ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় পিতার পশুত্বের শিকার সন্তান : ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৬৯৩ বার পড়া হয়েছে

বাড়ি ঘেরাও : অভিযুক্ত লম্পট পিতা গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক/দামুড়হুদা প্রতিনিধি: কোথায় নারীর নিরাপত্তা! কাকে বিশ্বাস করবে নারী! গর্ভধারিণী মা? জন্মদাতা পিতা? কার কাছে নিরাপদ? দুনিয়াতে মানুষরূপী এই জন্তুদের কাছে আপন-পর বলে কি কিছু নেই? এতো কথার উত্তর খুঁজতে চায় ভুক্তভোগী সকল নারী। পিতার কাছে যদি সন্তান নিরাপদ না হয় তাহলে সে কার কাছে নিরাপদ! সমাজ, রাষ্ট্র, আইন, বিচার কার পক্ষে কথা বলবে? যখন জন্মদাতা পিতার পশু প্রবৃত্তির কাছে হার মানে অবলা কিশোরীর সম্ভ্রম বাঁচিয়ে রাখার লড়াই। তখন, আমরা যারা পিতা তারা এ লজ্জা লুকাবো কী করে? কী করে মাথা উঁচু করে বলবো আমি জন্মদাতা পিতা। আমি তোমার ভবিষ্যতের নিরাপদ সোপান।
একটি ঘটনার কারণে পিতা হিসাবে সন্তানের কাছে কোন বিশ্বাসযোগ্য বাক্য আজ আর থাকলো না। যদিও এই জঘন্য ঘটনা কোন উদাহরণ হতে পারে না। তারপরেও ঔরসজাত সন্তানের উপর পাশবিকতা ধর্মীয় অনুশাসন ও প্রতিপালনের অভাব বলে অনেকে মনে করতে পারেন। তবে কোন ভাবেই এমন জঘন্য ঘটনা যেন সমাজে আর পূণরাবৃত্তি না হয় সেদিকে সজাগ থাকতেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জরুরী।
তারপরেও বলতে হয় যে, আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের মাঝে ধর্মীয় শিক্ষা না থাকা আর নারী পুরুষের সহাবস্থানের পরিবেশ নির্বচনে ভুল করলে জৈবিকতার নোংরামীতে কিছু কিছু পুরুষের মাঝে পশু প্রবৃত্তি মাথা চাড়া দেয়। ঠিক তেমনটিই ঘটেছে নি¤েœর উল্লেখ্য ঘটনায়। আমাদের সমাজ সংসার বা স্থান কাল পাত্র ভেদে সকল নোংরামির পিছনে রয়েছে নোংরা প্রবৃত্তির মানুষের জন্য নির্জন পরিবেশ; যা নারীর জন্য প্রতিকূল বা ভয়াবহ।
আজ বলতেই হয় এক শ্রেনীর পশু প্রবৃত্তির পুরুষের কাছে নারীরা আর নিরাপদ নয়। একটি ঘটনা নয় ইতোপূর্বে চুয়াডাঙ্গা শহরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান শালিকার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে রাতের পর রাত ধরে ধর্ষণ ও পরে তাকে পতিতালয়ে বিক্রির মত জঘন্য ঘটনা ঘটায়। তৎকালীন সময়ে খালুর উপর বিশ্বাস ভঙ্গ হয়। সে ক্ষেত্রে ওই খালুর বেশ কয়েক বছর জেল হয়। সম্ভ্রম হারানো ওই কিশোরী আজো অভিশাপ করে খালু নামের পুরুষনামের জানোয়ারটিকে। এটাই শেষ নয়। চুয়াডাঙ্গা শহরের নিউ মার্কেটের এক নাইট গার্ড তার সৎ মেয়েকে রাতের পর রাত জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সৎ পিতার অসৎ চরিত্রের নোংরামী প্রকাশ করে দেয়।
সর্বশেষ সন্তান যাকে সব থেকে নিরাপদ আশ্রয় ও অগাধ আস্থার বলে জানতো; সেই পিতায় নরপিশাচ, ধর্ষকে পরিণত হলে সন্তানের নিরাপত্তা ও আস্থার জায়গা বলে কিছুই আর থাকেনা!
প্রিয় পাঠক এই প্রতিবেদন প্রকাশে পশুত্ব প্রবৃত্তি দমিত হোক। যদিও এমন একটি ঘটনার বর্ণনা করে সংবাদ লিখতে বিবেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হই। এরপরেও লিখতে হচ্ছে কারণ আমরা সকল পাঠককে জানাতে চাই এটা সংবাদ নয় সকল পুরুষরুপী পশুদের জন্য আগাম সংশোধণ ও সতর্ক বার্তা মাত্র।
প্রিয় পাঠক এতো কথা যে কারণে লেখা সেই ঘটনার বর্ণনা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো- গতকাল দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় পিতারুপী এক জানোয়ার কর্তৃক নিজের ওরসজাত বা আপন মেয়েকে ধর্ষণ করেছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। পিতার ধর্ষণে ওই কিশোরী ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা এখন সবার মুখে মুখে। এঘটনায় পিতারুপী ওই জানোয়ারের বাড়ী ঘেরাও করে এলাকাবাসী এবং জানোয়ারকে দামুড়হুদা পুলিশ গ্রেফতার করে। মেয়ের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনকারী জাহান্নামের কিট ওই পিতার নাম আজাদ হোসেন (৪২)। সে দামুড়হুদা উপজেলার হরিশচন্দ্রপুর নতুন গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। এ ঘটনায় ওই লম্পটের স্ত্রী রশিদা বেগম বাদী হয়ে লম্পট স্বামীর নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদায় পিতার পশুত্বের শিকার সন্তান : ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি

