ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদার ছোট দুধপাতিলায় গৃহবধূর আত্মহত্যা, থানায় অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৬৩ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদার ছোট দুধপাতিলা গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক গৃহবধূ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গৃহবধূ সালেহা খাতুন (২০) মদনা পাঠান পাড়ার শহিদুল ইসলামের মেয়ে। গতকাল বুধবার বেলা দুইটার দিকে তাঁর স্বামীর বাড়ির থাকা ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। মৃত্য ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় মৃত সালেহার বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার মদনা পাঠানপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে সালেহা খাতুনের সঙ্গে শরিয়ত মোতাবেক এক বছর আগে বিবাহ হয় দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ছোট দুধপাতিলা গ্রামের তৌফিকের ছেলে আ. জলিলের। গতকাল দুপুরে সালেহার শাশুড়ি ১০ টাকা দরের চাল কিনে আনতে গেলে এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গৃহবধূ সালেহা খাতুন নিজ ঘরের মধ্যে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তাঁর শাশুড়ী বাড়ি এসে দেখেন, তাঁর বউমা আড়ায় ঝুলছে। তাঁর শাশুড়ীর ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ওঁড়না কেটে মৃত অবস্থায় সালেহাকে মাটিতে নামায়। পুলিশ খবর পেয়ে সালেহার লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির সদস্যরা পালিয়ে যায়।
এদিকে সালেহার বাবা শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়েকে আব্দুল জলিল ও তাঁর মা মেরে ফেলেছে। এই জন্য আমি দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’ সালেহার শাশুড়ী বলেন, ‘আমরা কিছুই জানি না, আমাদের বাড়ি কোনো কিছুই হয়নি। কী জন্য গলায় দড়ি দিল, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।’
নিহতের মামা আলাউদ্দিন জানান, ‘আমার ভাগ্নির এক বছর আগে ছোট দুধপাতিলায় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শুনে আসছি তার ওপর নির্যাতন করে। হয়ত সেজন্য আত্মহত্যা করেছে, না হয় তারা মেরে ফেলে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। কেন না আমার ভাগ্নির গর্ভে ৪ মাসের সন্তান। আমার বিশ্বাস সে আত্মহত্যা করতে পারে না। আমি আমার ভাগ্নি হত্যার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, ‘সালেহা নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে মৃত ব্যক্তির লাশ উদ্ধা করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। সালেহার বাবা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে জানা যাবে আসল ঘটনা।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদার ছোট দুধপাতিলায় গৃহবধূর আত্মহত্যা, থানায় অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৮:৫৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদার ছোট দুধপাতিলা গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে এক গৃহবধূ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গৃহবধূ সালেহা খাতুন (২০) মদনা পাঠান পাড়ার শহিদুল ইসলামের মেয়ে। গতকাল বুধবার বেলা দুইটার দিকে তাঁর স্বামীর বাড়ির থাকা ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। মৃত্য ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় মৃত সালেহার বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার মদনা পাঠানপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে সালেহা খাতুনের সঙ্গে শরিয়ত মোতাবেক এক বছর আগে বিবাহ হয় দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ছোট দুধপাতিলা গ্রামের তৌফিকের ছেলে আ. জলিলের। গতকাল দুপুরে সালেহার শাশুড়ি ১০ টাকা দরের চাল কিনে আনতে গেলে এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গৃহবধূ সালেহা খাতুন নিজ ঘরের মধ্যে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তাঁর শাশুড়ী বাড়ি এসে দেখেন, তাঁর বউমা আড়ায় ঝুলছে। তাঁর শাশুড়ীর ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ওঁড়না কেটে মৃত অবস্থায় সালেহাকে মাটিতে নামায়। পুলিশ খবর পেয়ে সালেহার লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির সদস্যরা পালিয়ে যায়।
এদিকে সালেহার বাবা শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়েকে আব্দুল জলিল ও তাঁর মা মেরে ফেলেছে। এই জন্য আমি দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’ সালেহার শাশুড়ী বলেন, ‘আমরা কিছুই জানি না, আমাদের বাড়ি কোনো কিছুই হয়নি। কী জন্য গলায় দড়ি দিল, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।’
নিহতের মামা আলাউদ্দিন জানান, ‘আমার ভাগ্নির এক বছর আগে ছোট দুধপাতিলায় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শুনে আসছি তার ওপর নির্যাতন করে। হয়ত সেজন্য আত্মহত্যা করেছে, না হয় তারা মেরে ফেলে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। কেন না আমার ভাগ্নির গর্ভে ৪ মাসের সন্তান। আমার বিশ্বাস সে আত্মহত্যা করতে পারে না। আমি আমার ভাগ্নি হত্যার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, ‘সালেহা নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে মৃত ব্যক্তির লাশ উদ্ধা করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। সালেহার বাবা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে জানা যাবে আসল ঘটনা।’