ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনা গোপলখালী খাল খনন শুরু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৯:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯
  • / ৩১৬ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:
দর্শনা গোপলখালী খালটি দখলমুক্ত ও সংস্কারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ২ কিলোমিটার খালটি ১ কিলোমিটার সংস্কার করা হলেও বাকি ১ কিলোমিটার খাল চাষাবাদ ও পুকুর করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। মাথাভাঙ্গা নদীর দর্শনা শ্বশ্মান ঘাট থেকে দর্শনা তালবাগান ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার খালটিতে বর্তমানে ৬টি পুকুর খনন করে মাছ চাষ হচ্ছে। ফলে খালটি সংস্কার করতে গিয়ে এলজিইডি চরম বিপাকে পড়েছে। চলতি শুস্ক মৌসুমের মধ্যে খালটি সংস্কার করার উপযুক্ত সময় বয়ে যাচ্ছে। ইত্যেমধ্যে মাথাভাঙ্গা নদীর পাশে অবস্থিত দর্শনা শ্বশ্মান ঘাট থেকে পরানপুর নলগাড়ী বিলের পশ্চিম পাশের প্রান্তের ব্রীজ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার খালটি নিয়মানুযায়ী খনন করা হয়েছে। তবে কি পরিমাণ গভীরতা ও প্রশস্ত হবে এ বিষয় এলজিইডি অফিস বলতে নারাজ।
তবে একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রজেক্ট এর মাধ্যমে খালটি সংস্কার করা হচ্ছে। যতটুকু পরিমাণ খনন হবে তার উপর ভিত্তি করে সরেজমিনে মাপ করে অর্থ বরাদ্ধ দেওয়া হবে। ঢাকা থেকে এবং এলজিইডি কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন। বাকি ১ কিলোমিটার খাল খনন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। কারণ আসছে বর্ষা মৌসুমের আগেই খালটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করার জন্য এলাকার কৃষকরা দাবি করেছেন।
১৯৭৭ সালে তৎকালিন বিএনপি সরকারের সময় খালটি খনন করা হয়। এরপর থেকে শুধুমাত্র ৯০ দশকের দিকে একবার সংস্কার করা হয়। এ একটি মাত্র খাল দিয়ে বর্ষ মৌসুমে পরানপুর, রামনগর, রুদ্রনগর, লোকনাথপুর, দুই দুধপাতিলা ও দোস্ত গ্রামের বিশাল এলাকার মাঠের পানি মাথাভাঙ্গা নদীতে নিস্কাশন হয়ে থাকে। ফলে খালটি জরুরী সংস্কার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
এদিকে খালটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এলাকার কিছু প্রভাশালী ব্যাক্তি দখল করে বড় বড় পুকুর করে মাছ চাষ করছে এবং খাল দখল করে চাষাবাদ শুরু করেছে। এছাড়া লোকনাথপুর ও পরাণপুর এর মাঝামাঝি সড়কে খালের উপর ধাঁপাড়ী ব্রীজটির মুখে বাঁধ পানি নিস্কাশন বন্ধ করে দিয়েছে। পরাণপুর গ্রামের দুই ব্যাক্তি মৃত আকবার আলীর ছেলে মাসুদ পুকুর কেটে মাছ চাষ করছে এবং ব্রীজটির পশ্চিম পাশের মৃত ফেলু মন্ডলের ছেলে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করছে। ফলে যে কোন সময় ব্রীজটি ধসে গিয়ে এ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে। খাল খননের বিষয় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় আমার নলেজে নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনা গোপলখালী খাল খনন শুরু

আপলোড টাইম : ০৯:২৯:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

দর্শনা অফিস:
দর্শনা গোপলখালী খালটি দখলমুক্ত ও সংস্কারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ২ কিলোমিটার খালটি ১ কিলোমিটার সংস্কার করা হলেও বাকি ১ কিলোমিটার খাল চাষাবাদ ও পুকুর করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। মাথাভাঙ্গা নদীর দর্শনা শ্বশ্মান ঘাট থেকে দর্শনা তালবাগান ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার খালটিতে বর্তমানে ৬টি পুকুর খনন করে মাছ চাষ হচ্ছে। ফলে খালটি সংস্কার করতে গিয়ে এলজিইডি চরম বিপাকে পড়েছে। চলতি শুস্ক মৌসুমের মধ্যে খালটি সংস্কার করার উপযুক্ত সময় বয়ে যাচ্ছে। ইত্যেমধ্যে মাথাভাঙ্গা নদীর পাশে অবস্থিত দর্শনা শ্বশ্মান ঘাট থেকে পরানপুর নলগাড়ী বিলের পশ্চিম পাশের প্রান্তের ব্রীজ পর্যন্ত ১ কিলোমিটার খালটি নিয়মানুযায়ী খনন করা হয়েছে। তবে কি পরিমাণ গভীরতা ও প্রশস্ত হবে এ বিষয় এলজিইডি অফিস বলতে নারাজ।
তবে একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রজেক্ট এর মাধ্যমে খালটি সংস্কার করা হচ্ছে। যতটুকু পরিমাণ খনন হবে তার উপর ভিত্তি করে সরেজমিনে মাপ করে অর্থ বরাদ্ধ দেওয়া হবে। ঢাকা থেকে এবং এলজিইডি কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন। বাকি ১ কিলোমিটার খাল খনন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। কারণ আসছে বর্ষা মৌসুমের আগেই খালটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করার জন্য এলাকার কৃষকরা দাবি করেছেন।
১৯৭৭ সালে তৎকালিন বিএনপি সরকারের সময় খালটি খনন করা হয়। এরপর থেকে শুধুমাত্র ৯০ দশকের দিকে একবার সংস্কার করা হয়। এ একটি মাত্র খাল দিয়ে বর্ষ মৌসুমে পরানপুর, রামনগর, রুদ্রনগর, লোকনাথপুর, দুই দুধপাতিলা ও দোস্ত গ্রামের বিশাল এলাকার মাঠের পানি মাথাভাঙ্গা নদীতে নিস্কাশন হয়ে থাকে। ফলে খালটি জরুরী সংস্কার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
এদিকে খালটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এলাকার কিছু প্রভাশালী ব্যাক্তি দখল করে বড় বড় পুকুর করে মাছ চাষ করছে এবং খাল দখল করে চাষাবাদ শুরু করেছে। এছাড়া লোকনাথপুর ও পরাণপুর এর মাঝামাঝি সড়কে খালের উপর ধাঁপাড়ী ব্রীজটির মুখে বাঁধ পানি নিস্কাশন বন্ধ করে দিয়েছে। পরাণপুর গ্রামের দুই ব্যাক্তি মৃত আকবার আলীর ছেলে মাসুদ পুকুর কেটে মাছ চাষ করছে এবং ব্রীজটির পশ্চিম পাশের মৃত ফেলু মন্ডলের ছেলে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করছে। ফলে যে কোন সময় ব্রীজটি ধসে গিয়ে এ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে। খাল খননের বিষয় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয় আমার নলেজে নেই।