ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দু’জেলাকে সমৃদ্ধশালী করতে শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি গুরুত্বরোপ করতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ২৯৫ বার পড়া হয়েছে

খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সাথে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে সোশ্যাল মিডিয়া সংলাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সাথে জেলা প্রশাসকের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনারের সাথে সংলাপে অংশ নিয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল হোসেন বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রায় দু’হাজারের অধিক মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে মৃত্যুবরণ করার পর বর্তমানে এখনো প্রায় এক হাজারের মতো মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। তাদের ভাতার জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে অবগত করেন। জাতীয় মহিলা সংস্থা থেকে জানানো হয় তাদের ছয় মাসের তিনটি কোর্স (দর্জি, বাটিক প্রিন্ট ও কম্পিউটার প্রশিক্ষন) প্রশিক্ষন কোর্সে অংশগ্রহন করে সফলভাবে শেষ করে অনেক নারী আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্কলা বাহিনী পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, জেলার আইনশৃঙ্খলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার থেকে জানানো হয়, বর্তমানে জেলায় অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল এ্যাটেনডেন্স সিস্টেম চালু করা হয়েছে। আগামী জানুয়ারী মাসের মধ্যে প্রত্যেক উপজেলার কমপক্ষে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল হাজিরার আওতায় আনা হবে। বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়াকে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বর্তমানে অনেক এগিয়ে গেছে। তবে শিক্ষাব্যবস্থা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। মাদক ব্যবসায়ী নয় মাদকসেবীকে গ্রেপ্তারের উল্টো নিয়ম দিয়ে জেলায় মাদক ব্যবসা অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। এ নিয়মের ফলে মাদকব্যবসায়ীরা অলসভাবে জীবনযাপন করছেন। মাদক নিয়ে বিগত এক মাসের মোবাইল কোর্টের বিবরন তুলে ধরেন। বাল্যবিবাহকে না বলে একে লাল কার্ড দেখানো হচ্ছে। এছাড়াও চিত্রা নদী খননসহ দর্শনাকে স্থলবন্দর চালুর বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারকে অবগত করেন। বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটন এলাকার জন্য উপযুক্ত স্থান। এই অঞ্চলে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা অপার সম্ভাবনাময় দিক। মাদকব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তাদেরকে মাদকব্যবসা ছেড়ে ড্রাইভিং প্রশিক্ষন নিতে। ড্রাইভিং করে প্রতিমাসে বিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্য, দর্শনাতে স্থলবন্দর চালুর বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার দপ্তরে চিঠি প্রেরণের জন্য আহ্বান জানান। এছাড়াও জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি গুরুত্বরোপ করতে জেলা প্রশাসকে নির্দেশ প্রদান করেন। কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জসীম উদ্দীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সুচিত্র রঞ্জন দাস, সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যল ট্রেনিং সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানসহ রাজনৈতিক, সাংবাদিকবৃন্দরা।


মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সাথে জেলা প্রশাসনের সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, সিভিল সার্জন ডা. জিকেএম সামছুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শেখ ফরিদ আহামেদ, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আলামিন হোসেন, জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেলোয়ার হোসেন, জেলার জজ কোর্টের পিপি পল্লব ভট্টাচার্য্য তরুণ, জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল, র‌্যাব-৬ এর ডিডি আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আব্দুল হালিম, জাতিয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শামীম আরা হিরা, জেলা মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার বশির আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম মাস্টারসহ জেলা সরকারি বেসকারি কর্মকর্তারা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দু’জেলাকে সমৃদ্ধশালী করতে শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি গুরুত্বরোপ করতে হবে

আপলোড টাইম : ০৯:১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭

খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সাথে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে সোশ্যাল মিডিয়া সংলাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সাথে জেলা প্রশাসকের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনারের সাথে সংলাপে অংশ নিয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল হোসেন বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রায় দু’হাজারের অধিক মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে মৃত্যুবরণ করার পর বর্তমানে এখনো প্রায় এক হাজারের মতো মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। তাদের ভাতার জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে অবগত করেন। জাতীয় মহিলা সংস্থা থেকে জানানো হয় তাদের ছয় মাসের তিনটি কোর্স (দর্জি, বাটিক প্রিন্ট ও কম্পিউটার প্রশিক্ষন) প্রশিক্ষন কোর্সে অংশগ্রহন করে সফলভাবে শেষ করে অনেক নারী আত্মকর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃঙ্কলা বাহিনী পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, জেলার আইনশৃঙ্খলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার থেকে জানানো হয়, বর্তমানে জেলায় অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল এ্যাটেনডেন্স সিস্টেম চালু করা হয়েছে। আগামী জানুয়ারী মাসের মধ্যে প্রত্যেক উপজেলার কমপক্ষে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল হাজিরার আওতায় আনা হবে। বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়াকে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বর্তমানে অনেক এগিয়ে গেছে। তবে শিক্ষাব্যবস্থা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। মাদক ব্যবসায়ী নয় মাদকসেবীকে গ্রেপ্তারের উল্টো নিয়ম দিয়ে জেলায় মাদক ব্যবসা অনেকটা নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে। এ নিয়মের ফলে মাদকব্যবসায়ীরা অলসভাবে জীবনযাপন করছেন। মাদক নিয়ে বিগত এক মাসের মোবাইল কোর্টের বিবরন তুলে ধরেন। বাল্যবিবাহকে না বলে একে লাল কার্ড দেখানো হচ্ছে। এছাড়াও চিত্রা নদী খননসহ দর্শনাকে স্থলবন্দর চালুর বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারকে অবগত করেন। বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটন এলাকার জন্য উপযুক্ত স্থান। এই অঞ্চলে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা অপার সম্ভাবনাময় দিক। মাদকব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, তাদেরকে মাদকব্যবসা ছেড়ে ড্রাইভিং প্রশিক্ষন নিতে। ড্রাইভিং করে প্রতিমাসে বিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্য, দর্শনাতে স্থলবন্দর চালুর বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার দপ্তরে চিঠি প্রেরণের জন্য আহ্বান জানান। এছাড়াও জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি গুরুত্বরোপ করতে জেলা প্রশাসকে নির্দেশ প্রদান করেন। কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জসীম উদ্দীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সুচিত্র রঞ্জন দাস, সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যল ট্রেনিং সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানসহ রাজনৈতিক, সাংবাদিকবৃন্দরা।


মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সাথে জেলা প্রশাসনের সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, সিভিল সার্জন ডা. জিকেএম সামছুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শেখ ফরিদ আহামেদ, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আলামিন হোসেন, জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দেলোয়ার হোসেন, জেলার জজ কোর্টের পিপি পল্লব ভট্টাচার্য্য তরুণ, জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল, র‌্যাব-৬ এর ডিডি আমিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আব্দুল হালিম, জাতিয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শামীম আরা হিরা, জেলা মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার বশির আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম মাস্টারসহ জেলা সরকারি বেসকারি কর্মকর্তারা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।