ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা ইব্রাহীমপুরে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫০:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মার্চ ২০১৮
  • / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে

অভিযোগ মিথ্যা- মসজিদের ইমাম : এক লাখ টাকায় দফা রফা
ভালাইপুর প্রতিনিধি: দামুড়হুদার ইব্রাহীমপুর গ্রামের গোরস্তানপাড়ার নতুন মসজিদের ইমাম আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এক লক্ষ টাকায় ঘটনার দফারফা হলেও অভিযুক্ত ইমাম এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন। জানা যায়, বিষ্ণুপুর উত্তরপাড়ার ১১ বছর বয়সী মেয়ে ইব্রাহীমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীতে পড়ুুয়া ছাত্রী ইব্রাহীমপুর গ্রামের নতুন মসজিদের ইমাম জয়রামপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আব্দুর রশিদের কাছে আরবী শিখতে যেত। এরই এক পর্যায় গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে সে পড়তে গেলে আব্দুর রশীদ বলে আমার ঘর পরিষ্কার করে দাও। অনন্যা ঘর পরিষ্কার করতে গেলে তার জামা কাপড় খুলে জোর পূর্বক শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। ধস্তা ধস্তির এক পর্যায় সে চিৎকার করে সেখান থেকে দৌড়ে বাড়ি চলে যায়। মা-বাবার কাছে বিয়টি খুলে বললে লোকজন নিয়ে ইমাম আব্দুর রশীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়ে তাকে সর্বশেষ এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হলে ইমাম তিন দিন সময়ের মধ্যে পরিশোধ করার কথা বললে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এসময় ইমাম ব্যাগপত্র গুছিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই স্কুলছাত্রীর খালাতো ভাই ইব্রাহিমপুর গ্রামের সাত্তক আলীর ছেলে কোচিং মাষ্টার উজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে প্রতিদিনের মতো সে কোরআন শিক্ষা নিতে ইব্রাহিমপুর গোরস্তানপাড়া মসজিদের ইমাম আব্দুর রশিদের কাছে পড়তে যায়। ইমাম আব্দুর রশিদ তার ঘর পরিষ্কার করার জন্য তাকে ঘরে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে আমরা মসজিদ কমিটির কাছে বিষয়টা জানালে তারা সুষ্ঠু বিচার করে দিবেন বলে জানান। এর পরে অভিযুক্ত ইমামের এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন মসজিদ কমিটি। তিনি আরো বলেন অভিযুক্ত ইমাম এখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন আমার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। ইমামকে কেন হঠাৎ অব্যাহতি দেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইমাম আব্দুর রশিদ মসজিদে কোরআন শিক্ষা নিতে আসা ছাত্রীদেন দিয়ে থালা বাসন ও ঘর পরিষ্কার করাতেন তাই তাকে এখান থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। এক লক্ষ টাকায় মিমাংসার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। কিন্তু অভিযোগ আছে মসজিদ কমিটির সদস্যারা বিষয়টা মিমাংসা করেছে। ইব্রাহীমপুরের ইউপি সদস্য রাহেন উদ্দিন বলেন ঘটনা সত্য। লোকজন নিয়ে তাকে জরিমানা করা হয়। এখন বাড়িতে গিয়ে ইমাম আব্দুর রশিদ সব কথা অস্বীকার করছে। অভিযুক্ত ইমাম আব্দুর রশীদে ঘৃন্য অপরাধের শাস্তি দাবী করেছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইমামের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুুতি চলছিলো বলে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদা ইব্রাহীমপুরে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৯:৫০:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মার্চ ২০১৮

অভিযোগ মিথ্যা- মসজিদের ইমাম : এক লাখ টাকায় দফা রফা
ভালাইপুর প্রতিনিধি: দামুড়হুদার ইব্রাহীমপুর গ্রামের গোরস্তানপাড়ার নতুন মসজিদের ইমাম আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এক লক্ষ টাকায় ঘটনার দফারফা হলেও অভিযুক্ত ইমাম এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন। জানা যায়, বিষ্ণুপুর উত্তরপাড়ার ১১ বছর বয়সী মেয়ে ইব্রাহীমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীতে পড়ুুয়া ছাত্রী ইব্রাহীমপুর গ্রামের নতুন মসজিদের ইমাম জয়রামপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আব্দুর রশিদের কাছে আরবী শিখতে যেত। এরই এক পর্যায় গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে সে পড়তে গেলে আব্দুর রশীদ বলে আমার ঘর পরিষ্কার করে দাও। অনন্যা ঘর পরিষ্কার করতে গেলে তার জামা কাপড় খুলে জোর পূর্বক শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। ধস্তা ধস্তির এক পর্যায় সে চিৎকার করে সেখান থেকে দৌড়ে বাড়ি চলে যায়। মা-বাবার কাছে বিয়টি খুলে বললে লোকজন নিয়ে ইমাম আব্দুর রশীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়ে তাকে সর্বশেষ এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হলে ইমাম তিন দিন সময়ের মধ্যে পরিশোধ করার কথা বললে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এসময় ইমাম ব্যাগপত্র গুছিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই স্কুলছাত্রীর খালাতো ভাই ইব্রাহিমপুর গ্রামের সাত্তক আলীর ছেলে কোচিং মাষ্টার উজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলে প্রতিদিনের মতো সে কোরআন শিক্ষা নিতে ইব্রাহিমপুর গোরস্তানপাড়া মসজিদের ইমাম আব্দুর রশিদের কাছে পড়তে যায়। ইমাম আব্দুর রশিদ তার ঘর পরিষ্কার করার জন্য তাকে ঘরে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে আমরা মসজিদ কমিটির কাছে বিষয়টা জানালে তারা সুষ্ঠু বিচার করে দিবেন বলে জানান। এর পরে অভিযুক্ত ইমামের এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন মসজিদ কমিটি। তিনি আরো বলেন অভিযুক্ত ইমাম এখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন আমার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। ইমামকে কেন হঠাৎ অব্যাহতি দেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইমাম আব্দুর রশিদ মসজিদে কোরআন শিক্ষা নিতে আসা ছাত্রীদেন দিয়ে থালা বাসন ও ঘর পরিষ্কার করাতেন তাই তাকে এখান থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। এক লক্ষ টাকায় মিমাংসার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। কিন্তু অভিযোগ আছে মসজিদ কমিটির সদস্যারা বিষয়টা মিমাংসা করেছে। ইব্রাহীমপুরের ইউপি সদস্য রাহেন উদ্দিন বলেন ঘটনা সত্য। লোকজন নিয়ে তাকে জরিমানা করা হয়। এখন বাড়িতে গিয়ে ইমাম আব্দুর রশিদ সব কথা অস্বীকার করছে। অভিযুক্ত ইমাম আব্দুর রশীদে ঘৃন্য অপরাধের শাস্তি দাবী করেছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইমামের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুুতি চলছিলো বলে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।