ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তিতুদহ বড়শলুয়ায় মৃত নারীকে দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০
  • / ১৫০ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ বড়শলুয়া গ্রামে মেঘলা (২৫) খাতুন নামের এক সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছেন। গত বুধবার সকালের দিকে বিষপাণ করে সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কিন্ত গতকাল বৃহস্পতিবার গোষ্ঠী দ্বন্দে মহিষতলা গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন করতে গেলে বাধা প্রদান করার অভিযোগ ওঠে একই পাড়ার মণ্টুর বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া বসতিপাড়ার কামাল হোসেনের মেয়ে এক সন্তানের জননী মেঘলা খাতুন (২২) মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত বুধবার সকালের দিকে তিনি বিষপান করেন। পরে তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রামে লাশ নিয়ে আসা হয়। পরে কবরস্থ করতে চাচাসহ কয়েকজন মিলে মহিষতলা গ্রাম্য কবরস্থানে কবর খুড়তে গেলে পূর্বশত্রুার জেরে তাঁদেরকে বাঁধা সৃষ্টি করেন একই গ্রামের মৃত সোবারেক মহুরীর ছেলে মণ্টু হোসেন।
এ বিষয়ে মেঘলা খাতুনের চাচা জামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মিলে মণ্টুর আপন চাচার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কবর খুঁড়তে যাই। কিন্তু পূর্বের দ্বন্দ্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আমাদের বাঁধা দেয় মণ্টু। পরে আমরা গ্রামের নতুন কবরস্থানে মেয়ের দাফন সম্পন্ন করি।’
এ বিষয়ে মণ্টু হোসেন বলেন, ‘ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কবরস্থান কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারির অনুমতি নিতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা অনুমতি না নিয়ে চলে যায়। এখন তারা মিথ্যা রটাচ্ছে।’ এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান ঘটনার সতত্যা স্বাকীর করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তিতুদহ বড়শলুয়ায় মৃত নারীকে দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০

প্রতিবেদক, হিজলগাড়ী:
চুয়াডাঙ্গার তিতুদহ বড়শলুয়া গ্রামে মেঘলা (২৫) খাতুন নামের এক সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছেন। গত বুধবার সকালের দিকে বিষপাণ করে সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। কিন্ত গতকাল বৃহস্পতিবার গোষ্ঠী দ্বন্দে মহিষতলা গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন করতে গেলে বাধা প্রদান করার অভিযোগ ওঠে একই পাড়ার মণ্টুর বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া বসতিপাড়ার কামাল হোসেনের মেয়ে এক সন্তানের জননী মেঘলা খাতুন (২২) মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত বুধবার সকালের দিকে তিনি বিষপান করেন। পরে তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রামে লাশ নিয়ে আসা হয়। পরে কবরস্থ করতে চাচাসহ কয়েকজন মিলে মহিষতলা গ্রাম্য কবরস্থানে কবর খুড়তে গেলে পূর্বশত্রুার জেরে তাঁদেরকে বাঁধা সৃষ্টি করেন একই গ্রামের মৃত সোবারেক মহুরীর ছেলে মণ্টু হোসেন।
এ বিষয়ে মেঘলা খাতুনের চাচা জামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মিলে মণ্টুর আপন চাচার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কবর খুঁড়তে যাই। কিন্তু পূর্বের দ্বন্দ্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আমাদের বাঁধা দেয় মণ্টু। পরে আমরা গ্রামের নতুন কবরস্থানে মেয়ের দাফন সম্পন্ন করি।’
এ বিষয়ে মণ্টু হোসেন বলেন, ‘ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কবরস্থান কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারির অনুমতি নিতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা অনুমতি না নিয়ে চলে যায়। এখন তারা মিথ্যা রটাচ্ছে।’ এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান ঘটনার সতত্যা স্বাকীর করেন।