ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা উপজেলায় অবৈধভাবে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে বেকারী কারখানা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি : নিরব ভূমিকায় কর্তৃপক্ষ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৫২৭ বার পড়া হয়েছে

dfgfgদামুড়হুদা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সদর সহ পাশ্ববর্তী এলাকায় অবৈধ  ভাবে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে অ-স্বাস্থ্য পরিবেশে বেকারী কারখানা। জানা গেছে, দামুড়হুদা  উপজেলার জুড়ানপুর মোড়ে অ-স্বাস্থ্য পরিবেশে গড়ে উঠেছে ভাই-ভাই ফুড প্রোডাক্টস নামে একটি বেকারী কারখানা। কারখানাটি জুড়ানপুরের শাহাজান ও ঢাকা নবী নগর থেকে আসা মাইদুল ইসলাম ৫/৬ আগে পার্টনারে  তৈরি করেন এ অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশের বেকারী কারখানাটি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেলো, কারখানায়   নোংড়া পরিবেশ মূল্যে ও তারিখ বাদে তৈরি করছে পাওরুটি, বিস্কুট, কেক, লাটিসহ বিভিন্ন  প্রোডাক্ট। অপর দিকে শিশু শ্রমিক দিয়ে চলছে প্যাকেট জাত। যথাযথা  কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বিহিন শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। কারখানাটি ঘুরে দেখা গেলো কারখানার অফিস কক্ষে  কর্তব্যরত  ব্যাক্তির নিকট মালিক মহদ্বয়ের খোজ করলে তিনি বলেন বাসায়  গেছে খবর দিয়েছি আসছে। অথচ আমি দীর্ঘ ৩০/৪০ মিনিট অফিস রুমে অপেক্ষা করলেও মালিক শাহজান না আসায় কারখানার অফিস ত্যাগ করে চলে আসার সময় রাস্তায় থেকে এক ভদ্র লোক লুঙ্গি, জামা পড়া দাঁড়ি আওলা এক ব্যাক্তি ডাক দিলো কাছে যেতেই সে পরিচয় দিলো আমি শাহাজান, আমিও আমার পরিচয় দিলাম রাস্তা থেকে নেমে কারখানাটি সামনে একটি গাছের নীচে বসালো বেকারি মালিক শাহাজান। কারখানাটি  বিভিন্ন সমস্যার কথা বলতেই তিনি আমার কাছ থেকে সরে গিয়ে কার সাথে মোবাইলে কথা বলে এসেই বললেন আপনাদের পত্রিকা তো কেউই পরে না। আমি শাহজানের কাছে জানতে চাইলাম আপনার কারখানার কি যথাযথ কর্তৃপক্ষের  অনুমোদন  আছে? তিনি উত্তেজিত হয়ে বললেন সেটা আপনাকে বলতে হবে নাকি, এরপর আমি শাহজান কে প্রশ্ন করলাম সরকার কর্তৃক আইনে সম্পন্ন নিষিদ্ধ শিশু শ্রমিক কাজে লাগানো যাবে না, কিন্তু আপনি তো সরকারী আইন পুরোপুরি অমান্য করে কারখানা চালাচ্ছেন এতে আপনি কি বলবেন তিনি আরো উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনি যা পারেন করেন গিয়ে আর যা লিখবেন লিখেন তাতে আমার কিছুই হবে না। অবশেষে  কথা না বাড়িয়ে স্থান ত্যগ করলাম। আশপাশ থেকে খোজ নিয়ে দেখা গেলো আসলে সরকার কর্তৃক যে সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরর কারখানার পরিবেশ, তৈরিকৃত খাবারের গুনগত মান ইত্যাদি দেখার কাজে নিয়োজিত সে সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শক কর্তারা বেকারি গুলোতে মাসিক মাসোয়ারা নিয়ে অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিনত করে আসছে র্দীঘ দিন থেকেই। আইন প্রয়োগকারী যথাযথ  কর্মকতাদের সু-দৃষ্টির চরম অনিহা রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশের বেকারী  কারখানার তৈরি খাবার খেয়ে অনেক সময় অনেকের ডায়েরিয়া, পেটের পীড়া সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের  ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ  আইন, ২০০৯ ভোক্তা অধিকারের জাতিসংঘ স্বীকৃত ভোক্তার অধিকার লঙ্ঘন করেছেন এক শ্রেনীর অসাধু ব্যাবসাদারদের ভোক্তা অধিকার বিরোধী অপরাধের মাত্রাও অতিক্রম ও লঙ্ঘন করে চালাচ্ছে এ ব্যাবসা। স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর পণ্য তুলে দিচ্ছে ক্রেতা সাধারনের মুখে। ভোক্তা অধিকার আইনে বলা আছে, মোড়কের গায়ে পণ্যের উপাদান, খুচরা বিক্রয় মুল্য, মেয়াদ উর্ওীর্নের তারিখ ইত্যাদি লিপিবদ্ধ না করেই অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশেই চলছে এ ব্যাবসা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য ও অপরাধে বলা আছে, পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা বা মোড়কের গায়ে খুচরা বিক্রয় মুল্য,   মেয়াদ উর্ওীর্ণের তারিখ ইত্যাদি লেখা না থাকলে শাস্তি হিসাবে অনাধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা অনাধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড যোগ্য অপরাধ হবে কিন্তু বাস্তবে ভোক্তা অধিকার আইন অমান্য বা লঙ্ঘন করলেও বাস্তবে এ আইন সম্পন্ন ভিন্ন দেখা যায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদা উপজেলায় অবৈধভাবে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে বেকারী কারখানা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি : নিরব ভূমিকায় কর্তৃপক্ষ!

