ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদার জুড়ানপুরে সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রী রত্নার মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৮:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

ভালাইপুর প্রতিনিধি: দামুড়হুদা জুড়ানপুরে সাপের কামড়ে রত্না (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত স্কুল ছাত্রী রত্না দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের ময়েন আলীর মেয়ে এবং জুড়ানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বসতবাড়ির বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বিষাক্ত সাপ রত্নার শরীরের কয়েক জায়গায় কামড় দেয়। এ সময় স্কুল ছাত্রী রত্না ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং তার মাকে বলে মা আমাকে কিসে কামড়ে দিয়েছে। খুব যন্ত্রনা হচ্ছে। এ কথার পর মা আঙ্গুরা বেগম দ্রুত ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং দেখে একটি বিশাল সাপ। মা-মেয়ের চিৎকারে বাবা ময়েন আলী ঘর থেকে বেরিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন। এর কিছুক্ষন পর তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে দামুড়হুদা চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান সাপে দংশনের তেমন কোন চিকিৎসা সেখানে নাই। পরে মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার সময় রাত ৩ টার দিকে পথিমধ্যে সে মারা যায়। সকালে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শতাধিক সহপাঠী তাকে এক নজর দেখতে এসে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়ে। স্কুল শিক্ষক শাফায়েত হোসেন জানান, নিহত স্কুল ছাত্রী রত্না পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও খুব ভাল ছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদার জুড়ানপুরে সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রী রত্নার মৃত্যু

আপলোড টাইম : ১০:৫৮:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮

ভালাইপুর প্রতিনিধি: দামুড়হুদা জুড়ানপুরে সাপের কামড়ে রত্না (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত স্কুল ছাত্রী রত্না দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের ময়েন আলীর মেয়ে এবং জুড়ানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বসতবাড়ির বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বিষাক্ত সাপ রত্নার শরীরের কয়েক জায়গায় কামড় দেয়। এ সময় স্কুল ছাত্রী রত্না ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং তার মাকে বলে মা আমাকে কিসে কামড়ে দিয়েছে। খুব যন্ত্রনা হচ্ছে। এ কথার পর মা আঙ্গুরা বেগম দ্রুত ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং দেখে একটি বিশাল সাপ। মা-মেয়ের চিৎকারে বাবা ময়েন আলী ঘর থেকে বেরিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন। এর কিছুক্ষন পর তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে দামুড়হুদা চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু চিৎলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান সাপে দংশনের তেমন কোন চিকিৎসা সেখানে নাই। পরে মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার সময় রাত ৩ টার দিকে পথিমধ্যে সে মারা যায়। সকালে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শতাধিক সহপাঠী তাকে এক নজর দেখতে এসে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়ে। স্কুল শিক্ষক শাফায়েত হোসেন জানান, নিহত স্কুল ছাত্রী রত্না পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও খুব ভাল ছিল।