ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনার বহুল আলোচিত সাইফুল হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
  • / ৪৪১ বার পড়া হয়েছে

১২ ফেব্রুয়ারি’০৭ : দামুড়হুদা লোকনাথপুরে ১৩ কেজি স্বর্ণের চোরাচালান আটকের ঘটনায় টার্গেট কিলিং
দর্শনার বহুল আলোচিত সাইফুল হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
জীবননগরের নজরুল মল্লিকসহ পলাতক-৪ : কালীগঞ্জের আনারসহ ৫ জনকে অব্যহতি
নিজস্ব প্রতিবেদক: দর্শনা শ্যামপুরের বহুল আলোচিত সাইফুল হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বহুল আলোচিত এই হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ১০বছর পর এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হলো। এ মামলায় ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে গত ১০ জুলাই চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এ মামলার বাদী নিহত সাইফুলের বড় ভাই মো. ইমদাদুল ইসলাম এই প্রথম সাক্ষ্য দেন। জীবননগর শাপলাকলি পাড়ার শওকত মল্লিক ওরফে কাউছার মল্লিক ওরফে লেন্ট্রি মল্লিকের ছেলে মামলার অন্যতম আসামী নজরুল ইসলাম ওরফে নজু (নজরুল মল্লিক), কুষ্টিয়া সদরের আলমপুর গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান বিশ্বাস ওরফে তোফাজ্জল ওরফে নাজমুল হকের ছেলে মো. আমিনুর রহমান ওরফে আমিনুল ইসলাম ওরফে মুকুল, কুষ্টিয়া সদরের কালিশংকরপুর গ্রামের সুলতান রুমী ওরফে পশু ডাক্তারের ছেলে শাহীন রুমী ও মিরপুর থানার চিতলিয়া গ্রামের মৃত বিল্লাল বিশ্বাসের ছেলে মো. নাজিব বিশ্বাস ওরফে রেজাকে পলাতক দেখিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলাটি বিচারিক আদালত চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ-২ এ বিচারাধীন রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সার্বিক তদন্ত এবং সাক্ষ্য প্রমাণে পিএম রিপোর্ট এম/সি এবং আসামী পরিতোষ চক্রবর্তীর কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী পর্যালোচনায় ২৫জন আসামীর মধ্যে ৬জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে অব্যহতি দিয়ে আসামী (১) মো. আমিনুর রহমান ওরফে আমিনুল ইসলাম ওরফে মুকুল, (২) মো. শাহীন রুমী, (৩) পরিতোষ চক্রবর্তী, (৪) ফারুকুজ্জামান ওরফে জন, (৫) আব্দুল মান্নান, (৬) সাঈদ হোসেন, (৭) মো. আলমগীর হোসেন ওরফে আলম, (৮) মো. মজিবুল আলম ওরফে বকুল, (৯) মো. ইউসুফ আলী ওরফে তেলা ইউসুফ, (১০) মো. ওমর আলী এবং পলাতক আসামী (১১) মো. আনোয়ারুল আজিম ওরফে আনার কমিশনার, (১২) নজরুল ইসলাম ওরফে নজু, (১৩) বাংলা, (১৪) শেখ আসলাম আলী ওরফে তোতা, (১৫) মো. সন্টু, (১৬) মো. শহিদুল ইসলাম, (১৭) নাজিব বিশ্বাস ওরফে রেজা গণখুনের পরিকল্পনা ও খুন করার কাজে সহযোগিতা করায় দন্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় এবং (১৮) মো. শামসুজ্জামান ওরফে ডন এবং (১৯) মো. আমিরুল ইসলামদের বিরুদ্ধে দঃবিঃ ৩০২/৩২৬/২০১/৩৪ ধারায় মোট ১৯জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশপত্র স্মারক নং-৫৫৬, ২২/০৪/২০১২ ইং তারিখের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত ২০১২ সালের ২৯ আগস্ট ঝিনাইদহ জেলা সদরের সিরাজউদ্দৌলা রোডের মদনমোহনপাড়ার মহেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ছেলে পরিতোষ চক্রবর্তী, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন উত্তর কাঠদহের