারীকে মেডিক্যালের জন্য পাঠানো হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। একইসঙ্গে পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। অভিযানের একপর্যায়ে বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের কাঠপট্টি এলাকা থেকে আকাশকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য আসামিকেও গ্রেফতারে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।