ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনায় দুই নারীকে কুপিয়ে জখম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৭:৩০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ২০৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দর্শনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই নারীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত নারীরা হলেন দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর স্কুলপাড়ার আমির হোসেনের স্ত্রী শাহিনা বেগম (৪৫) ও আমির হোসেনের ভাই শাহাবুদ্দীনের স্ত্রী চম্পা বেগম (৩০)। পরিবারের সদস্যরা এ সময় আহত দুজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
জানা যায়, গতকাল দুপুরে টিউবওয়েলের পাশে শাহিনা বেগম ও চম্পা বেগম বাড়ির কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই পান্না একটি ধারালো হাসুয়া দিয়ে শাহিনা বেগম ও চম্পা বেগমকে এলোপাতারি কোপ দিতে থাকে। এ সময় হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে শাহিনা বেগম ও চম্পা বেগমের দুজনেরই হাতে কোপ লাগে। দুজনেরই হাতের হাড়সহ শিড়া কেটে যায়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাঁদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতিমা হক আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন ও তাঁদের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহত শাহিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে শামীম (১৭) সকালে বাড়ির পাশেই নিজের ঘাষের জমিতে ঘাষ কাটতে যেয়ে দেখতে পান বিভিন্ন স্থানে কেউ মলত্যাগ করে রেখেছে। পান্নার বাড়ির পেছনে ঘাষের জমি থাকায় শামীম বাড়িতে এসে তার ফুফাত ভাই পান্না ও তাঁর স্ত্রী সহিরনকে সন্দেহের বসে গালমন্দ করে। এ সময় আমি ছেলেকে থামাতে গেলে সহিরন আমার সঙ্গে বঝগড়া বাঁধায়। পরে দুপুরে পান্না বাড়িতে এলে সে ও তাঁর স্ত্রী দুজনে চিল্লাচিল্লি করতে থাকেন। এ সময় আমি ও চম্পা টিউবওয়েলের পাশে কাজ করছিলাম। তখনি হঠাৎ করে পান্না এসে আমাদেরকে গালিগালাজ করতে থাকে এবং তাঁর হাতে থাকা বড় হাসুয়া দিয়ে আমাদের কোপ মারতে থাকে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতিমা হক জানান, ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে শাহিনা বেগম ও চম্পা বেগমের হাতে আঘাত করা হয়েছে। এতে শাহিনা বেগমের হাতের শিড়া কেটে গেছে ও চম্পা বেগমের দুই হাতের হাড় গুরুতর জখম হয়েছে। তাঁদের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, তাই দুজনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, পারিবারিক কলহের জেরে একই পরিবারের দুই নারীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। পুলিশ ঘটনাটির বিষয়ে মাঠে কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনায় দুই নারীকে কুপিয়ে জখম

আপলোড টাইম : ০৭:৩০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দর্শনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই নারীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত নারীরা হলেন দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর স্কুলপাড়ার আমির হোসেনের স্ত্রী শাহিনা বেগম (৪৫) ও আমির হোসেনের ভাই শাহাবুদ্দীনের স্ত্রী চম্পা বেগম (৩০)। পরিবারের সদস্যরা এ সময় আহত দুজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
জানা যায়, গতকাল দুপুরে টিউবওয়েলের পাশে শাহিনা বেগম ও চম্পা বেগম বাড়ির কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই পান্না একটি ধারালো হাসুয়া দিয়ে শাহিনা বেগম ও চম্পা বেগমকে এলোপাতারি কোপ দিতে থাকে। এ সময় হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে শাহিনা বেগম ও চম্পা বেগমের দুজনেরই হাতে কোপ লাগে। দুজনেরই হাতের হাড়সহ শিড়া কেটে যায়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তাঁদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতিমা হক আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন ও তাঁদের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহত শাহিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে শামীম (১৭) সকালে বাড়ির পাশেই নিজের ঘাষের জমিতে ঘাষ কাটতে যেয়ে দেখতে পান বিভিন্ন স্থানে কেউ মলত্যাগ করে রেখেছে। পান্নার বাড়ির পেছনে ঘাষের জমি থাকায় শামীম বাড়িতে এসে তার ফুফাত ভাই পান্না ও তাঁর স্ত্রী সহিরনকে সন্দেহের বসে গালমন্দ করে। এ সময় আমি ছেলেকে থামাতে গেলে সহিরন আমার সঙ্গে বঝগড়া বাঁধায়। পরে দুপুরে পান্না বাড়িতে এলে সে ও তাঁর স্ত্রী দুজনে চিল্লাচিল্লি করতে থাকেন। এ সময় আমি ও চম্পা টিউবওয়েলের পাশে কাজ করছিলাম। তখনি হঠাৎ করে পান্না এসে আমাদেরকে গালিগালাজ করতে থাকে এবং তাঁর হাতে থাকা বড় হাসুয়া দিয়ে আমাদের কোপ মারতে থাকে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতিমা হক জানান, ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে শাহিনা বেগম ও চম্পা বেগমের হাতে আঘাত করা হয়েছে। এতে শাহিনা বেগমের হাতের শিড়া কেটে গেছে ও চম্পা বেগমের দুই হাতের হাড় গুরুতর জখম হয়েছে। তাঁদের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন, তাই দুজনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, পারিবারিক কলহের জেরে একই পরিবারের দুই নারীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। পুলিশ ঘটনাটির বিষয়ে মাঠে কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।