আহম্মদ আলীমাস্টারের ছেলে ফারুকুজ্জামান ওরফে জন ও শামসুজ্জামান ওরফে ডন, ডাঙ্গাপাড়ার আ: করিম প্রামাণিকের ছেলে শহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ নিশ্চিন্তপুরের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে আনোয়ারুল আজিম ওরফে আনার কমিশনার (বর্তমানে ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাংসদ)’কে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়। এদের মধ্যে পরিতোষ চক্রবর্তী মৃত্যুবরণ করেছে।
এদিকে আসামী দর্শনা শ্যামপুরের শেফাত আলী বিশ্বাস ওরফে শেফাই বিশ্বাসের ছেলে মো. ইউসুফ আলী ওরফে তেলা ইউসুফ, কুষ্টিয়ার মো. ফারুকুজ্জামান ওরফে জন, দর্শনা মোবারক পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মো. আ: মান্নান খান ও কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন গোবিন্দপুর গ্রামের  নিজামউদ্দিন জোয়ার্দ্দারের ছেলে মো. আমিরুল ইসলামকে মামলা তদন্তকালীন সে সময়ে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে থেকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে রিমান্ড চলাকালীন সময়ে এ মামলার অন্যতম আসামী শ্রী পরিতোষ চক্রবর্তী ঘটনার বিষয় স্বীকার করে ২০০৮ সালের ১লা মে জুডিসিয়াল আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দামুড়হুদা থানার লোকনাথপুর এলাকায় বিডিআর কর্তৃক ১২ কেজি ৯৫০ গ্রাম স্বর্ণ আটক হলে স্বর্ণের মূল মালিকগণ বিডিআর’র সংবাদ দাতাকে খুজতে আরম্ভ করে। এক পর্যায়ে তারা নিশ্চিত হতে পারে দর্শনা শ্যামপুরের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম স্বর্ণগুলো ধরিয়ে দিয়েছে। (চলবে………..)

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনার বহুল আলোচিত সাইফুল হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

আপলোড টাইম : ০৫:২৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭

১২ ফেব্রুয়ারি’০৭ : দামুড়হুদা লোকনাথপুরে ১৩ কেজি স্বর্ণের চোরাচালান আটকের ঘটনায় টার্গেট কিলিং
দর্শনার বহুল আলোচিত সাইফুল হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
জীবননগরের নজরুল মল্লিকসহ পলাতক-৪ : কালীগঞ্জের আনারসহ ৫ জনকে অব্যহতি
নিজস্ব প্রতিবেদক: দর্শনা শ্যামপুরের বহুল আলোচিত সাইফুল হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বহুল আলোচিত এই হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ১০বছর পর এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হলো। এ মামলায় ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে গত ১০ জুলাই চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এ মামলার বাদী নিহত সাইফুলের বড় ভাই মো. ইমদাদুল ইসলাম এই প্রথম সাক্ষ্য দেন। জীবননগর শাপলাকলি পাড়ার শওকত মল্লিক ওরফে কাউছার মল্লিক ওরফে লেন্ট্রি মল্লিকের ছেলে মামলার অন্যতম আসামী নজরুল ইসলাম ওরফে নজু (নজরুল মল্লিক), কুষ্টিয়া সদরের আলমপুর গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান বিশ্বাস ওরফে তোফাজ্জল ওরফে নাজমুল হকের ছেলে মো. আমিনুর রহমান ওরফে আমিনুল ইসলাম ওরফে মুকুল, কুষ্টিয়া সদরের কালিশংকরপুর গ্রামের সুলতান রুমী ওরফে পশু ডাক্তারের ছেলে শাহীন রুমী ও মিরপুর থানার চিতলিয়া গ্রামের মৃত বিল্লাল বিশ্বাসের ছেলে মো. নাজিব বিশ্বাস ওরফে রেজাকে পলাতক দেখিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলাটি