ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনায় তিন নারীকে পিটিয়ে জখম!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৩২৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দর্শনায় জমিকে কেন্দ্র করে তিন নারীকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। আহত নারীদের রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলেন দর্শনা শ্যামকুড় গ্রামের মল্লিকপাড়ার মমিনুল ইসলামের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫৫) ও তাঁর দুই মেয়ে ইতি খাতুন (২৬) এবং জুথি খাতুন (২৩)।
আহত নারীরা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত পৈতৃক ভিটা-জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলযোগ চলে আসছিল। গতকাল এ বিষয়ে একটি মামলার শুনানি ছিল আদালতে। বিকেলে এ বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে আবারও দ্বন্দ্ব বাঁধে। একপর্যায়ে চাচা গোলাম নবী (৬৫), তাঁর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৫০), তাঁর দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৫) ও সোহেল রানা (২২) মিলে ফিরোজা খাতুন ও তাঁর দুমেয়ে ইতি এবং যুথিকে পিটিয়ে জখম করেন। এমনকি দুই বোনের শরীরের স্পর্শকাতরস্থানে কামড়িয়ে মাংশ তুলে নেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, ‘দুই নারীর শরীরের স্পর্শকাতরস্থানে কামড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসক দিয়ে সেলাই প্রদান করে ভর্তি করেছি। তবে তাঁদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত।’ এদিকে, এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনায় তিন নারীকে পিটিয়ে জখম!

আপলোড টাইম : ১০:২২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দর্শনায় জমিকে কেন্দ্র করে তিন নারীকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। আহত নারীদের রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা হলেন দর্শনা শ্যামকুড় গ্রামের মল্লিকপাড়ার মমিনুল ইসলামের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫৫) ও তাঁর দুই মেয়ে ইতি খাতুন (২৬) এবং জুথি খাতুন (২৩)।
আহত নারীরা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত পৈতৃক ভিটা-জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলযোগ চলে আসছিল। গতকাল এ বিষয়ে একটি মামলার শুনানি ছিল আদালতে। বিকেলে এ বিষয় নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে আবারও দ্বন্দ্ব বাঁধে। একপর্যায়ে চাচা গোলাম নবী (৬৫), তাঁর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৫০), তাঁর দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৫) ও সোহেল রানা (২২) মিলে ফিরোজা খাতুন ও তাঁর দুমেয়ে ইতি এবং যুথিকে পিটিয়ে জখম করেন। এমনকি দুই বোনের শরীরের স্পর্শকাতরস্থানে কামড়িয়ে মাংশ তুলে নেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, ‘দুই নারীর শরীরের স্পর্শকাতরস্থানে কামড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসক দিয়ে সেলাই প্রদান করে ভর্তি করেছি। তবে তাঁদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত।’ এদিকে, এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।