ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দীনের দাওয়াতের গুরুত্ব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৫৭৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে ইমান আনার সঙ্গে সঙ্গেই ইমানদাররা নিজ নিজ জাতির মধ্যে দাওয়াতি কাজ শুরু করে দিতেন। আর নবী-রাসূলদের প্রথম ও প্রধান কাজই হলো মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করা। রেসালতের দায়িত্ব সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে ওহি নাজিল হয় তা হলো, ‘হে চাদরাবৃত, উঠুন, সতর্ক করুন’ (সুরা মুদ্দাসসির: ১-২)। রাসূলুল্লাহকে (সা.) তার কাজ সম্পর্কে আল্লাহ বলতে বলেছেন, ‘বলুন, আমার কাজই হলো আল্লাহর দিকে আহ্বান করা’Ñ সূরা ইউসুফ: ১০৮। দাওয়াত প্রদানের ভাষা শিক্ষা দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘হে দেশবাসী, একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব কর। তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোনো আদেশকারী নেই’ (সুরা আরাফ)। দাওয়াতের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘আপনার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন’Ñ সুরা মুদ্দাসসির: ৩। দাওয়াত হবে আল্লাহর আনুগত্য, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণ ও আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার দিকে। এ দাওয়াত কেবল নামাজ, রোজা বা কিছু আমলের আংশিক দাওয়াত নয়, দাওয়াত হবে দীনের পূর্ণাঙ্গ দাওয়াত। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা ইসলামের মধ্যে পরিপূর্ণ দাখিল হয়ে যাও’। যে কথা মানবতার কল্যাণের দ্বার উšে§াচিত করে তাই উত্তম কথা। আর উত্তম কথার মধ্যে সর্বোত্তম কথার পরিচয় দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তার কথার চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে, সৎ কাজ করে এবং বলে আমি আত্মসমর্পণকারীদের একজন’Ñ সুরা হা-মীম সিজদা: ৩৩। মহান আল্লাহ দাওয়াতের কৌশল শিক্ষা দিয়ে বলেন, ‘আহ্বান কর তোমার প্রভুর দিকে হেকমতের সঙ্গে, সুন্দর সুন্দর কথার মাধ্যমে আর সর্বোত্তম যুক্তি প্রয়োগ করে’ Ñ সুরা না হলো: ১২৫। সুতরাং হিকমত অর্থাৎ মানুষের মনস্তত্ত্ব, পরিবেশ, গ্রহণ, ক্ষমতা ইত্যাদি বুঝে দাওয়াত উপস্থাপন করা। দাওয়াতের ভাষা প্রাঞ্জল, হƒদয়স্পর্শী ও আন্তরিকতাপূর্ণ হওয়া। শক্তির ভাষায় নয়, যুক্তির ভাষায় কথা বলা। দীনের দাওয়াতকে মানুষের মধ্যে অতি দ্রুত গ্রহণযোগ্য করতে দাওয়াত দাতাকে কতগুলো মৌলিক গুণের অধিকারী হতে হবে। পরিশুদ্ধ চিন্তা ও বিশ্বাস, ইসলামের স্বচ্ছ জ্ঞান, কথা ও কাজের মিল এবং ধৈর্যশীল হওয়া তার জন্য জরুরি। দাওয়াত দেয়ার পাশাপাশি এ গুণগুলো অর্জনের অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তখনই সাধারণ মানুষ দায়ী বা দাওয়াত দাতার কথা অকপটে গ্রহণ করবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দীনের দাওয়াতের গুরুত্ব

আপলোড টাইম : ১১:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে ইমান আনার সঙ্গে সঙ্গেই ইমানদাররা নিজ নিজ জাতির মধ্যে দাওয়াতি কাজ শুরু করে দিতেন। আর নবী-রাসূলদের প্রথম ও প্রধান কাজই হলো মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করা। রেসালতের দায়িত্ব সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে ওহি নাজিল হয় তা হলো, ‘হে চাদরাবৃত, উঠুন, সতর্ক করুন’ (সুরা মুদ্দাসসির: ১-২)। রাসূলুল্লাহকে (সা.) তার কাজ সম্পর্কে আল্লাহ বলতে বলেছেন, ‘বলুন, আমার কাজই হলো আল্লাহর দিকে আহ্বান করা’Ñ সূরা ইউসুফ: ১০৮। দাওয়াত প্রদানের ভাষা শিক্ষা দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘হে দেশবাসী, একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব কর। তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোনো আদেশকারী নেই’ (সুরা আরাফ)। দাওয়াতের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘আপনার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন’Ñ সুরা মুদ্দাসসির: ৩। দাওয়াত হবে আল্লাহর আনুগত্য, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসরণ ও আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার দিকে। এ দাওয়াত কেবল নামাজ, রোজা বা কিছু আমলের আংশিক দাওয়াত নয়, দাওয়াত হবে দীনের পূর্ণাঙ্গ দাওয়াত। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা ইসলামের মধ্যে পরিপূর্ণ দাখিল হয়ে যাও’। যে কথা মানবতার কল্যাণের দ্বার উšে§াচিত করে তাই উত্তম কথা। আর উত্তম কথার মধ্যে সর্বোত্তম কথার পরিচয় দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তার কথার চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে, সৎ কাজ করে এবং বলে আমি আত্মসমর্পণকারীদের একজন’Ñ সুরা হা-মীম সিজদা: ৩৩। মহান আল্লাহ দাওয়াতের কৌশল শিক্ষা দিয়ে বলেন, ‘আহ্বান কর তোমার প্রভুর দিকে হেকমতের সঙ্গে, সুন্দর সুন্দর কথার মাধ্যমে আর সর্বোত্তম যুক্তি প্রয়োগ করে’ Ñ সুরা না হলো: ১২৫। সুতরাং হিকমত অর্থাৎ মানুষের মনস্তত্ত্ব, পরিবেশ, গ্রহণ, ক্ষমতা ইত্যাদি বুঝে দাওয়াত উপস্থাপন করা। দাওয়াতের ভাষা প্রাঞ্জল, হƒদয়স্পর্শী ও আন্তরিকতাপূর্ণ হওয়া। শক্তির ভাষায় নয়, যুক্তির ভাষায় কথা বলা। দীনের দাওয়াতকে মানুষের মধ্যে অতি দ্রুত গ্রহণযোগ্য করতে দাওয়াত দাতাকে কতগুলো মৌলিক গুণের অধিকারী হতে হবে। পরিশুদ্ধ চিন্তা ও বিশ্বাস, ইসলামের স্বচ্ছ জ্ঞান, কথা ও কাজের মিল এবং ধৈর্যশীল হওয়া তার জন্য জরুরি। দাওয়াত দেয়ার পাশাপাশি এ গুণগুলো অর্জনের অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তখনই সাধারণ মানুষ দায়ী বা দাওয়াত দাতার কথা অকপটে গ্রহণ করবে।