ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দুই শিশু ফিরে পেল মা-বাবাকে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২০:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
  • / ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের মধ্যস্থতায়
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের হস্তক্ষেপে দুই শিশু তার মা-বাবাকে ফিরে পেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে একটি ভাঙা সংসার জোড়া লাগানোর মাধ্যমে দুই শিশু তাদের মা-বাবাকে ফিরে পায়।
পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গার আরামপাড়ার মৃত হাসানুজ্জামানের মেয়ে মোছা. তাসফিয়া তাজমীন হিরার (২৫) সঙ্গে ৮ বছর আগে ঝিনাইদহের উত্তর নারায়ণপুর গ্রামের মো. জাকির হোসেনের (২৮) ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়। তাঁদের সংসার জীবনে জিম (৫), জাবির (৩) নামের ফুটফুটে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সংসার জীবন ৭ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত ১ বছর আগে থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে মনমালিন্য দেখা দেয়। একপর্যায়ে গত ৬ মাস আগে জাকির তাঁর স্ত্রীকে পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। ফলে তাঁদের সুখের সংসার ভাঙার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
এমতাবস্থায় তাসফিয়া তাজমীন হিরা তাঁর দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার অভিযোগটি তাঁর কার্যালয়ে অবস্থিত এবং নিজের উদ্বোধনকৃত ‘উইমেন সাপোর্ট সেন্টার’-এ কর্মরত নারী এএসআই (নিরস্ত্র)/বিভা রানীকে দিলে তিনি উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোছা. তাসফিয়া তাজমীন হিরা এবং মো. জাকির হোসেন দম্পত্তি পুনরায় সংসার করতে সম্মত হন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দুই শিশু ফিরে পেল মা-বাবাকে

আপলোড টাইম : ১০:২০:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের মধ্যস্থতায়
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের হস্তক্ষেপে দুই শিশু তার মা-বাবাকে ফিরে পেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে একটি ভাঙা সংসার জোড়া লাগানোর মাধ্যমে দুই শিশু তাদের মা-বাবাকে ফিরে পায়।
পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গার আরামপাড়ার মৃত হাসানুজ্জামানের মেয়ে মোছা. তাসফিয়া তাজমীন হিরার (২৫) সঙ্গে ৮ বছর আগে ঝিনাইদহের উত্তর নারায়ণপুর গ্রামের মো. জাকির হোসেনের (২৮) ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়। তাঁদের সংসার জীবনে জিম (৫), জাবির (৩) নামের ফুটফুটে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সংসার জীবন ৭ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত ১ বছর আগে থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে মনমালিন্য দেখা দেয়। একপর্যায়ে গত ৬ মাস আগে জাকির তাঁর স্ত্রীকে পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। ফলে তাঁদের সুখের সংসার ভাঙার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
এমতাবস্থায় তাসফিয়া তাজমীন হিরা তাঁর দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সুপার অভিযোগটি তাঁর কার্যালয়ে অবস্থিত এবং নিজের উদ্বোধনকৃত ‘উইমেন সাপোর্ট সেন্টার’-এ কর্মরত নারী এএসআই (নিরস্ত্র)/বিভা রানীকে দিলে তিনি উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোছা. তাসফিয়া তাজমীন হিরা এবং মো. জাকির হোসেন দম্পত্তি পুনরায় সংসার করতে সম্মত হন।