ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনায় সপ্তাহ ব্যাপী বিজয় মেলা ও নাট্য উৎসবের ৭ম দিনের অনুষ্ঠানে হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এদেশের যুবসমাজ অনেক আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছিলো

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৫০:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৩১৫ বার পড়া হয়েছে

fcsdf

আওয়াল হোসেন/ওয়াসিম রয়েল: দর্শনায় সপ্তাহ ব্যাপী বিজয় মেলা ও নাট্য উৎসবের ৭ম দিনে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দর্শনা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বিজয় মেলায় সাম্প্রতিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জীবন বাজি রেখে এদেশের যুবসমাজ অনেক আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছিলো। পশ্চিম পাকিস্থান আমাদের তথা তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানকে নানা ভাবে শোষন করেছে। সেই সময় আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আমদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে নানা বৈষম্যর সৃষ্টি করেছে। চাকুরীর, উৎপাদিত ফসলের ক্ষেত্রে, আমাদের অর্থনৈতিকভাবে এমনি নানা ক্ষেত্রে অমাদের বঞ্চিত করতে থাকলে এ থেকে মুক্তি পেতে সেদিন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ৬দফা ও ১১দফাসহ নানা দাবী তুলে ধরেন এদশের বাঙ্গারীদের পক্ষে। এর একটি দাবীও সেদিন মেনে নেয়নি পশ্চিম পাকিস্থানের শাসক গোষ্ঠি। যার ফলে ঐ পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে এদেশের সর্বস্তরের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করে। স্বাধীনাতার পর বঙ্গবন্ধু চেয়ে ছিলো সোনার বাংলা গড়ে তুলে দুখি মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাবে। কিন্তু ১৫ আগষ্ট আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঐ পাকিস্তানী দোষররা বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করতে চেয়ে ছিলো। সকল ষড়যন্ত্রকে হার মানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে তার রেখে যাওয়া হাল ধরেন। এরপর ও তারা থেমে থাকেনি ২১ আগষ্ট আবার বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ ১৯জন মানুষকে হত্যা করলো। আল্লাহ যদি না মারে তাহলে কেউ মারতে পারবে না। আল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এখনো ষড়যন্ত্র থামেনি। দেশ গড়তে আজকের যুবকদের পিছিয়ে থাকলে হবে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তখন দেশের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বাঙ্গালী জাতি সংগ্রামী ও বীরের জাতি বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলন করেছে। ১৯৪৮ সালের ছাত্র আন্দোলন, ১৯৫২সালে ভাষার জন্য আন্দোলন করে মায়ের ভাষা বাংলাভাষার মান অক্ষুন্ন রেখেছে, ১৯৬৬ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ-অভ্যুাথান ও ৭০ এর নির্বাচনে ইয়াহিয়াকে প্রতিহত করে দেশ স্বাধীন করেছে দেশের তরুণ যুবকরা। যুবসমাজ কখনো অন্যায় মেনে নেবে না। আমার আহবান বর্তমান যুবসমাজের কাছে দেশ গঠনে তোমাদের সঠিকভাবে ভূমিকা রেখে দেশকে একটি বৈষম্যহীন দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করার আহবান জানান মাননীয় হুইপ মহোদয়। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে আলোচনায় অংশ নেন দর্শনা সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, জীবননগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যন গোলাম মর্তুজা, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। আলোচনা শেষে লোক সংগীত ও কৌতুক অভিনেতা মজিবর রহমান, টুকু ও তার দল কৌতুক পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষিকা আরতি হালসান ও হারুন অর রশিদ জুয়েল। মেলার শেষ দিনে হাজার নারী, পুরুষ, আবাল বৃদ্ধ বনিতাসহ নানা বয়সের মানুষের ঢল নামে। মেলায় ৪৯টি বিভিন্ন দোকানী তাদের পরসা সাজিয়ে বসেন। এছাড়া নগর দোলাসহ নানা ধরণের স্টল শোভা পায়। দীর্ঘদিন এলাকায় সংস্কৃতিক কর্মকান্ড না থাকায় এ মেলা এলাকার মানুষের অনেকটায় বিনোদন দিয়ে উৎসাহিত করেছে এবং সুস্থ্যভাবে শেষ হয়েছে। নাটক, লোক সংগীত, দেশত্ববোধক গান এবং গানের সাথে নাচ দর্শনাসহ আশেপাশের মানুষকে বিনোদনে সহায়ক হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনায় সপ্তাহ ব্যাপী বিজয় মেলা ও নাট্য উৎসবের ৭ম দিনের অনুষ্ঠানে হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার এদেশের যুবসমাজ অনেক আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছিলো

