ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনায় ভিত্তিহীন মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ : দীর্ঘ যানজট

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৭:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৫৪২ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: দর্শনায় ভিত্তিহীন মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধে দূর্ভোগে পড়েছে কয়েকশ ছোট বড় পরিবহন। আইনের তোয়াক্কা না করায় বিভিন্ন প্রকার সমালোচনার সম্মুখিন দর্শনা বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী কমিটি ও দর্শনা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন। অবশেষে দর্শনা পুলিশের পদক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। জানা গেছে, গত ২৭ আগষ্ট দিনদুপুরে বাসস্যান্ড এলাকা থেকে মোবারকপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর হাকিমের ছেলে হিরোকের একটি সিএনজি চুরি হয়ে যায়। এ ব্যাপারে দামুড়হুদা থানায় প্রথমে জিডি ও পরে মামলা দায়ের করেন সিএনজি মালিক হিরোক। এ মামলার এজাহার মোতাবেক আসামী করা হয় দর্শনা বাসস্যান্ড রিপুজিপাড়ার ওলির ছেলে সাঈদ, পিতা ওলি, মাতা আসাননুরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ ওলিকে আটক করলে ওই দিনই ঢাকা মুন্সিগঞ্জ জেলার লোহাজন থানা এলাকা থেকে চুরিকৃত সিএনজিটি উদ্ধার করে পুলিশ। যেদিন আসামীর পিতা ওলি আটক হয় সেদিনই সিএনজি উদ্ধার হওয়ায় অনেকটাই মামলার বিষয়বস্তু পরিষ্কার হয় পুলিশের কাছে। পুলিশের কাছ থেকে পরে মামলাটি সিআইডির হস্তান্তরে যায়। গতকাল সকালের দিকে এসআই নাজনীন সুলতানা ও এসআই আনছারুল হকের নেতৃত্বে সিআইডির একটি দল দর্শনা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আসামীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ মামলার আরো দু’আসামী আসানুর ও সালামকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, ওলির স্ত্রী আসানুরকে আটক করায় আসামীর পরিবারের দাবি তাদেরকে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এরই ভিত্তিতে মিথ্যা মামলা প্রতাহারের দাবিতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যার আগে দর্শনা বাসস্যান্ডের চৌরাস্তার মোড়ে এ মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ করে বাসস্ট্যান্ড বনিক সমিতি ও মটর শ্রমিকরা। মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি হায়দার আলী, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন সান্টু, মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, বনিক সমিতি ফারুক হোসেনসহ অনেকে। ৩০ মিনিট ব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে সড়কে কিছুটা যানযট সৃষ্টি হলে ভোগান্তির শিকার হয় যাত্রীসাধারণসহ বাস-ট্রাক ও পরিবহনের চালকরা।


এ বিষয়ে বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন আহম্মেদ সান্টু জানায়, যেহেতু আমার একজন ব্যবসায়ীর পরিবারের সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেহেতু বাড়ির গৃহিনীকে আটক না করার জন্য দামুড়হুদা থানার ওসির সাথে কথা বললে তিনি আটক না করার প্রতিশ্রুতি দেন। এমতাবস্থায় যখন গৃহিনীকে আটক করা হয়েছে তখন বনিক সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শান্তি-শৃঙ্খলভাবে দর্শনা পুলিশকে জানিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বাইরের উটকো ছেলেরা এসে রাস্তা আটকে যানযট সৃষ্টি করে। পরে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মানববন্ধন শেষ করা হয়। তবে এ মানব বন্ধনে দর্শনা মটর শ্রমিকের সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতি দেখে জনমনে নানা রকমের প্রশ্ন উঠে আসে। অনেকে বলেন তিনি আত্মীয়তার সূত্রে না প্রতিবেশীর সূত্রে অথবা বিনিময় সূত্রে তিনি এ মানববন্ধনে উপস্থিত হয়েছে।
এ বিষয়ে দর্শনা মটর শ্রমিকের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন বলেন, বনিক সমিতি সাধারণ সম্পাদকের ডাকে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। এসময় দেখি রাস্তার দুই দিকে ছোট বড় পরিবহনের আটকে পড়েছে অনেক যাত্রী। এসময় বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তৎক্ষনাত মানববন্ধন বন্ধ করে দেয়া হয়। এ মামলা বিষয়ে সিআইডির এসআই নাজনীন সুলতানা জানান, মামলা সত্য মিথ্যা যাচায় করবে আদালত। ওই গৃহিনী এ মামলার এজহারভুক্ত আসামী। সে কারনে আমাদের আটক করা ছাড়া ছেড়ে দেয়ার কোন অধিকার নেয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনায় ভিত্তিহীন মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ : দীর্ঘ যানজট

