ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় চলতি আমন ও উফসী মৌসুমে ধান উৎপাদনে বাম্পার ফলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১১:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৩৮৩ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি আমন ও উফসী ধান উৎপাদন মৌসুমে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে কৃষাণীর ঘর ভরে উঠেছে। সেই সাথে শীতে খেজুর রস আর গুড় উঠতে শুরু করেছে। কৃষাণীর ঘরে ঘরে পিঠা-পুলি তৈরীর ধুম পড়ে গেছে। নতুন ধান উঠায় এখন কৃষাণীর ঘরে ঘরে ব্যস্ততা বেড়েছে। অপরদিকে, কৃষকরা কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই ঘরে ধান তুলতে পারায় বেশ খুশি। মাঠপর্যায়ে কৃষক এবং দামুড়হুদা কৃষি সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে চলতি আমন ধান ও উফসী উৎপাদন মৌসুমে ৭ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ অর্জিত হয়েছে। সেখানে বিঘা প্রতি ১৬ মন এবং হেক্টর প্রতি হাইব্রীড ৬ টন ও উফসী ৫ পয়েন্ট ৪ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। এদিকে, কার্পাসডাঙ্গা ও কানাইডাঙ্গার মধ্যবর্তী টকরি বিলে ধান কাটার সময় কৃষক আখের আলী, মহসিন আলী, ইসানুর, আশরাফ আলী, আবু বকর, ওহাব আলী, রবিউল ইসলাম, ঝন্টু মিয়া ও হায়দার আলী জানান, এ বছর বিঘা প্রতি ২০/২২ মন হারে ধান উৎপাদন হচ্ছে। ফলে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসের উৎপাদন লক্ষমাত্রা অনুযায়ী বিঘা প্রতি ২০ মন অর্থাৎ ৪ মন বেশী উৎপাদন হচ্ছে। গত ২০১৭ সালে এ মৌসুমে আমন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর। সেখানে আমন ধান চাষ হয়েছিল ৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে। সেখানে ৫ পয়েন্ট ৫ হেক্টর এবং হাউব্রীড ১০ হেক্টর জমিতে হয়। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি আমন মৌসুমে চাষীরা সময় মত সার, বীজ ও কীটনাশক পাওয়ায় এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে এলাকার কৃষকর জানান। তবে উপজেলা কৃষি অফিস ও কৃষকদের মধ্যে চলতি আমন মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র বেশ কিছুটা অমিল রয়েছে বলে এলাকার কৃষকরা বলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদায় চলতি আমন ও উফসী মৌসুমে ধান উৎপাদনে বাম্পার ফলন

আপলোড টাইম : ১০:১১:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি আমন ও উফসী ধান উৎপাদন মৌসুমে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে কৃষাণীর ঘর ভরে উঠেছে। সেই সাথে শীতে খেজুর রস আর গুড় উঠতে শুরু করেছে। কৃষাণীর ঘরে ঘরে পিঠা-পুলি তৈরীর ধুম পড়ে গেছে। নতুন ধান উঠায় এখন কৃষাণীর ঘরে ঘরে ব্যস্ততা বেড়েছে। অপরদিকে, কৃষকরা কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই ঘরে ধান তুলতে পারায় বেশ খুশি। মাঠপর্যায়ে কৃষক এবং দামুড়হুদা কৃষি সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে চলতি আমন ধান ও উফসী উৎপাদন মৌসুমে ৭ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ অর্জিত হয়েছে। সেখানে বিঘা প্রতি ১৬ মন এবং হেক্টর প্রতি হাইব্রীড ৬ টন ও উফসী ৫ পয়েন্ট ৪ টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। এদিকে, কার্পাসডাঙ্গা ও কানাইডাঙ্গার মধ্যবর্তী টকরি বিলে ধান কাটার সময় কৃষক আখের আলী, মহসিন আলী, ইসানুর, আশরাফ আলী, আবু বকর, ওহাব আলী, রবিউল ইসলাম, ঝন্টু মিয়া ও হায়দার আলী জানান, এ বছর বিঘা প্রতি ২০/২২ মন হারে ধান উৎপাদন হচ্ছে। ফলে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসের উৎপাদন লক্ষমাত্রা অনুযায়ী বিঘা প্রতি ২০ মন অর্থাৎ ৪ মন বেশী উৎপাদন হচ্ছে। গত ২০১৭ সালে এ মৌসুমে আমন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর। সেখানে আমন ধান চাষ হয়েছিল ৮ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে। সেখানে ৫ পয়েন্ট ৫ হেক্টর এবং হাউব্রীড ১০ হেক্টর জমিতে হয়। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি আমন মৌসুমে চাষীরা সময় মত সার, বীজ ও কীটনাশক পাওয়ায় এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে এলাকার কৃষকর জানান। তবে উপজেলা কৃষি অফিস ও কৃষকদের মধ্যে চলতি আমন মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র বেশ কিছুটা অমিল রয়েছে বলে এলাকার কৃষকরা বলেন।