আপলোড টাইম : ০২:৫০:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬

fcsdf

আওয়াল হোসেন/ওয়াসিম রয়েল: দর্শনায় সপ্তাহ ব্যাপী বিজয় মেলা ও নাট্য উৎসবের ৭ম দিনে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দর্শনা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বিজয় মেলায় সাম্প্রতিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জীবন বাজি রেখে এদেশের যুবসমাজ অনেক আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছিলো। পশ্চিম পাকিস্থান আমাদের তথা তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানকে নানা ভাবে শোষন করেছে। সেই সময় আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আমদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে নানা বৈষম্যর সৃষ্টি করেছে। চাকুরীর, উৎপাদিত ফসলের ক্ষেত্রে, আমাদের অর্থনৈতিকভাবে এমনি নানা ক্ষেত্রে অমাদের বঞ্চিত করতে থাকলে এ থেকে মুক্তি পেতে সেদিন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ৬দফা ও ১১দফাসহ নানা দাবী তুলে ধরেন এদশের বাঙ্গারীদের পক্ষে। এর একটি দাবীও সেদিন মেনে নেয়নি পশ্চিম পাকিস্থানের শাসক গোষ্ঠি। যার ফলে ঐ পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে এদেশের সর্বস্তরের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করে। স্বাধীনাতার পর বঙ্গবন্ধু চেয়ে ছিলো সোনার বাংলা গড়ে তুলে দুখি মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাবে। কিন্তু ১৫ আগষ্ট আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঐ পাকিস্তানী দোষররা বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করতে চেয়ে ছিলো। সকল ষড়যন্ত্রকে হার মানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে তার রেখে যাওয়া হাল ধরেন। এরপর ও তারা থেমে থাকেনি ২১ আগষ্ট আবার বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রেনেড হামলা করে আইভি রহমানসহ ১৯জন মানুষকে হত্যা করলো। আল্লাহ যদি না মারে তাহলে কেউ মারতে পারবে না। আল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এখনো ষড়যন্ত্র থামেনি। দেশ গড়তে আজকের যুবকদের পিছিয়ে থাকলে হবে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তখন দেশের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বাঙ্গালী জাতি সংগ্রামী ও বীরের জাতি বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলন করেছে। ১৯৪৮ সালের ছাত্র আন্দোলন, ১৯৫২সালে ভাষার জন্য আন্দোলন করে মায়ের ভাষা বাংলাভাষার মান অক্ষুন্ন রেখেছে, ১৯৬৬ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ-অভ্যুাথান ও ৭০ এর নির্বাচনে ইয়াহিয়াকে প্রতিহত করে দেশ স্বাধীন করেছে দেশের তরুণ যুবকরা। যুবসমাজ কখনো অন্যায় মেনে নেবে না। আমার আহবান বর্তমান যুবসমাজের কাছে দেশ গঠনে তোমাদের সঠিকভাবে ভূমিকা রেখে দেশকে একটি বৈষম্যহীন দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করার আহবান জানান মাননীয় হুইপ মহোদয়। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে আলোচনায় অংশ নেন দর্শনা সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন, জীবননগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যন গোলাম মর্তুজা, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। আলোচনা শেষে লোক সংগীত ও কৌতুক অভিনেতা মজিবর রহমান, টুকু ও তার দল কৌতুক পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষিকা আরতি হালসান ও হারুন অর রশিদ জুয়েল। মেলার শেষ দিনে হাজার নারী, পুরুষ, আবাল বৃদ্ধ বনিতাসহ নানা বয়সের মানুষের ঢল নামে। মেলায় ৪৯টি বিভিন্ন দোকানী তাদের পরসা সাজিয়ে বসেন। এছাড়া নগর দোলাসহ নানা ধরণের স্টল শোভা পায়। দীর্ঘদিন এলাকায় সংস্কৃতিক কর্মকান্ড না থাকায় এ মেলা এলাকার মানুষের অনেকটায় বিনোদন দিয়ে উৎসাহিত করেছে এবং সুস্থ্যভাবে শেষ হয়েছে। নাটক, লোক সংগীত, দেশত্ববোধক গান এবং গানের সাথে নাচ দর্শনাসহ আশেপাশের মানুষকে বিনোদনে সহায়ক হয়েছে।