ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তীব্র শীতের সাথে কনকনে বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৩:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১০৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৭ দশমিক ৩, বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ
মেহেরাব্বিন সানভী:
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা এবং শ্রীমঙ্গলে একই তাপমাত্রায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রের্কডে আছে। গত সোমবারও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা দেশের সর্বনিম্ন ছিল। জেলাজুড়ে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অফিস বলছে, চুয়াডাঙ্গায় কয়েকদিন ধরে মধ্যরাত থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। দিনের বেলায় শীত কম থাকলেও রাত যত বেশি হচ্ছে, শীত তত বাড়ছে। সকালের দিকে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে।
এদিকে, হাড় কাপানো তীব্র শীতের সাথে কনকনে বাতাসে অনকটা বিপর্যস্ত নেমে এসেছে চুয়াডাঙ্গার ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের জনজীবনে। দিনের বেলা সূর্যের আলো থাকলেও তেমন উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। সেই কারণে শীতের তীব্রতা বেশি মনে হচ্ছে। খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষগুলোকে সকালে কাজে বের হতে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। খরখুটোর আগুনই তাঁদের একমাত্র ভরসা। সবচেয়ে বেশি বিপদে আছে বৃদ্ধ আর শিশুরা। শীত নিবারনের জন্য তারা ছুটছে কম দামের কাপড়ের দোকানে। গত ক’দিন ধরে কমদামের কাপড়ের দোকানগুলো উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা তেমন না বাড়লেও শীত মোকাবিলায় ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যবিভাগ সকল প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে আসে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরাই এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। চলতি মৌসুমে ধীরে ধীরে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আমরা সদর হাসপাতালসহ সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আজসহ মোট চার দিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত সোমবার ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিকে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও তা থেকে দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে এক দিনেই। শৈত্যপ্রবাহের কারণে মাঠের ফসল নিয়ে কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তীব্র শীতের সাথে কনকনে বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন

আপলোড টাইম : ১০:৩৩:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৭ দশমিক ৩, বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ
মেহেরাব্বিন সানভী:
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা এবং শ্রীমঙ্গলে একই তাপমাত্রায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রের্কডে আছে। গত সোমবারও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা দেশের সর্বনিম্ন ছিল। জেলাজুড়ে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অফিস বলছে, চুয়াডাঙ্গায় কয়েকদিন ধরে মধ্যরাত থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। দিনের বেলায় শীত কম থাকলেও রাত যত বেশি হচ্ছে, শীত তত বাড়ছে। সকালের দিকে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে।
এদিকে, হাড় কাপানো তীব্র শীতের সাথে কনকনে বাতাসে অনকটা বিপর্যস্ত নেমে এসেছে চুয়াডাঙ্গার ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের জনজীবনে। দিনের বেলা সূর্যের আলো থাকলেও তেমন উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। সেই কারণে শীতের তীব্রতা বেশি মনে হচ্ছে। খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষগুলোকে সকালে কাজে বের হতে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। খরখুটোর আগুনই তাঁদের একমাত্র ভরসা। সবচেয়ে বেশি বিপদে আছে বৃদ্ধ আর শিশুরা। শীত নিবারনের জন্য তারা ছুটছে কম দামের কাপড়ের দোকানে। গত ক’দিন ধরে কমদামের কাপড়ের দোকানগুলো উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা তেমন না বাড়লেও শীত মোকাবিলায় ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যবিভাগ সকল প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান, শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে আসে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরাই এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। চলতি মৌসুমে ধীরে ধীরে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আমরা সদর হাসপাতালসহ সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আজসহ মোট চার দিন চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত সোমবার ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিকে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও তা থেকে দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে এক দিনেই। শৈত্যপ্রবাহের কারণে মাঠের ফসল নিয়ে কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন।