ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দীর্ঘ হচ্ছে করোনায় মৃত্যুর মিছিল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০
  • / ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

এক দিনে আরও ৫৫ জনসহ ২ হাজার ছাড়ল
সমীকরণ প্রতিবেদন:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫২ জনে। দেশে করোনা শনাক্তের ১২০তম দিনে ২ হাজার ছাড়িয়ে গেল মৃতের সংখ্যা। গত এক দিনে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৩৮ জনের শরীরে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জন। আইইডিসিআরের অনুমিত হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৯০৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৭২ হাজার ৬২৫ জনে। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ, তার ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। প্রায় এক মাস পর ২০ এপ্রিল মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছিল। গত ২৫ মে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়। ১০ জুন মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। দেড় হাজার ছাড়িয়েছিল ২২ জুন। প্রথম মৃত্যুর ৮৫ দিন পর ৫ জুলাই মৃতের সংখ্যা ২ হাজারের ঘর ছাড়িয়ে গেল। এই হিসেবে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াতে সময় লেগেছিল দুই মাস সাত দিন। পরের ৫০০ জনের মৃত্যু ঘটে ১৬ দিনের মধ্যে। তার পরের ৫০০ জনের মৃত্যু ঘটে ১২ দিনে। মৃতের তালিকায় আরও ৫০০ জন যোগ হতে সময় লাগল ১৪ দিন। গতকাল করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সবশেষ তথ্য জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে হাজির হন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪১ জনের এবং বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, আটজন রংপুর বিভাগের, ছয়জন খুলনা বিভাগের, পাঁচজন বরিশাল বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন করে বাসিন্দা ছিলেন। মারা যাওয়া এই ৫৫ জনের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন এবং শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত যে ২০৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ১ হাজার ৬২৪ পুরুষ, ৪২৮ জন নারী। ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, সারা দেশে ৭৩টি ল্যাব চালু হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮টি পরীক্ষাগার থেকে নমুনা সংগ্রহের তথ্য পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি ও ঢাকার সিআরএল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ৬৮টি পরীক্ষাগারে গত এক দিনে ১৩ হাজার ৯৮৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, এ পর্যন্ত দেশে পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৬২টি নমুনা। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৪ দশমিক ৭২ শতাংশ, মৃত্যু হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৬২৪ জন, যা শতকরা ৭৯ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং নারী ৪২৮ জন, যা শতকরা ২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দীর্ঘ হচ্ছে করোনায় মৃত্যুর মিছিল

আপলোড টাইম : ০৯:০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০

এক দিনে আরও ৫৫ জনসহ ২ হাজার ছাড়ল
সমীকরণ প্রতিবেদন:
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫২ জনে। দেশে করোনা শনাক্তের ১২০তম দিনে ২ হাজার ছাড়িয়ে গেল মৃতের সংখ্যা। গত এক দিনে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৩৮ জনের শরীরে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জন। আইইডিসিআরের অনুমিত হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৯০৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৭২ হাজার ৬২৫ জনে। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ, তার ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। প্রায় এক মাস পর ২০ এপ্রিল মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছিল। গত ২৫ মে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়। ১০ জুন মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। দেড় হাজার ছাড়িয়েছিল ২২ জুন। প্রথম মৃত্যুর ৮৫ দিন পর ৫ জুলাই মৃতের সংখ্যা ২ হাজারের ঘর ছাড়িয়ে গেল। এই হিসেবে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াতে সময় লেগেছিল দুই মাস সাত দিন। পরের ৫০০ জনের মৃত্যু ঘটে ১৬ দিনের মধ্যে। তার পরের ৫০০ জনের মৃত্যু ঘটে ১২ দিনে। মৃতের তালিকায় আরও ৫০০ জন যোগ হতে সময় লাগল ১৪ দিন। গতকাল করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সবশেষ তথ্য জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে হাজির হন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪১ জনের এবং বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, আটজন রংপুর বিভাগের, ছয়জন খুলনা বিভাগের, পাঁচজন বরিশাল বিভাগের, দুজন সিলেট বিভাগের, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন করে বাসিন্দা ছিলেন। মারা যাওয়া এই ৫৫ জনের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন এবং শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত যে ২০৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ১ হাজার ৬২৪ পুরুষ, ৪২৮ জন নারী। ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, সারা দেশে ৭৩টি ল্যাব চালু হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮টি পরীক্ষাগার থেকে নমুনা সংগ্রহের তথ্য পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি ও ঢাকার সিআরএল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ৬৮টি পরীক্ষাগারে গত এক দিনে ১৩ হাজার ৯৮৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, এ পর্যন্ত দেশে পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৬২টি নমুনা। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৪ দশমিক ৭২ শতাংশ, মৃত্যু হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৬২৪ জন, যা শতকরা ৭৯ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং নারী ৪২৮ জন, যা শতকরা ২০ দশমিক ৮৬ শতাংশ।