ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনার হল্ট ষ্টেশনে যাত্রী অসুবিধাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত দ্রুত সমস্যার সমাধান চাই এলাকাবাসী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০১৬
  • / ৪৯৪ বার পড়া হয়েছে

HollT stionআওয়াল হোসেন/ওয়াসিম রয়েল: শিল্প নগরী দর্শনার হল্ট ষ্টেশনে যাত্রী অসুবিধাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘদিন ধরে ষ্টেশনে যাত্রীদের কোন বিশ্রামাগার নেই, যাত্রীদের জন্য টয়লেট নেই, যাত্রীদের বসার জন্য পর্যপ্ত স্থান নেই, ষ্টেশনের পূর্নাঙ্গ সেড নেই, শুধু নেই আর নেই। দীর্ঘদিন ধরে হল্ট ষ্টেশনে এসব সমস্যা থাকলেও উচ্চ পর্যায় রেল কর্মকর্তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। খুলনা থেকে সৈয়দপুরের মধ্যে ২টি ইন্টার সিটি ট্রেন ও ২টা লোকাল ট্রেন, খুলনা থেকে রাজধানী ঢাকার মধ্যে ২টি ট্রেন একটি চিত্রা ও সুুন্দর বন এক্সপ্রেস, খুলনা থেকে রাজশাহীর মধ্যে ২টি ইন্টার সিটি ও খুলনা থেকে গোয়ালন্দের মধ্যে ১টি লোকাল ট্রেন প্রতিদিন এ রুটে চলাচল করে থাকে। শুধু মাত্র সুন্দর বন ট্রেনটি উর্ধ্বগামীতে থামে না ডাউনে থামে। এছাড়া সকল ট্রেন আপে এবং ডাউনে দর্শনা হল্ট ষ্টেশনে থামে। ফলে এ ষ্টেশনে প্রতিদিনি হাজার হাজার যাত্রী ট্রেনে উঠানামা করে। এছাড়া দর্শনা সীমান্ত পথে প্রতিদিন শতশত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পাসর্পোট ধারীরা এ ষ্টেশন থেকে ট্রেনে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে থাকে। ফলে সেই তুলানায় এ হল্ট ষ্টেশনে যাত্রীদের তেমন কোন সুবিধা নেই। ষ্টেশনের ছাউনীতে ট্রেনের দুইটি দাঁড়াতে পারে বাকী বগিগুলো যাত্রী ছাউনীর বাইরে থাকে ফলে যাত্রীদের বৃষ্টিতে ভিজে রোদে পুড়ে ট্রেনে উঠানামা করতে হয়। এছাড়া যাত্রীদের কোন বিশ্রামাগার নেই, টয়লেটের ব্যবস্থা নেই, একটি বিশ্রামাগার থাকলেও জিআরপি পুলিশের থাকার জায়গা না থাকায় সেটি দখল করে আছে। জিআরপি পুলিশের দখলে থাকা বিশ্রামাগারের ছাদ খসে পড়ছে। চলতি বর্ষ মৌসুমে ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে বেহাল দশা দেখা গিয়েছে। বিশ্রামাগার জিআরপি পুলিশের দখলে থাকার ফলে যাত্রীদের টয়লেট ও বসার জায়গা নিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে নারী যাত্রীদের জন্য মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে ষ্টেশন মাষ্টার হাফিজুল ইসলাম জানান, দর্শনা হল্ট ষ্টেশনের সমস্যার কথা বার বার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে কোন কাজ হচ্ছে না। অতি দ্রুত দর্শনা হল্ট ষ্টেশনের সমস্যা সমাধান করে ট্রেনযাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য এলাকাবাসীর দাবী করেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনার হল্ট ষ্টেশনে যাত্রী অসুবিধাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত দ্রুত সমস্যার সমাধান চাই এলাকাবাসী

আপলোড টাইম : ০৫:৪৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০১৬

HollT stionআওয়াল হোসেন/ওয়াসিম রয়েল: শিল্প নগরী দর্শনার হল্ট ষ্টেশনে যাত্রী অসুবিধাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। দীর্ঘদিন ধরে ষ্টেশনে যাত্রীদের কোন বিশ্রামাগার নেই, যাত্রীদের জন্য টয়লেট নেই, যাত্রীদের বসার জন্য পর্যপ্ত স্থান নেই, ষ্টেশনের পূর্নাঙ্গ সেড নেই, শুধু নেই আর নেই। দীর্ঘদিন ধরে হল্ট ষ্টেশনে এসব সমস্যা থাকলেও উচ্চ পর্যায় রেল কর্মকর্তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। খুলনা থেকে সৈয়দপুরের মধ্যে ২টি ইন্টার সিটি ট্রেন ও ২টা লোকাল ট্রেন, খুলনা থেকে রাজধানী ঢাকার মধ্যে ২টি ট্রেন একটি চিত্রা ও সুুন্দর বন এক্সপ্রেস, খুলনা থেকে রাজশাহীর মধ্যে ২টি ইন্টার সিটি ও খুলনা থেকে গোয়ালন্দের মধ্যে ১টি লোকাল ট্রেন প্রতিদিন এ রুটে চলাচল করে থাকে। শুধু মাত্র সুন্দর বন ট্রেনটি উর্ধ্বগামীতে থামে না ডাউনে থামে। এছাড়া সকল ট্রেন আপে এবং ডাউনে দর্শনা হল্ট ষ্টেশনে থামে। ফলে এ ষ্টেশনে প্রতিদিনি হাজার হাজার যাত্রী ট্রেনে উঠানামা করে। এছাড়া দর্শনা সীমান্ত পথে প্রতিদিন শতশত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পাসর্পোট ধারীরা এ ষ্টেশন থেকে ট্রেনে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে থাকে। ফলে সেই তুলানায় এ হল্ট ষ্টেশনে যাত্রীদের তেমন কোন সুবিধা নেই। ষ্টেশনের ছাউনীতে ট্রেনের দুইটি দাঁড়াতে পারে বাকী বগিগুলো যাত্রী ছাউনীর বাইরে থাকে ফলে যাত্রীদের বৃষ্টিতে ভিজে রোদে পুড়ে ট্রেনে উঠানামা করতে হয়। এছাড়া যাত্রীদের কোন বিশ্রামাগার নেই, টয়লেটের ব্যবস্থা নেই, একটি বিশ্রামাগার থাকলেও জিআরপি পুলিশের থাকার জায়গা না থাকায় সেটি দখল করে আছে। জিআরপি পুলিশের দখলে থাকা বিশ্রামাগারের ছাদ খসে পড়ছে। চলতি বর্ষ মৌসুমে ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে বেহাল দশা দেখা গিয়েছে। বিশ্রামাগার জিআরপি পুলিশের দখলে থাকার ফলে যাত্রীদের টয়লেট ও বসার জায়গা নিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে নারী যাত্রীদের জন্য মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে ষ্টেশন মাষ্টার হাফিজুল ইসলাম জানান, দর্শনা হল্ট ষ্টেশনের সমস্যার কথা বার বার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে কোন কাজ হচ্ছে না। অতি দ্রুত দর্শনা হল্ট ষ্টেশনের সমস্যা সমাধান করে ট্রেনযাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য এলাকাবাসীর দাবী করেছে।