দুই দালাল আটক, শর্তসাপেক্ষে মুক্তি
- আপলোড টাইম : ১০:৫২:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১
- / ২৮১ বার পড়া হয়েছে
?????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম থামছেই না
আফজালুল হক:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন আনারুল মেডিকেল সেন্টার। এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনো অনুমোদন নেই। তারপরও সিভিল সার্জনের অফিসের কয়েকশ গজ দূরেই অবৈধভাবে এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলছে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এসব স্বাস্থ্যবিভাগ জেনেও নীরব ভূমিকা পালন করছে। আর হাসপাতালে আসা রোগীদের ভাগিয়ে এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছে দালাল চক্র। কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না এই বেপরোয়া দালাল চক্রকে। বাধ্য হয়ে দালালদের দৌরাত্ম ঠেকাতে গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সাজিদ হাসানের নেতৃত্বে পরিচালনা করা হয় বিশেষ অভিযান। এসময় সদর হাসপাতালের চিহ্নিত দু’জন দালালকে আটক করা হয়ে। কিছুক্ষণ পর শর্তসাপেক্ষে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আটককৃতরা হলেন দালাল ইয়াছিন ও জুয়েল। আটকের পর তাঁদেরকে হাসপাতালের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আটককৃত ইয়াছিন হাসপাতাল এলাকার আনারুল মেডিকেল সেন্টারের সঙ্গে জড়িত। ইয়াছিন প্রতিদিনই হাসপাতাল থেকে রোগীদের ভাগিয়ে আনারুল মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে পরীক্ষা করান। এর থেকে তিনি কমিশন পেয়ে থাকেন। আটককৃত জুয়েল এর আগেও হাসপাতালে দালালি করার সময় পুলিশের হাতে আটক হন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে সাজা প্রদান করেন। গতকাল ইয়াছিন ও জুয়েলকে আটক করে হাসপাতালের একটি কক্ষে আটকে রাখার পর শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে আটকের পর হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভুক্তোভুগীসহ সচেতন মহলের সমালোচনার মুখে পড়েছে। অভিযানে সহযোগিতা করেন সদর হাসপাতালের নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সাজিদ হাসান বলেন, হাসপাতালে দালালদের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এরা রোগী ভাগিয়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ নিত্যদিনের। তাই হাসপাতালের সুনাম রক্ষার্থে এই অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।