আপলোড টাইম : ০৯:৩৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

বাড়ি ঘেরাও : অভিযুক্ত লম্পট পিতা গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক/দামুড়হুদা প্রতিনিধি: কোথায় নারীর নিরাপত্তা! কাকে বিশ্বাস করবে নারী! গর্ভধারিণী মা? জন্মদাতা পিতা? কার কাছে নিরাপদ? দুনিয়াতে মানুষরূপী এই জন্তুদের কাছে আপন-পর বলে কি কিছু নেই? এতো কথার উত্তর খুঁজতে চায় ভুক্তভোগী সকল নারী। পিতার কাছে যদি সন্তান নিরাপদ না হয় তাহলে সে কার কাছে নিরাপদ! সমাজ, রাষ্ট্র, আইন, বিচার কার পক্ষে কথা বলবে? যখন জন্মদাতা পিতার পশু প্রবৃত্তির কাছে হার মানে অবলা কিশোরীর সম্ভ্রম বাঁচিয়ে রাখার লড়াই। তখন, আমরা যারা পিতা তারা এ লজ্জা লুকাবো কী করে? কী করে মাথা উঁচু করে বলবো আমি জন্মদাতা পিতা। আমি তোমার ভবিষ্যতের নিরাপদ সোপান।
একটি ঘটনার কারণে পিতা হিসাবে সন্তানের কাছে কোন বিশ্বাসযোগ্য বাক্য আজ আর থাকলো না। যদিও এই জঘন্য ঘটনা কোন উদাহরণ হতে পারে না। তারপরেও ঔরসজাত সন্তানের উপর পাশবিকতা ধর্মীয় অনুশাসন ও প্রতিপালনের অভাব বলে অনেকে মনে করতে পারেন। তবে কোন ভাবেই এমন জঘন্য ঘটনা যেন সমাজে আর পূণরাবৃত্তি না হয় সেদিকে সজাগ থাকতেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জরুরী।
তারপরেও বলতে হয় যে, আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের মাঝে ধর্মীয় শিক্ষা না থাকা আর নারী পুরুষের সহাবস্থানের পরিবেশ নির্বচনে ভুল করলে জৈবিকতার নোংরামীতে কিছু কিছু পুরুষের মাঝে পশু প্রবৃত্তি মাথা চাড়া দেয়। ঠিক তেমনটিই ঘটেছে নি¤েœর উল্লেখ্য ঘটনায়। আমাদের সমাজ সংসার বা স্থান কাল পাত্র ভেদে সকল নোংরামির পিছনে রয়েছে নোংরা প্রবৃত্তির মানুষের জন্য নির্জন পরিবেশ; যা নারীর জন্য প্রতিকূল বা ভয়াবহ।
আজ বলতেই হয় এক শ্রেনীর পশু প্রবৃত্তির পুরুষের কাছে নারীরা আর নিরাপদ নয়। একটি ঘটনা নয় ইতোপূর্বে চুয়াডাঙ্গা শহরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান শালিকার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে রাতের পর রাত ধরে ধর্ষণ ও পরে তাকে পতিতালয়ে বিক্রির মত জঘন্য ঘটনা ঘটায়। তৎকালীন সময়ে খালুর উপর বিশ্বাস ভঙ্গ হয়। সে ক্ষেত্রে ওই খালুর বেশ কয়েক বছর জেল হয়। সম্ভ্রম হারানো ওই কিশোরী আজো অভিশাপ করে খালু নামের পুরুষনামের জানোয়ারটিকে। এটাই শেষ নয়। চুয়াডাঙ্গা শহরের নিউ মার্কেটের এক নাইট গার্ড তার সৎ মেয়েকে রাতের পর রাত জোরপূর্বক ধর্ষণ করে সৎ পিতার অসৎ চরিত্রের নোংরামী প্রকাশ করে দেয়।
সর্বশেষ সন্তান যাকে সব থেকে নিরাপদ আশ্রয় ও অগাধ আস্থার বলে জানতো; সেই পিতায় নরপিশাচ, ধর্ষকে পরিণত হলে সন্তানের নিরাপত্তা ও আস্থার জায়গা বলে কিছুই আর থাকেনা!
প্রিয় পাঠক এই প্রতিবেদন প্রকাশে পশুত্ব প্রবৃত্তি দমিত হোক। যদিও এমন একটি ঘটনার বর্ণনা করে সংবাদ লিখতে বিবেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হই। এরপরেও লিখতে হচ্ছে কারণ আমরা সকল পাঠককে জানাতে চাই এটা সংবাদ নয় সকল পুরুষরুপী পশুদের জন্য আগাম সংশোধণ ও সতর্ক বার্তা মাত্র।
প্রিয় পাঠক এতো কথা যে কারণে লেখা সেই ঘটনার বর্ণনা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হলো- গতকাল দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় পিতারুপী এক জানোয়ার কর্তৃক নিজের ওরসজাত বা আপন মেয়েকে ধর্ষণ করেছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। পিতার ধর্ষণে ওই কিশোরী ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা এখন সবার মুখে মুখে। এঘটনায় পিতারুপী ওই জানোয়ারের বাড়ী ঘেরাও করে এলাকাবাসী এবং জানোয়ারকে দামুড়হুদা পুলিশ গ্রেফতার করে। মেয়ের সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনকারী জাহান্নামের কিট ওই পিতার নাম আজাদ হোসেন (৪২)। সে দামুড়হুদা উপজেলার হরিশচন্দ্রপুর নতুন গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। এ ঘটনায় ওই লম্পটের স্ত্রী রশিদা বেগম বাদী হয়ে লম্পট স্বামীর নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।