ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দুদক ও পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষার দায় কার?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০১৯
  • / ২৩৫ বার পড়া হয়েছে

পুলিশ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন দুটোই সাধারণ মানুষের ভরসাস্থল। কিন্তু দায়িত্বশীল এই দুই প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন কিছু গুরুতর অভিযোগ এসেছে যা সত্যিই বিব্রতকর। এর মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক এনামুল বাছির সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠার পর এই পদক্ষেপ। তবে সরাসরি এই অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়নি। তাকে সাময়িক বরখাস্তের ভিন্ন কারণ দেখানো হয়েছে। কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়। আমরা মনে করি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত করেছেন এনামুল বাছির। তাই এসব অভিযোগ তদন্ত করে দুদকের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতেই তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ গুরুতর। তিনি নিজেকে বাঁচাতে দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেন করেছেন। নিজের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানো, এক সংবাদ পাঠিকাকে নির্যাতন এবং অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। নিজেকে বাঁচাতে তিনি অনৈতিক পথে হেঁটেছেন। শেষ পর্যন্ত নিজেকে বাঁচাতে না পেরে তিনি এসব তথ্য ফাঁস করেছেন। এরপরও কি পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে নির্বিকার থাকবে? এমনই আরেক অবাক কা- দেখা গেছে ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের ক্ষেত্রেও। নুসরাত হত্যাকা-ে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য সমালোচিত ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশের বরাতে ইতোমধ্যে খবর প্রকাশ হয়েছে। জানা যায়, মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মে পরোয়ানা জারি করেন। এই পরোয়ানা ফেনী হয়ে রংপুরে পাঠানোর মাঝখানে এক সপ্তাহের লুকোচুরির পর তার পালিয়ে যাওয়ার কথা বলছে পুলিশ। এই তিন ঘটনা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অশনিসংকেত বলেই আমরা মনে করি। এই অপরাধীদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা না হলে তা আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই এসব ঘটনায় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দুদক ও পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষার দায় কার?

আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০১৯

পুলিশ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন দুটোই সাধারণ মানুষের ভরসাস্থল। কিন্তু দায়িত্বশীল এই দুই প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন কিছু গুরুতর অভিযোগ এসেছে যা সত্যিই বিব্রতকর। এর মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক এনামুল বাছির সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠার পর এই পদক্ষেপ। তবে সরাসরি এই অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়নি। তাকে সাময়িক বরখাস্তের ভিন্ন কারণ দেখানো হয়েছে। কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়। আমরা মনে করি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত করেছেন এনামুল বাছির। তাই এসব অভিযোগ তদন্ত করে দুদকের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতেই তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ গুরুতর। তিনি নিজেকে বাঁচাতে দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেন করেছেন। নিজের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানো, এক সংবাদ পাঠিকাকে নির্যাতন এবং অবৈধ সম্পদসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। নিজেকে বাঁচাতে তিনি অনৈতিক পথে হেঁটেছেন। শেষ পর্যন্ত নিজেকে বাঁচাতে না পেরে তিনি এসব তথ্য ফাঁস করেছেন। এরপরও কি পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে নির্বিকার থাকবে? এমনই আরেক অবাক কা- দেখা গেছে ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের ক্ষেত্রেও। নুসরাত হত্যাকা-ে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য সমালোচিত ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশের বরাতে ইতোমধ্যে খবর প্রকাশ হয়েছে। জানা যায়, মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ২৭ মে পরোয়ানা জারি করেন। এই পরোয়ানা ফেনী হয়ে রংপুরে পাঠানোর মাঝখানে এক সপ্তাহের লুকোচুরির পর তার পালিয়ে যাওয়ার কথা বলছে পুলিশ। এই তিন ঘটনা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অশনিসংকেত বলেই আমরা মনে করি। এই অপরাধীদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা না হলে তা আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই এসব ঘটনায় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।