ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদার চারুলিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার নিয়ে দু’গ্রুপের উত্তেজনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ ২০১৮
  • / ২৮৯ বার পড়া হয়েছে

জোরপূর্বক নজরুল মল্লিক সমর্থকদের মাইক বন্ধ : নিন্দা ও প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদার চারুলিয়া গ্রামে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ চলাকালীন নাটুদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চারুলিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেন ও তার সমর্থকরা জোরপূর্বক মাইক বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নজরুল মল্লিক।
তিনি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, গতকাল বুধবার চারুলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাত আলীর নেতৃত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষন মাইকে প্রচার করা হচ্ছিলো। এরই একপর্যায়ে বিকেল ৫ টার দিকে যুবলীগ নামধারী সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন জোরপূর্বক প্রচার মাইক বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়। তিনি আরও বলেছেন, বিকেলে আমি চারুলিয়া গ্রামে যায়। ওখানে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আমি ওখানে পথসভা করি। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাষন বন্ধ করে দেয় তারা কী আসলেই আওয়ামী লীগ করে, না কী আওয়ামী লীগের বিরোধী শক্তির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।
চারুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহাজাল জানান, ৭ই মার্চ উপলক্ষে বুধবার চারুলিয়ায় নজরুল মল্লিকের পক্ষে পথসভা করার প্রস্তুতির সময় মাইক বাজালে স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মিরা তাদেরকে বাধা প্রদান করে মাইক বন্ধ করে দেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। তবে এখানে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, চারুলিয়ায় পথসভায় বাধা প্রদান নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির খবর পেয়ে আমি চারুলিয়ায় যায়। তবে সেখানে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। পরে শান্তিপূর্ণভাবে নজরুল মল্লিক পথসভা করেন। তিনি আরো বলেন, যেকোনো সময় মিছিল সমাবেশ ও পথসভা করতে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু পথসভার ব্যাপারে নজরুল মল্লিক প্রশাসনের কাছে থেকে কোনো অনুমতি নেননি। নজরুল মল্লিকের সমর্থকরা চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগর টগরকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার কারণেই স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মিরা বাধা প্রদান করে বলে স্থানীয়দের কাছে জানতে পেরেছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদার চারুলিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার নিয়ে দু’গ্রুপের উত্তেজনা

আপলোড টাইম : ০৯:৪৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ ২০১৮

জোরপূর্বক নজরুল মল্লিক সমর্থকদের মাইক বন্ধ : নিন্দা ও প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দামুড়হুদার চারুলিয়া গ্রামে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ চলাকালীন নাটুদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চারুলিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেন ও তার সমর্থকরা জোরপূর্বক মাইক বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নজরুল মল্লিক।
তিনি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, গতকাল বুধবার চারুলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাত আলীর নেতৃত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষন মাইকে প্রচার করা হচ্ছিলো। এরই একপর্যায়ে বিকেল ৫ টার দিকে যুবলীগ নামধারী সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন জোরপূর্বক প্রচার মাইক বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়। তিনি আরও বলেছেন, বিকেলে আমি চারুলিয়া গ্রামে যায়। ওখানে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আমি ওখানে পথসভা করি। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুর ভাষন বন্ধ করে দেয় তারা কী আসলেই আওয়ামী লীগ করে, না কী আওয়ামী লীগের বিরোধী শক্তির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।
চারুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহাজাল জানান, ৭ই মার্চ উপলক্ষে বুধবার চারুলিয়ায় নজরুল মল্লিকের পক্ষে পথসভা করার প্রস্তুতির সময় মাইক বাজালে স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মিরা তাদেরকে বাধা প্রদান করে মাইক বন্ধ করে দেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। তবে এখানে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, চারুলিয়ায় পথসভায় বাধা প্রদান নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির খবর পেয়ে আমি চারুলিয়ায় যায়। তবে সেখানে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। পরে শান্তিপূর্ণভাবে নজরুল মল্লিক পথসভা করেন। তিনি আরো বলেন, যেকোনো সময় মিছিল সমাবেশ ও পথসভা করতে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু পথসভার ব্যাপারে নজরুল মল্লিক প্রশাসনের কাছে থেকে কোনো অনুমতি নেননি। নজরুল মল্লিকের সমর্থকরা চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগর টগরকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার কারণেই স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মিরা বাধা প্রদান করে বলে স্থানীয়দের কাছে জানতে পেরেছি।