ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ থেকে মোটরসাইকেল চুরির এক বছরের মাথায় অভিযান সফল : মোটরসাইকেল উদ্ধার : চোর সিরাজগঞ্জের জাহিদ গ্রেফতার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা প্রতিনিধি : দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ উপজেলা পরিষদের ভিতর থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধারসহ চোর আটকের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। প্রায় এক বছরের মাথায় এসে তা সনাক্ত করে আসল চোর সিরাজগঞ্জের শাহাজাপুর উপজেলার রামবাড়ি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ওরফে রবিনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। গতকাল শনিবার জাহিদকে আদালতে হাজির করলে সে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে। থানা পুলিশের এই চ্যালেঞ্জ সফল করার সমস্ত কৃতিত্ব একজন কনস্টেবল কম্পিউটার অপারেটর মোস্তাফিজুর রহমানের বলে অকপটে স্বীকার করেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমজাদ। এই সফলতার জন্য কনস্টেবল মোস্তাফিজকে ব্যক্তিগতভাবে ২ হাজার টাকা পুরষ্কারও দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
থানা সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলা সদরের আফাজ উদ্দীনের ছেলে শিক্ষক কুতুব উদ্দীনের ব্যবহৃত একটি হিরোহোন্ডা মোটরসাইকেল গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ থেকে চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই সময় দায়িত্বে থাকা দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান পরিষদের সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে মোটরসাইকেল চুরির ভিডিওটা ফেসবুকসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে সরবরাহ করেন। উপজেলা পরিষদের ভিতর থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয় দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান। চোরকে আটকসহ মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের অভিযান শুরু করেন। সিসি টিভি ফুটেজের ছবি তিনি সারা দেশের থানা গুলোতে ছড়িয়ে দেন। পাশাপাশি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমজাদ ও থানার কম্পিউটার অপারেটরকে নির্দেশ দেন তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে চোরকে সনাক্ত করার জন্য। সেই থেকে লেগে থেকে এক বছরের মাত্র কয়েক দিন আগে গত পরশু শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কম্পিউটার অপারেটর কনস্টেবল মোস্তাফিজ নিশ্চিত হয় মোটরসাইকেল চোর দর্শনা বাজারে অবস্থান করছে। বিষয়টি ওসি সাহেবকে জানালে তিনি দ্রুত চোরকে আটকের জন্য ওসির ব্যবহৃত থানার গাড়িটি ছেড়ে দেন। ওই সময় হাতের কাছে তেমন কোন অফিসার না থাকায় কনেসট্যাবল মোস্তাফিজ ও শহিদুলকেই ওসি নির্দেশ দেন অভিযান চালানোর। ওসির নির্দেশ পেয়ে সাথে সাথে তারা বেরিয়ে পড়েন এবং মোটরসাইকেল চোরকে দর্শনা বাজার থেকে আটক করতে সক্ষম হন।
মালার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমজাদ হোসেন জানান, এই মোটরসাইকেল চুরি মামলায় গতকাল শনিবার জাহিদ ওরফে রবিনকে চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল হালিমের আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ থেকে মোটরসাইকেল চুরির এক বছরের মাথায় অভিযান সফল : মোটরসাইকেল উদ্ধার : চোর সিরাজগঞ্জের জাহিদ গ্রেফতার

আপলোড টাইম : ০৫:৩৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৭

দামুড়হুদা প্রতিনিধি : দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ উপজেলা পরিষদের ভিতর থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধারসহ চোর আটকের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল। প্রায় এক বছরের মাথায় এসে তা সনাক্ত করে আসল চোর সিরাজগঞ্জের শাহাজাপুর উপজেলার রামবাড়ি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ওরফে রবিনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। গতকাল শনিবার জাহিদকে আদালতে হাজির করলে সে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে। থানা পুলিশের এই চ্যালেঞ্জ সফল করার সমস্ত কৃতিত্ব একজন কনস্টেবল কম্পিউটার অপারেটর মোস্তাফিজুর রহমানের বলে অকপটে স্বীকার করেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমজাদ। এই সফলতার জন্য কনস্টেবল মোস্তাফিজকে ব্যক্তিগতভাবে ২ হাজার টাকা পুরষ্কারও দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
থানা সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলা সদরের আফাজ উদ্দীনের ছেলে শিক্ষক কুতুব উদ্দীনের ব্যবহৃত একটি হিরোহোন্ডা মোটরসাইকেল গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ থেকে চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই সময় দায়িত্বে থাকা দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান পরিষদের সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে মোটরসাইকেল চুরির ভিডিওটা ফেসবুকসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে সরবরাহ করেন। উপজেলা পরিষদের ভিতর থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনাটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয় দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান। চোরকে আটকসহ মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের অভিযান শুরু করেন। সিসি টিভি ফুটেজের ছবি তিনি সারা দেশের থানা গুলোতে ছড়িয়ে দেন। পাশাপাশি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমজাদ ও থানার কম্পিউটার অপারেটরকে নির্দেশ দেন তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে চোরকে সনাক্ত করার জন্য। সেই থেকে লেগে থেকে এক বছরের মাত্র কয়েক দিন আগে গত পরশু শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কম্পিউটার অপারেটর কনস্টেবল মোস্তাফিজ নিশ্চিত হয় মোটরসাইকেল চোর দর্শনা বাজারে অবস্থান করছে। বিষয়টি ওসি সাহেবকে জানালে তিনি দ্রুত চোরকে আটকের জন্য ওসির ব্যবহৃত থানার গাড়িটি ছেড়ে দেন। ওই সময় হাতের কাছে তেমন কোন অফিসার না থাকায় কনেসট্যাবল মোস্তাফিজ ও শহিদুলকেই ওসি নির্দেশ দেন অভিযান চালানোর। ওসির নির্দেশ পেয়ে সাথে সাথে তারা বেরিয়ে পড়েন এবং মোটরসাইকেল চোরকে দর্শনা বাজার থেকে আটক করতে সক্ষম হন।
মালার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমজাদ হোসেন জানান, এই মোটরসাইকেল চুরি মামলায় গতকাল শনিবার জাহিদ ওরফে রবিনকে চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল হালিমের আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।