ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় স্বামীকে না পেয়ে গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় : ৯ আসামীর সবার জামিন: আতঙ্কে গৃহবধূ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭
  • / ৩১৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় গরু চুরির অভিযোগে স্বামীকে না পেয়ে তার স্ত্রী কাজলী খাতুন ওরফে হেয়াকে (৪২) গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ও তাদের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত ৯ আসামী জামিন পেয়েছে। গতকাল বুধবার আসামীদের আইনজীবি আবার জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ৯ আসামীর সবাইকে জামিন দেন।
গৃহবধুকে গাছের সাথে বেধে নির্যাতন, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ খবর সময়ের সমীকরণে প্রকাশ হলে গত সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন ও সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল দামুড়হুদা জীবননগর) কলিমুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর ঐ দিনই পুলিশের সহযোগীতায় কাজলী খাতুন বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ৮জনকে গ্রেফতার করে এবং মঙ্গলবার আরেক আসামী খোকনের ছেলে সাদ্দামকে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রেরণ করে। বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে আসামীদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
এবিষয়ে নির্যাতনের শিকার কাজলী খাতুন জানান, “শুনছি মামলা নরমাল হয়েছে এ কারনে আসামীরা জামিন পেয়েছে। তিনি আরোও জানান, আমাকে গাছের সাথে বেঁধে যে যেভাবে পেরেছে নির্যাতন করেছে। আমার ঘরের ভাতের থালা পর্যন্ত আসামীরা ভাংচুর করেছে। আমার আর কিছুই নেই। আমার চুরির অপবাদ দিয়ে আসামীরা মান সম্মান শেষ করে দিয়েছে আমি এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি”।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ জানান, আমরা আমাদের মত আইনের যে ধারা আছে সে মোতাবেক মামলা দিয়ে আটককৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করেছি। বাকীটা বিজ্ঞ আদালতের বিষয়।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার চিৎলা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের গোয়াল ঘর থেকে ২ টি হালের বলদ চুরি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশী তরল আলী গরু চুরি করেছে বলে অভিযোগ তুলে সিরাজুলসহ তার লোকজন তরল আলীর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তাকে না পেয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তরল আলীর স্ত্রী কাজলী খাতুন দুপুরে স্থানীয় জুড়ানপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধরে বাড়ির পাশের বেল গাছের সাথে বেধে ঘন্টাব্যাপি নির্যাতন করে। পরে এলাকার লোকজন কাজলীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার সাথে জড়িতরা হলেন- একই গ্রামের আহাদ আলী শেখের ছেলে আইয়ুব আলী (৫২), তার স্ত্রী মাহিরন নেছা (৪৫), ছেলে রাজু ওরফে উকিল (১৮), আবুলের ছেলে বাচ্চু (৩৫), সেকেন্দার আলীর ছেলে হাসান (২০), নৈশে আলীর ছেলে সাহেব আলী (২০), বাবুলের ছেলে সেতু (২০), কাজিরুলের ছেলে ফয়সাল (২০) ও খোকনের ছেলে সাদ্দামকে আটক করে পুলিশ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদায় স্বামীকে না পেয়ে গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় : ৯ আসামীর সবার জামিন: আতঙ্কে গৃহবধূ

আপলোড টাইম : ০৫:০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় গরু চুরির অভিযোগে স্বামীকে না পেয়ে তার স্ত্রী কাজলী খাতুন ওরফে হেয়াকে (৪২) গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ও তাদের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত ৯ আসামী জামিন পেয়েছে। গতকাল বুধবার আসামীদের আইনজীবি আবার জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ৯ আসামীর সবাইকে জামিন দেন।
গৃহবধুকে গাছের সাথে বেধে নির্যাতন, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ খবর সময়ের সমীকরণে প্রকাশ হলে গত সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন ও সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল দামুড়হুদা জীবননগর) কলিমুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর ঐ দিনই পুলিশের সহযোগীতায় কাজলী খাতুন বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ৮জনকে গ্রেফতার করে এবং মঙ্গলবার আরেক আসামী খোকনের ছেলে সাদ্দামকে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা আদালতে প্রেরণ করে। বিজ্ঞ আদালত শুনানী শেষে আসামীদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।
এবিষয়ে নির্যাতনের শিকার কাজলী খাতুন জানান, “শুনছি মামলা নরমাল হয়েছে এ কারনে আসামীরা জামিন পেয়েছে। তিনি আরোও জানান, আমাকে গাছের সাথে বেঁধে যে যেভাবে পেরেছে নির্যাতন করেছে। আমার ঘরের ভাতের থালা পর্যন্ত আসামীরা ভাংচুর করেছে। আমার আর কিছুই নেই। আমার চুরির অপবাদ দিয়ে আসামীরা মান সম্মান শেষ করে দিয়েছে আমি এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি”।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ জানান, আমরা আমাদের মত আইনের যে ধারা আছে সে মোতাবেক মামলা দিয়ে আটককৃত আসামীদের আদালতে প্রেরণ করেছি। বাকীটা বিজ্ঞ আদালতের বিষয়।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার চিৎলা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের গোয়াল ঘর থেকে ২ টি হালের বলদ চুরি হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশী তরল আলী গরু চুরি করেছে বলে অভিযোগ তুলে সিরাজুলসহ তার লোকজন তরল আলীর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তাকে না পেয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তরল আলীর স্ত্রী কাজলী খাতুন দুপুরে স্থানীয় জুড়ানপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধরে বাড়ির পাশের বেল গাছের সাথে বেধে ঘন্টাব্যাপি নির্যাতন করে। পরে এলাকার লোকজন কাজলীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার সাথে জড়িতরা হলেন- একই গ্রামের আহাদ আলী শেখের ছেলে আইয়ুব আলী (৫২), তার স্ত্রী মাহিরন নেছা (৪৫), ছেলে রাজু ওরফে উকিল (১৮), আবুলের ছেলে বাচ্চু (৩৫), সেকেন্দার আলীর ছেলে হাসান (২০), নৈশে আলীর ছেলে সাহেব আলী (২০), বাবুলের ছেলে সেতু (২০), কাজিরুলের ছেলে ফয়সাল (২০) ও খোকনের ছেলে সাদ্দামকে আটক করে পুলিশ।