বিচারিক আদালত চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ-২ এ বিচারাধীন রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সার্বিক তদন্ত এবং সাক্ষ্য প্রমাণে পিএম রিপোর্ট এম/সি এবং আসামী পরিতোষ চক্রবর্তীর কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী পর্যালোচনায় ২৫জন আসামীর মধ্যে ৬জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে অব্যহতি দিয়ে আসামী (১) মো. আমিনুর রহমান ওরফে আমিনুল ইসলাম ওরফে মুকুল, (২) মো. শাহীন রুমী, (৩) পরিতোষ চক্রবর্তী, (৪) ফারুকুজ্জামান ওরফে জন, (৫) আব্দুল মান্নান, (৬) সাঈদ হোসেন, (৭) মো. আলমগীর হোসেন ওরফে আলম, (৮) মো. মজিবুল আলম ওরফে বকুল, (৯) মো. ইউসুফ আলী ওরফে তেলা ইউসুফ, (১০) মো. ওমর আলী এবং পলাতক আসামী (১১) মো. আনোয়ারুল আজিম ওরফে আনার কমিশনার, (১২) নজরুল ইসলাম ওরফে নজু, (১৩) বাংলা, (১৪) শেখ আসলাম আলী ওরফে তোতা, (১৫) মো. সন্টু, (১৬) মো. শহিদুল ইসলাম, (১৭) নাজিব বিশ্বাস ওরফে রেজা গণখুনের পরিকল্পনা ও খুন করার কাজে সহযোগিতা করায় দন্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় এবং (১৮) মো. শামসুজ্জামান ওরফে ডন এবং (১৯) মো. আমিরুল ইসলামদের বিরুদ্ধে দঃবিঃ ৩০২/৩২৬/২০১/৩৪ ধারায় মোট ১৯জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশপত্র স্মারক নং-৫৫৬, ২২/০৪/২০১২ ইং তারিখের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত ২০১২ সালের ২৯ আগস্ট ঝিনাইদহ জেলা সদরের সিরাজউদ্দৌলা রোডের মদনমোহনপাড়ার মহেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ছেলে পরিতোষ চক্রবর্তী, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন উত্তর কাঠদহের আহম্মদ আলীমাস্টারের ছেলে ফারুকুজ্জামান ওরফে জন ও শামসুজ্জামান ওরফে ডন, ডাঙ্গাপাড়ার আ: করিম প্রামাণিকের ছেলে শহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ নিশ্চিন্তপুরের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে আনোয়ারুল আজিম ওরফে আনার কমিশনার (বর্তমানে ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাংসদ)’কে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়। এদের মধ্যে পরিতোষ চক্রবর্তী মৃত্যুবরণ করেছে।
এদিকে আসামী দর্শনা শ্যামপুরের শেফাত আলী বিশ্বাস ওরফে শেফাই বিশ্বাসের ছেলে মো. ইউসুফ আলী ওরফে তেলা ইউসুফ, কুষ্টিয়ার মো. ফারুকুজ্জামান ওরফে জন, দর্শনা মোবারক পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মো. আ: মান্নান খান ও কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন গোবিন্দপুর গ্রামের  নিজামউদ্দিন জোয়ার্দ্দারের ছেলে মো. আমিরুল ইসলামকে মামলা তদন্তকালীন সে সময়ে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে থেকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে রিমান্ড চলাকালীন সময়ে এ মামলার অন্যতম আসামী শ্রী পরিতোষ চক্রবর্তী ঘটনার বিষয় স্বীকার করে ২০০৮ সালের ১লা মে জুডিসিয়াল আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দামুড়হুদা থানার লোকনাথপুর এলাকায় বিডিআর কর্তৃক ১২ কেজি ৯৫০ গ্রাম স্বর্ণ আটক হলে স্বর্ণের মূল মালিকগণ বিডিআর’র সংবাদ দাতাকে খুজতে আরম্ভ করে। এক পর্যায়ে তারা নিশ্চিত হতে পারে দর্শনা শ্যামপুরের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম স্বর্ণগুলো ধরিয়ে দিয়েছে। (চলবে………..)