আপলোড টাইম : ১২:০২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৬

dfgfgদামুড়হুদা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সদর সহ পাশ্ববর্তী এলাকায় অবৈধ  ভাবে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে অ-স্বাস্থ্য পরিবেশে বেকারী কারখানা। জানা গেছে, দামুড়হুদা  উপজেলার জুড়ানপুর মোড়ে অ-স্বাস্থ্য পরিবেশে গড়ে উঠেছে ভাই-ভাই ফুড প্রোডাক্টস নামে একটি বেকারী কারখানা। কারখানাটি জুড়ানপুরের শাহাজান ও ঢাকা নবী নগর থেকে আসা মাইদুল ইসলাম ৫/৬ আগে পার্টনারে  তৈরি করেন এ অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশের বেকারী কারখানাটি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেলো, কারখানায়   নোংড়া পরিবেশ মূল্যে ও তারিখ বাদে তৈরি করছে পাওরুটি, বিস্কুট, কেক, লাটিসহ বিভিন্ন  প্রোডাক্ট। অপর দিকে শিশু শ্রমিক দিয়ে চলছে প্যাকেট জাত। যথাযথা  কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বিহিন শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। কারখানাটি ঘুরে দেখা গেলো কারখানার অফিস কক্ষে  কর্তব্যরত  ব্যাক্তির নিকট মালিক মহদ্বয়ের খোজ করলে তিনি বলেন বাসায়  গেছে খবর দিয়েছি আসছে। অথচ আমি দীর্ঘ ৩০/৪০ মিনিট অফিস রুমে অপেক্ষা করলেও মালিক শাহজান না আসায় কারখানার অফিস ত্যাগ করে চলে আসার সময় রাস্তায় থেকে এক ভদ্র লোক লুঙ্গি, জামা পড়া দাঁড়ি আওলা এক ব্যাক্তি ডাক দিলো কাছে যেতেই সে পরিচয় দিলো আমি শাহাজান, আমিও আমার পরিচয় দিলাম রাস্তা থেকে নেমে কারখানাটি সামনে একটি গাছের নীচে বসালো বেকারি মালিক শাহাজান। কারখানাটি  বিভিন্ন সমস্যার কথা বলতেই তিনি আমার কাছ থেকে সরে গিয়ে কার সাথে মোবাইলে কথা বলে এসেই বললেন আপনাদের পত্রিকা তো কেউই পরে না। আমি শাহজানের কাছে জানতে চাইলাম আপনার কারখানার কি যথাযথ কর্তৃপক্ষের  অনুমোদন  আছে? তিনি উত্তেজিত হয়ে বললেন সেটা আপনাকে বলতে হবে নাকি, এরপর আমি শাহজান কে প্রশ্ন করলাম সরকার কর্তৃক আইনে সম্পন্ন নিষিদ্ধ শিশু শ্রমিক কাজে লাগানো যাবে না, কিন্তু আপনি তো সরকারী আইন পুরোপুরি অমান্য করে কারখানা চালাচ্ছেন এতে আপনি কি বলবেন তিনি আরো উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনি যা পারেন করেন গিয়ে আর যা লিখবেন লিখেন তাতে আমার কিছুই হবে না। অবশেষে  কথা না বাড়িয়ে স্থান ত্যগ করলাম। আশপাশ থেকে খোজ নিয়ে দেখা গেলো আসলে সরকার কর্তৃক যে সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরর কারখানার পরিবেশ, তৈরিকৃত খাবারের গুনগত মান ইত্যাদি দেখার কাজে নিয়োজিত সে সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শক কর্তারা বেকারি গুলোতে মাসিক মাসোয়ারা নিয়ে অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশকে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিনত করে আসছে র্দীঘ দিন থেকেই। আইন প্রয়োগকারী যথাযথ  কর্মকতাদের সু-দৃষ্টির চরম অনিহা রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশের বেকারী  কারখানার তৈরি খাবার খেয়ে অনেক সময় অনেকের ডায়েরিয়া, পেটের পীড়া সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের  ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ  আইন, ২০০৯ ভোক্তা অধিকারের জাতিসংঘ স্বীকৃত ভোক্তার অধিকার লঙ্ঘন করেছেন এক শ্রেনীর অসাধু ব্যাবসাদারদের ভোক্তা অধিকার বিরোধী অপরাধের মাত্রাও অতিক্রম ও লঙ্ঘন করে চালাচ্ছে এ ব্যাবসা। স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর পণ্য তুলে দিচ্ছে ক্রেতা সাধারনের মুখে। ভোক্তা অধিকার আইনে বলা আছে, মোড়কের গায়ে পণ্যের উপাদান, খুচরা বিক্রয় মুল্য, মেয়াদ উর্ওীর্নের তারিখ ইত্যাদি লিপিবদ্ধ না করেই অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশেই চলছে এ ব্যাবসা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য ও অপরাধে বলা আছে, পণ্যের মোড়ক ব্যবহার না করা বা মোড়কের গায়ে খুচরা বিক্রয় মুল্য,   মেয়াদ উর্ওীর্ণের তারিখ ইত্যাদি লেখা না থাকলে শাস্তি হিসাবে অনাধিক ১ বছর কারাদণ্ড অথবা অনাধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড যোগ্য অপরাধ হবে কিন্তু বাস্তবে ভোক্তা অধিকার আইন অমান্য বা লঙ্ঘন করলেও বাস্তবে এ আইন সম্পন্ন ভিন্ন দেখা যায়।