ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনায় সাংবাদিকতাকে আশ্রয় করে চলছে মাদক সেবন ও মাদক চোরাচালান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৪২৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দর্শনা সীমান্তবর্তী এলাকায় সাংবাদিকতাকে আশ্রয় করে চোরচালান ও মাদক সেবন বেড়ে গেছে ব্যাপক হারে। মোটরসাইকেলের নেমপ্লেটে ও হেডলাইট কভারে প্রেস লিখে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এসব অসাধু সাংবাদিকতা। এদের বেশিরভাগ ৫ম শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। এমন কেউ কেউ আছে সাংবাদিক বানানও জানে না। এসব কথিত সাংবাদিকরা এলাকার মানুষকে অতিষ্ঠ এবং সমাজকে ককুসিত করে তুলছে। এবস দেখেও কারো যেন কিছু বলার নেই। এদের একজন ৮ম শ্রেণী পাশ করেনি। কিন্তু নিজেকে ব্যুরো চীফ বলে দাবি করে গডফাদার সেজে বিভিন্ন চোরাকারবারীদের দিয়ে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও হেরোইনের মত চোরা চালানের সাথে যুক্ত রয়েছেন। চোরাকারবারী হিসাবে পুলিশের নামের তালিকায় তার নাম আছে বলে জানা গেছে। অপর একজন নিজেকে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং কোন কোন সময় মোটরসাইকেলে টেলিভিশনের স্টিকার মেরে এলাকার মানুষকে মাঝে মাঝে জানান দেন আবার সেই স্টিকার খুলেও ফেলে। আসলে টেলিভিশনের সাংবাদিক হওয়ার যোগ্যতা না থাকায় এমনটি করেন। আর একজন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রিন্সের মত ঘুরে ঘুরে গার্মেন্টেস্র দোকানের আড়ালে চোরাকারবারীর সাথে যুক্ত রয়েছে। এছাড়া একজন খুনি মামলার আসামী নিজেকে রক্ষা করতে সাংবাদিকের আশ্রয়স্থলে এসেছেন। সারাদিন নেশা করে শহরের বিভিন্ন স্থানে গালিগালাজ করতে দেখা যায়। এছাড়া চুয়াডাঙ্গার দুই সাংবাদিক নামধারী শুধুমাত্র মাদক সেবন করার জন্য সাংবাদিক সেজে দর্শনা সীমান্ত এলাকায় চাঁদাবাজীসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আর একজন কথিথ সাংবাদিক ফেন্সিডিল ভর্তি কারসহ আটক মামলায় ঝিনাইদহ কোটে দীর্ঘ দিন ধরে যাতায়াত করছে। কুখ্যাত সিনিয়র সাংবাদিক যিনি এক সময় দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি প্রেসক্লাবের সকল ফর্নিচার বিশেষ করে ৮টি চেয়ার টেবিলও আলমারীসহ বেশ কিছু আসবারপত্র নিজের মনে করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ডাইনিং টেবিল বানিয়ে নিলর্জ্জের মত ছেলে মেয়ে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করছে। এছাড়া দর্শনা পৌরসভার টাকায় উঠানে ইট দিয়ে বাড়ির প্লাষ্টার করে নিয়েছে। দর্শনায় স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকার প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক তাদের কেউ ৮ম শ্রেণী পাশ করেনি। এমন সব মাদক সেবনকারী ও মাদক চোরাচালানের সাথে যুক্ত রয়েছে। এসব চোরাকারবারীরা তাদের ব্যবসাকে আরো প্রতিষ্ঠিত করতে হঠাৎ করে দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল মেহমুদকে মারপিট করে প্রেসক্লাব দখল করে বসে আছে। একটি কমিটি করেছেন। এ ঘটনায় দর্শনার সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের মানুষ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া সাংবাদিক নামধারী মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনায় সাংবাদিকতাকে আশ্রয় করে চলছে মাদক সেবন ও মাদক চোরাচালান

আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: দর্শনা সীমান্তবর্তী এলাকায় সাংবাদিকতাকে আশ্রয় করে চোরচালান ও মাদক সেবন বেড়ে গেছে ব্যাপক হারে। মোটরসাইকেলের নেমপ্লেটে ও হেডলাইট কভারে প্রেস লিখে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে এসব অসাধু সাংবাদিকতা। এদের বেশিরভাগ ৫ম শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। এমন কেউ কেউ আছে সাংবাদিক বানানও জানে না। এসব কথিত সাংবাদিকরা এলাকার মানুষকে অতিষ্ঠ এবং সমাজকে ককুসিত করে তুলছে। এবস দেখেও কারো যেন কিছু বলার নেই। এদের একজন ৮ম শ্রেণী পাশ করেনি। কিন্তু নিজেকে ব্যুরো চীফ বলে দাবি করে গডফাদার সেজে বিভিন্ন চোরাকারবারীদের দিয়ে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও হেরোইনের মত চোরা চালানের সাথে যুক্ত রয়েছেন। চোরাকারবারী হিসাবে পুলিশের নামের তালিকায় তার নাম আছে বলে জানা গেছে। অপর একজন নিজেকে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং কোন কোন সময় মোটরসাইকেলে টেলিভিশনের স্টিকার মেরে এলাকার মানুষকে মাঝে মাঝে জানান দেন আবার সেই স্টিকার খুলেও ফেলে। আসলে টেলিভিশনের সাংবাদিক হওয়ার যোগ্যতা না থাকায় এমনটি করেন। আর একজন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রিন্সের মত ঘুরে ঘুরে গার্মেন্টেস্র দোকানের আড়ালে চোরাকারবারীর সাথে যুক্ত রয়েছে। এছাড়া একজন খুনি মামলার আসামী নিজেকে রক্ষা করতে সাংবাদিকের আশ্রয়স্থলে এসেছেন। সারাদিন নেশা করে শহরের বিভিন্ন স্থানে গালিগালাজ করতে দেখা যায়। এছাড়া চুয়াডাঙ্গার দুই সাংবাদিক নামধারী শুধুমাত্র মাদক সেবন করার জন্য সাংবাদিক সেজে দর্শনা সীমান্ত এলাকায় চাঁদাবাজীসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আর একজন কথিথ সাংবাদিক ফেন্সিডিল ভর্তি কারসহ আটক মামলায় ঝিনাইদহ কোটে দীর্ঘ দিন ধরে যাতায়াত করছে। কুখ্যাত সিনিয়র সাংবাদিক যিনি এক সময় দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি প্রেসক্লাবের সকল ফর্নিচার বিশেষ করে ৮টি চেয়ার টেবিলও আলমারীসহ বেশ কিছু আসবারপত্র নিজের মনে করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ডাইনিং টেবিল বানিয়ে নিলর্জ্জের মত ছেলে মেয়ে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করছে। এছাড়া দর্শনা পৌরসভার টাকায় উঠানে ইট দিয়ে বাড়ির প্লাষ্টার করে নিয়েছে। দর্শনায় স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকার প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক তাদের কেউ ৮ম শ্রেণী পাশ করেনি। এমন সব মাদক সেবনকারী ও মাদক চোরাচালানের সাথে যুক্ত রয়েছে। এসব চোরাকারবারীরা তাদের ব্যবসাকে আরো প্রতিষ্ঠিত করতে হঠাৎ করে দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল মেহমুদকে মারপিট করে প্রেসক্লাব দখল করে বসে আছে। একটি কমিটি করেছেন। এ ঘটনায় দর্শনার সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের মানুষ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া সাংবাদিক নামধারী মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন।