ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দাখিল পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতার আশ্বাসে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ৩৮০ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার প্রভাষক ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা আলিয়া মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে দাখিল পরীক্ষার্থীদের হলে গিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি সঠিক নয় জানিয়ে অস্বীকার করেছেন প্রভাষক ফরহাদ হোসেন।
অভিযোগে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা হতে ২০১৮ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী ২৩০ জন। এরমধ্যে ছেলে ১৪৪ জন এবং মেয়ে ৮৬ জন। পরীক্ষার দু’তিন মাস আগ থেকে পরীক্ষার্থীদেরকে সাজেশন্স ও পরীক্ষার হলে গিয়ে নৈব্যত্তিক প্রশ্নের উত্তর বলে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে এক হাজার টাকা করে দাবি করেন। যারা টাকা দেবে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে আর যারা দেবেনা তারা কোন সহযোগিতা পাবে না বলেও শিক্ষার্থীদের বলেন তিনি। শিক্ষকের এমন প্রলোভনে শেষ পর্যন্ত ৩৫ জন শিক্ষার্থী এক হাজার করে সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা প্রভাষক ফরহাদ হোসেনকে দেয়। তবে পরীক্ষা শুরু হলে ফরহাদ হোসেনকে আর পরীক্ষার হলে না পেয়ে বেশ চিন্তায় পড়তে হয় ওই শিক্ষার্থীদের। কারণ; পরীক্ষার হলে অসাধুপন্থা অবলম্বনের পূর্ব অভিযোগে তাকে পরীক্ষার হলে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পরীক্ষা কর্তা। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রভাষকের সাথে কথা বলতে গেলে একপর্যায়ে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী এ প্রতিবেদককে জানায়, তারা ১০-১২ জনসহ মাদ্রাসার অন্তত ৩৫ জন শিক্ষার্থী স্যারের নির্দেশে এক হাজার করে টাকা দিয়েছেন। কথা ছিল স্যার হলে এসে নৈব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর বলে দেবেন এবং পরীক্ষার সাজেশন্স দেবেন। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর পর আর তাকে পাওয়া যায়নি। এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ফাযিল মাদ্রসার প্রভাষক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিইনি। টাকা নেয়ার অভিযোগটি সঠিক নয়।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দাখিল পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতার আশ্বাসে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১১:০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার প্রভাষক ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা আলিয়া মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে দাখিল পরীক্ষার্থীদের হলে গিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি সঠিক নয় জানিয়ে অস্বীকার করেছেন প্রভাষক ফরহাদ হোসেন।
অভিযোগে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা হতে ২০১৮ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী ২৩০ জন। এরমধ্যে ছেলে ১৪৪ জন এবং মেয়ে ৮৬ জন। পরীক্ষার দু’তিন মাস আগ থেকে পরীক্ষার্থীদেরকে সাজেশন্স ও পরীক্ষার হলে গিয়ে নৈব্যত্তিক প্রশ্নের উত্তর বলে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে এক হাজার টাকা করে দাবি করেন। যারা টাকা দেবে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে আর যারা দেবেনা তারা কোন সহযোগিতা পাবে না বলেও শিক্ষার্থীদের বলেন তিনি। শিক্ষকের এমন প্রলোভনে শেষ পর্যন্ত ৩৫ জন শিক্ষার্থী এক হাজার করে সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা প্রভাষক ফরহাদ হোসেনকে দেয়। তবে পরীক্ষা শুরু হলে ফরহাদ হোসেনকে আর পরীক্ষার হলে না পেয়ে বেশ চিন্তায় পড়তে হয় ওই শিক্ষার্থীদের। কারণ; পরীক্ষার হলে অসাধুপন্থা অবলম্বনের পূর্ব অভিযোগে তাকে পরীক্ষার হলে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পরীক্ষা কর্তা। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রভাষকের সাথে কথা বলতে গেলে একপর্যায়ে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী এ প্রতিবেদককে জানায়, তারা ১০-১২ জনসহ মাদ্রাসার অন্তত ৩৫ জন শিক্ষার্থী স্যারের নির্দেশে এক হাজার করে টাকা দিয়েছেন। কথা ছিল স্যার হলে এসে নৈব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর বলে দেবেন এবং পরীক্ষার সাজেশন্স দেবেন। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর পর আর তাকে পাওয়া যায়নি। এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ফাযিল মাদ্রসার প্রভাষক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিইনি। টাকা নেয়ার অভিযোগটি সঠিক নয়।’