আপলোড টাইম : ০৯:২৭:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অক্টোবর ২০১৮

দর্শনা অফিস: দর্শনায় ভিত্তিহীন মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধে দূর্ভোগে পড়েছে কয়েকশ ছোট বড় পরিবহন। আইনের তোয়াক্কা না করায় বিভিন্ন প্রকার সমালোচনার সম্মুখিন দর্শনা বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী কমিটি ও দর্শনা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন। অবশেষে দর্শনা পুলিশের পদক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। জানা গেছে, গত ২৭ আগষ্ট দিনদুপুরে বাসস্যান্ড এলাকা থেকে মোবারকপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর হাকিমের ছেলে হিরোকের একটি সিএনজি চুরি হয়ে যায়। এ ব্যাপারে দামুড়হুদা থানায় প্রথমে জিডি ও পরে মামলা দায়ের করেন সিএনজি মালিক হিরোক। এ মামলার এজাহার মোতাবেক আসামী করা হয় দর্শনা বাসস্যান্ড রিপুজিপাড়ার ওলির ছেলে সাঈদ, পিতা ওলি, মাতা আসাননুরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ ওলিকে আটক করলে ওই দিনই ঢাকা মুন্সিগঞ্জ জেলার লোহাজন থানা এলাকা থেকে চুরিকৃত সিএনজিটি উদ্ধার করে পুলিশ। যেদিন আসামীর পিতা ওলি আটক হয় সেদিনই সিএনজি উদ্ধার হওয়ায় অনেকটাই মামলার বিষয়বস্তু পরিষ্কার হয় পুলিশের কাছে। পুলিশের কাছ থেকে পরে মামলাটি সিআইডির হস্তান্তরে যায়। গতকাল সকালের দিকে এসআই নাজনীন সুলতানা ও এসআই আনছারুল হকের নেতৃত্বে সিআইডির একটি দল দর্শনা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আসামীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ মামলার আরো দু’আসামী আসানুর ও সালামকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, ওলির স্ত্রী আসানুরকে আটক করায় আসামীর পরিবারের দাবি তাদেরকে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এরই ভিত্তিতে মিথ্যা মামলা প্রতাহারের দাবিতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যার আগে দর্শনা বাসস্যান্ডের চৌরাস্তার মোড়ে এ মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ করে বাসস্ট্যান্ড বনিক সমিতি ও মটর শ্রমিকরা। মানববন্ধন ও রাস্তা অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি হায়দার আলী, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন সান্টু, মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, বনিক সমিতি ফারুক হোসেনসহ অনেকে। ৩০ মিনিট ব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে সড়কে কিছুটা যানযট সৃষ্টি হলে ভোগান্তির শিকার হয় যাত্রীসাধারণসহ বাস-ট্রাক ও পরিবহনের চালকরা।


এ বিষয়ে বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন আহম্মেদ সান্টু জানায়, যেহেতু আমার একজন ব্যবসায়ীর পরিবারের সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেহেতু বাড়ির গৃহিনীকে আটক না করার জন্য দামুড়হুদা থানার ওসির সাথে কথা বললে তিনি আটক না করার প্রতিশ্রুতি দেন। এমতাবস্থায় যখন গৃহিনীকে আটক করা হয়েছে তখন বনিক সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শান্তি-শৃঙ্খলভাবে দর্শনা পুলিশকে জানিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বাইরের উটকো ছেলেরা এসে রাস্তা আটকে যানযট সৃষ্টি করে। পরে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মানববন্ধন শেষ করা হয়। তবে এ মানব বন্ধনে দর্শনা মটর শ্রমিকের সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতি দেখে জনমনে নানা রকমের প্রশ্ন উঠে আসে। অনেকে বলেন তিনি আত্মীয়তার সূত্রে না প্রতিবেশীর সূত্রে অথবা বিনিময় সূত্রে তিনি এ মানববন্ধনে উপস্থিত হয়েছে।
এ বিষয়ে দর্শনা মটর শ্রমিকের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন বলেন, বনিক সমিতি সাধারণ সম্পাদকের ডাকে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। এসময় দেখি রাস্তার দুই দিকে ছোট বড় পরিবহনের আটকে পড়েছে অনেক যাত্রী। এসময় বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তৎক্ষনাত মানববন্ধন বন্ধ করে দেয়া হয়। এ মামলা বিষয়ে সিআইডির এসআই নাজনীন সুলতানা জানান, মামলা সত্য মিথ্যা যাচায় করবে আদালত। ওই গৃহিনী এ মামলার এজহারভুক্ত আসামী। সে কারনে আমাদের আটক করা ছাড়া ছেড়ে দেয়ার কোন অধিকার নেয়।